রিজু মন খারাপ করে বেলকনিতে বসে আছে। দুই দিন হলো তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনা হয়েছে।এর মধ্যে সজল একবার ও আসে নি । রিজু মনে মনে কিছু ভেবে তার মায়ের কাছে গেল। গিয়ে দেখল তার মা রান্না করছে।
রিজু: মা আমিতো এখন সুস্থ আমাকে কলেজ এ যেতে দাও না
রিজুর মা: না একদম না এখনো পুরোপুরি সুস্থ হওনি
রাজু: মা আমার এভাবে বসে বসে দিন কাটাতে বিরক্ত লাগছে যেতে দাও না। প্লিজ
রিজুর মা: না কোথাও যাওয়া হবে না আমি সজল কে কল করে বলে দিচ্ছি আজকে থেকে আবার পাড়ানো শুরু করতে।
রিজু মনে মনে খুব খুশী হলো কারন সে তো এটাই চাইছিল । রিজু সেখান থেকে চলে গেল।
রিজুর মা সজল কে কল করল । সজল সালাম দিল
রিজুর মা: ওয়ালাইকুমুস সালাম বাবা কেমন আছো
সজল: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আন্টি আপনি কেমন আছেন।
রিজুর মা: আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। সজল তুমি আজকে থেকে আবার পড়ানো শুরু করো
সজল: কিন্তু আন্টি রিজু তো এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি
রিজুর মা: সে কি শুনবে কারো কথা তার নাকি এভাবে বসে থাকতে ভালো লাগে না।
সজল আচ্ছা আন্টি আমি বিকালে চলে আসবো
রিজুর মা: আচ্ছা বাবা
কল কেটে রিজুর রুমে গেল রিজু তখন মোবাইল দেখছিল। রিজুর মা বলল
রিজুর মা: বিকালে সজল আসছে ।
রিজু: আচ্ছা মা।
রিজুর মা চলে গেল রিজুর মায়ের রুম থেকে যেতে দেরী রিজুর নাচতে দেরী হলো না তখনি তার ফোন এ কল এলো। রিজুর ফোন হাতে নিয়ে দেখলো মিতু কল করছে
( মিতু হলো রিজুর বেষ্ট ফ্রেন্ড)
রিজু কল রিসিভ করল
মিতু:বাবু তোর কি হয়েছে কলেজে কেন আসিস না
রিজু: আরে বলিস না একটা বাইক এর সাথে এক্সিডেন্ট করেছিলাম
মিতু: কি কখন কিভাবে তুই ঠিক আছিস
রিজু: আরে এতো উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই আমি এখন সুস্থ আছি
রিজু সব খুলে বলল কি কি হয়েছে
মিতু: আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছে নাহলে অনেক বড়ো কিছু হতে পারত
রিজু: সে থাকতে আমার কিছুই হবে না
মিতু: হুম মহারানীর তার রাজার উপর অনেক বিশ্বাস।
রিজু: বিশ্বাস তো থাকবেই কতটা ভালোবাসি তাকে ( লজ্জা পেয়ে)
মিতু: হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না আচ্ছা কলেজে কবে থেকে আসবি।
রিজু: হয়ত কালকে থেকে
মিতু: আচ্ছা বায়ু
রিজু:বায়ু
....( চলবে)
ছাত্রী যখন শিক্ষক কে ভালোবাসে
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
46
Views
0
Likes
0
Comments
0.0
Rating