ভুতের ঘর

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
বাঁশবনের পাশ দিয়ে যে পুরনো পথটা গ্রামের কবরস্থানের দিকে গেছে, তার ধারে একটা পরিত্যক্ত কুঁড়েঘর আছে। গ্রামবাসীরা বলে, ঘরটা 'ভুতের ঘর' নামে পরিচিত। সন্ধ্যা নামলেই কেউ আর ওদিক মারে না।

মাস ছয়েক আগে শহর থেকে ইমরান নামে এক তরুণ সাংবাদিক এসেছিল গ্রামে, কোনো পুরোনো লোককাহিনী নিয়ে রিপোর্ট করতে। এসব ভূতের গল্প শুনে সে মুচকি হেসে বলেছিল, “আচ্ছা! আমি এক রাত কাটাই না ওই ঘরে, দেখা যাক কী আসে!”

সেই রাতেই ইমরান একটা টর্চ আর ক্যামেরা নিয়ে ঢুকেছিল কুঁড়েঘরে। ভেতরে ঢুকেই হালকা ঠান্ডা হাওয়া লাগল গায়ে, যেন ঘরটা নিঃশ্বাস নিচ্ছে। পোকামাকড়ে ভরা, ধুলো ধুসর এক পরিবেশ।

রাত ঠিক তিনটার দিকে, হঠাৎ করে দরজাটা নিজে নিজেই খুলে গেল। বাতাস নেই, কেউ নেই, তবুও দরজা ঠেলে ঢুকল এক ছায়ামূর্তি — স্পষ্ট দেখা যায় না, কিন্তু চোখজোড়া লাল টকটকে। ইমরান জমে গেল, ক্যামেরা তুলে ভিডিও করতে গিয়ে দেখল স্ক্রিনে কিছুই ধরছে না — শুধু ফিজ্জ্‌ ফিজ্জ্‌ শব্দ। তখন সেই ছায়ামূর্তিটা ফিসফিস করে বলল,
“আমার ঘর... কেন এসেছো?”

পরদিন সকালে, কুঁড়েঘরের সামনে গ্রামের লোকজন ভিড় করল। ইমরান পড়ে আছে দরজার পাশে — জ্ঞান হারানো অবস্থায়, মুখটা সাদা, চোখ বড় বড় করে খোলা, আর ঠোঁটে একটাই শব্দ আঁকা —
“সত্যি...”

এরপর কেউ আর সাহস করেনি ওই ঘরের কাছে যাওয়ার -
62 Views
0 Likes
0 Comments
0.0 Rating
Rate this: