📘 গল্প: অশরীরী ছায়া
🕯️ পর্ব ৩: রক্তের সিঁড়ি
---
রাহুল রেজিস্টার বইয়ে "শান্তা রায়চৌধুরী" নামটা দেখার পর থেকেই অস্থির হয়ে উঠেছে।
তিন দশক আগে নিখোঁজ হওয়া এক মেয়ে, যার কোনো খোঁজ নেই, এবং যার নাম লেখা রয়েছে রক্তমাখা অক্ষরে।
সেই রাতে রাহুল সিদ্ধান্ত নেয়—সে একবার পেছনের বাগানে যাবে।
সন্ধ্যা নামছে, আকাশে ঘন কালো মেঘ। পেছনের দরজা খুলে সে বেরিয়ে এল।
বাগান এখন কেবল ঘাস-ঝোপ আর একটা শুকিয়ে যাওয়া কুয়ো।
কুয়োর পাশে একটা পুরনো পাথরের সিঁড়ি নেমে গেছে নিচের দিকে—সেই সিঁড়ি কেউ ব্যবহার করে না।
কিন্তু আজ...
সেই সিঁড়ির প্রথম ধাপে লাল কিছু দেখা যাচ্ছে।
রাহুল এগিয়ে গিয়ে দেখে—রক্ত।
তাজা না, পুরনো। তবে এত বছর পরও শুকায়নি পুরোপুরি।
সিঁড়ি ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে অন্ধকারের গভীরে।
সে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে নিচে নামতে লাগল।
পাঁচটা ধাপ, দশটা, পনেরো... তারপর...
একটা ঘর। স্যাঁতসেঁতে দেয়ালে লেখা:
> “আমি বলেছিলাম, সন্ধ্যার পর কেউ নামবে না।”
রাহুল পেছনে ঘুরতেই দেখে—একটা আয়না।
সে আয়নায় নিজের ছায়া দেখার কথা...
কিন্তু সে যা দেখে তা নিজে না।
একজন মেয়ে। তার পোশাক ছিঁড়ে গেছে। চুল এলোমেলো। চোখ দুইটি একদম ফাঁকা—সাদা।
আর ঠোঁট কাঁপছে—কিন্তু কণ্ঠ শোনা যায় না।
সে হাত বাড়িয়ে আয়নার কাঁচে আঘাত করল।
আর সেই মুহূর্তে...
আয়নার কাঁচ ফেটে গেল।
রাহুল দৌড়ে উপরে উঠে এল। পেছনে যেন কেউ দৌড়াচ্ছে, নিঃশ্বাস নিচ্ছে গলায় গলা রেখে।
সে দরজা বন্ধ করে দেয়, হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
কিন্তু তারপর... সে দেখে—
ঘরের ভেতরে, দরজার পেছনে দাঁড়িয়ে এক মেয়ে। মাথা নিচু। সাদা জামা।
হঠাৎ মুখ তুলে বলল—
> “তুই আমার নাম জানিস। এবার আমিও জানব তোর নাম...”
---
🔚 (চলবে…)
---
🔍 পরবর্তী পর্বে:
রাহুলের স্বপ্নে শান্তা ফিরে আসে। কিন্তু এবার সে একা নয়... তার সাথে আছে আরও কেউ, যার মুখ দেখা যায় না, শুধু শোনা যায় চাপা গর্জন...
অশরীরী ছায়া (episode 3)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
43
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating