তুই আমার, শুধুই আমার

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
শহরের গলির মোড়ে, ছোট্ট একটা কফির দোকানে ছিল তাদের প্রথম দেখা। মেয়েটির নাম রাশমী, আর ছেলের নাম তাহসিন। দুইজনেই কলেজ পড়ে, কিন্তু জীবনের পাথেয় ছিল ভিন্ন ভিন্ন।

তাহসিন সাদামাটা, কিছুটা লাজুক, আর রাশমী ছিল হাসিখুশি, বন্ধুবৎসল। একদিন, রাশমীর মোবাইল পড়ে যায় ফুটপাতে। তাহসিন তুলে দিয়ে বলল—

“এইটা তোমার?”

রাশমী ধন্যবাদ জানিয়ে বলল—

“তুই আমার ভাগ্যের কিসসা শুরু করলি।”

তাহসিন হেসে বলল—

“অবশ্যই, কারণ এখন থেকে তুই শুধু আমার।”

দিন গড়ানোর সাথে তাদের বন্ধুত্ব গভীর হলো। ছোট ছোট চিট-চ্যাট, ফোনকল, ক্লাস শেষে একসাথে পড়া— সব মিলিয়ে তাদের সম্পর্কটা ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রূপ নিলো।

কিন্তু জীবনে তো সবকিছুই সরল হয় না। রাশমীর পরিবারের পক্ষে তাহসিনের দরিদ্র পরিবার মানা ছিল। একদিন রাশমীর বাবা বললেন—

“আমরা তোমার সঙ্গে আমাদের মেয়ের এই সম্পর্ক পছন্দ করি না।”

তাহসিন চুপ ছিল, আর রাশমী কাঁদছিল। কিন্তু তারা দুজনেই জানতো, ভালোবাসা মানেই যুদ্ধ, মানেই একসাথে থাকা কঠিন পথ।

তাহসিন একদিন রাশমীর কাছে এসে বলল—

“তুই আমার, শুধুই আমার। আমি সব চ্যালেঞ্জ মেটাবো, তোর জন্য।”

তারা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে লাগলো। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভালবাসা আরও গভীর হলো। একদিন, তাহসিন একটা ছোট্ট নীল আকাশের টুকরো নিয়ে এসে বলল—

“এইটা তোর জন্য, আমার স্বপ্নের প্রতীক।”

রাশমী হাসল, কাঁদল।

শেষ পর্যন্ত, রাশমীর বাবা-মা তাদের ভালোবাসার সত্যি উপলব্ধি করলেন। তারা মিলে ঠিক করলো— ভালোবাসাই সবকিছুর উপরে।

তাহসিন আর রাশমীর জীবন শুরু হলো নতুন করে।

তাহসিন বুঝলো— তুই আমার, শুধুই আমার, শুধু এই বিশ্বাসে তার জীবনের সব অন্ধকার আলোর মুখ দেখেছিল।
28 Views
3 Likes
0 Comments
0.0 Rating
Rate this: