১৭.
সময় যে কোন দিক দিয়ে চলে যায় তা বোঝা মুশকিল। দেখতে দেখতে সপ্তাহ ঘুরে গেছে। আজ শনিবার। নতুন একটি দিনের সূচনা। আখি এ কদিনে পুরো সময়টা আরামে কাটিয়েছে। হ্যাঁ, একটু কাজের চাপ ছিলো। তবে এ কদিনে সে যে পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে, তার কাছে সেই কাজের চাপ কিছুই নয়। আখি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলো যে এই সপ্তাহেই মাহিরের দেশে ফেরার কথা।
ম্যানেজার নিজের কেবিনে বসে গজগজ করছে। কারণ আখি আজকে সকালে কাজে একটু ভুল হওয়ার কারণে তাকে একটু ঝাড়ি দিয়েছে। আজকাল প্রায়ই এসব সহ্য করতে হয় তাকে।
- মাহির স্যার একটা বলদ। বলদের থেকেও অধম বলতে হয় ওনাকে। নাহলে আখির মতো একটা মেয়েকে কেউ গার্লফ্রেন্ড বানায়? আরে তুই এত বড় একটা কোম্পানির বস, তুই গার্লফ্রেন্ড করবি societyর একটা high status যুক্ত কোনো মেয়েকে। তা না করে কাকে গার্লফ্রেন্ড করেছে, আখিকে....। যে কিনা কোম্পানির সাধারণ একটা এমপ্লয়ি ছিলো। কী আর বলবো, উনি যে কত বড় বলদ সেটা এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে। আজকে ঐটুকু মেয়ের জন্য আমাকে নিজের কেবিন ছাড়তে হয়েছে, ওর কাছে ঝাড়ি খেতে হচ্ছে, ওর পায়ে পর্যন্ত পড়তে হয়েছে। এমন একটা দুর্দিন আমার আসবে স্বপ্নেও আমি সেটা ভাবতে পারিনি। (ম্যানেজার)
এমন সময় তার ফোনটা বেজে উঠলো। স্ক্রিনে Boss শব্দটি দেখে সে সজাগ হয়ে বসলো। আর ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরে বললো-
- Hello, good morning sir. (ম্যানেজার)
- Good morning. (মাহির)
- স্যার আপনাদের খবর-সবর ভালো তো, মানে বড় স্যার, ম্যাডাম সবাই ভালো আছেন তো। (ম্যানেজার)
- আমি নিশ্চয়ই আমার ফ্যামিলির খবর দিতে আপনাকে ফোন করিনি। (মাহির)
- Sorry sir. (ম্যানেজার)
- আমি অফিসের নতুন রুলসগুলো দেখলাম। সবগুলো রুলসই মোটামুটি আমার ভালো লেগেছে। (মাহির)
- ভালো তো লাগতেই হবে স্যার। আখি ম্যাডাম যে সব রুলসগুলো তৈরি করেছেন। (ম্যানেজার)
- হুম, উনি আসার পর তো কোম্পানির প্রফিটও আগের থেকে বেড়েছে দেখছি। (মাহির)
- বাড়বে না কেন স্যার, সব তো আখি ম্যাডামের প্ল্যানিংয়ে হচ্ছে। (ম্যানেজার)
- হুম, এমন stuff এরই দরকার অফিসে। যাই হোক, যেটা বলতে ফোন করেছিলাম, আপনাকে জানিয়ে দিচ্ছি আমরা আগামীকাল সকালে বাংলাদেশে back করছি। বিকেলের দিকে আমি অফিসে যাবো। আর কেন এটা আপনাকে জানালাম, সেটা তো বুঝতেই পারছেন........ (মাহির)
- Yes sir, যাতে সব কাজ গোছানো থাকে। (ম্যানেজার)
- Good, ফোন রাখছি। (মাহির)
- স্যার একটা কথা বলার ছিলো। (ম্যানেজার)
- বলুন। (মাহির)
- আপনার একটা ছবি যদি পাঠিয়ে দিতেন। মানে আমরা তো কেউ আপনাকে কখনো দেখিনি। তাই আপনাকে দেখলে নাও চিনতে পারি। আপনার একটা ছবি দিলে আপনাকে চিনতে সুবিধে হতো আরকি। (ম্যানেজার)
- তার কোনো দরকার নেই। আমার আপনাদের চিনলেই হবে। আপনাদের আমাকে চিনতে হবে না। যখন চেনার তখন চিনে যাবেন। তাহলে অফিসের সবকিছু গুছিয়ে রাখুন। আমি এসে যেন objection না করতে পারি। (মাহির)
- Okey sir. (ম্যানেজার)
কল কেটে গেলে ম্যানেজার ভাবলো-
- ইনি তো কাল আসছে। আখির সাথে আমি যে ব্যবহার করেছি, সেটার কথা আর আমার কাজে ফাকিবাজির কথা যদি আখি বসের কানে তুলে দেয়, তাহলে তো আমি শেষ। না, আখি বসকে কিছু বলার আগেই ওকে মানাতে হবে।
ম্যানেজার এই ভেবে আখির কেবিনের দিকে ছুট দেয়।
১৮.
আখি নিজের কেবিনে কিছু ফাইল ঘাটছিলো। ম্যানেজার আখির কেবিনে ঢুকে চেয়ার টেনে বসে বলে-
- ম্যাডাম, বলছি কিছু কথা ছিলো। (ম্যানেজার)
আখি ফাইল থেকে চোখ তুলে বলল -
- কি কথা? বলে ফেলুন। (আখি)
আখি এই বলে আবার ফাইলে মুখ ডোবালো।
- ম্যাডাম, মাহির স্যার আমাকে একটু আগে ফোন করে বললেন যে উনি নাকি কালকে দেশে ফিরছেন। (ম্যানেজার)
এই কথা শুনে আখি ফাইল থেকে মুখ তো তুললোই পাশাপাশি তার চোখদুটো স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বড় হয়ে গেল। ম্যানেজার সে সময় মুখে কিছুটা লাজুক হাসি এনে মাথা নিচু করে বললো-
- আসলে ম্যাডাম, স্যার তো কালকে আসছেন, উনি এলে ওনার কাছে আমার একটু সুনাম করলে ভালো হতো। মানে উনি যেন আমার প্রতি একটু impressed হয় আরকি। আমি জানি, আমি আপনার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি। কিন্তু তখন তো আমি জানতাম না আপনি মাহির স্যারের গার্লফ্রেন্ড। তাই সব ভুলে.........(ম্যানেজার)
ম্যানেজার এবার আখির দিকে তাকালো। আখি খুব অন্যমনস্ক ও চিন্তিত হয়ে দাঁত দিয়ে নিজের নখ কাটছে। সে আখিকে ডাক দিলো।
- ম্যাডাম.....(ম্যানেজার)
আখির এবার স্তম্ভিত ফেরে। সে সজাগ হয়ে বলে-
- হ....হ্যাঁ, কিছু বলছিলেন? (আখি)
- হ্যাঁ, মানে কালকে স্যার আসলে যদি আমার সম্পর্কে স্যারের কাছে একটু প্রশংসা করতেন, তাহলে ভালো হতো আরকি। (ম্যানেজার)
- আচ্ছা, সমস্যা নেই। আমি বলে দেবো। (আখি)
ম্যানেজার মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে বলে -
- Thank you madam. (ম্যানেজার)
- ম্যানেজার সাহেব..... (আখি)
- জ্বী ম্যাডাম। (ম্যানেজার)
- আপনি বললেন আপনার স্যার কালকে আসছেন তো? (আখি)
- Yes madam. (ম্যানেজার)
- মানে কালকেই। আপনি সিওর তো? (আখি)
- হ্যাঁ, ম্যাডাম। কেন আপনি জানেন না? আপনাকে স্যার বলে নি? (ম্যানেজার)
- (মেকি হেসে) বলবে না কেনো? বলেছে তো। আমাকে তো আপনার স্যার গতকাল রাতেই ফোন করে বললো- জান, আমি পরশু আসছি। তোমার সাথে দেখা হবে। (আখি)
ম্যানেজার একটু লজ্জা পাওয়ার ভান করলো।
- আমি আপনার স্যারের দশটা না পাঁচটা না একটা মাত্র গার্লফ্রেন্ড, আমাকে বলবে না তো কাকে বলবে? ও তো সবার আগে আমাকে বলেছে। আমি খুব excited. জানেন, ও আমার জন্য বিদেশ থেকে কত কি নিয়ে আসছে!! After all আপনার স্যারের সাথে এটা আমার প্রথম দেখা। (আখি)
- তা তো হবেনই। আপনি স্যারের এত কাছের একজন মানুষ। আপনাকে আমার এ ধরনের প্রশ্ন করা উচিতই হয়নি। (ম্যানেজার)
- ম্যানেজার সাহেব, আসলে কি বলুন তো, এখন না আপনার সামনে বসে থাকতে আমার প্রচন্ড লজ্জা করছে। বিশ্বাস করুন অনেক লজ্জা করছে। আমি গেলাম হ্যাঁ। (আখি)
ম্যানেজার লাজুক হেসে মাথা নিচু করে বললো-
- আপনার তো লজ্জা পাওয়ারই কথা। আমারই উচিত হয়নি আপনার সামনে এতক্ষণ থাকার। আমি.....(ম্যানেজার)
ম্যানেজার মুখ তুলে সামনে তাকিয়ে দেখে আখি আখির সিটে নেই। সে পেছনে তাকালে আখিকে তার ভেনিটি ব্যাগ হাতে করে বেরেয়ে যেতে দেখতে পায়। সে আখিকে ডাকলেও আখি শোনে না।
আখি সকালবেলায় অফিসের সব কাজকর্ম ফেলে বাড়ি চলো গিয়েছিলো। চিন্তায় চিন্তায় তার মাথার সমস্ত তার কেটে যাওয়ার যোগান। সে বুঝতেই পারছে না কি করবে। কাল যদি সত্যি সত্যি মাহির ফিরে আসে তাহলে তো সব শেষ। সবাই মাহিরের চালচলন দেখেই বুঝতে পেরে যাবে আখি মাহিরের গার্লফ্রেন্ড নয়। তখন কি হবে? তাকে তো মনে হয় অফিস থেকেই বের করে দেবে। এই চিন্তায় সে পাগল হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে কোনো বুদ্ধিও মাথায় আসছে না। মাহিকে তো আর দেশে ফেরার থেকে আটকাতে পারবেনা।
সকালবেলা অফিস থেকে চলে এলেও সন্ধ্যেবেলা ঘুরেফিরে তাকে আবার অফিসে যেতে হয়। অনেক কাজ বাকি ছিলো। ওদিকে আবার আগামীকাল বস আসছে। সব কাজ গুছিয়ে রাখতে হবে। তাই তাকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আবার অফিসে যেতে হয়।
১৯.
- হ্যালো স্যার...
- হুম বলো। কোনো নতুন খবর?
- Yes sir, আছে। যেটা শুনলে আপনি খুশি হয়ে যাবেন।
- কি খবর বলে ফেলো।
- মাহির রওশন স্বপরিবারে আগামীকাল সকালে দেশে আসছে।
- বাহ্, খুব ভালো খবর। এই খবরটা শোনার জন্যই তো এতদিন অপেক্ষা করছিলাম। এভাবে চব্বিশ ঘন্টা রওশন এন্টারপ্রাইজের সমস্ত খবরাখবর আমাকে দিতে থাকো।
- আপনি কোনো চিন্তা করবেন না। খবর আসতে সময় লাগবে কিন্তু আপনার কাছে পৌঁছাতে সময় লাগবে না।
- হুম।
কল কেটে যাওয়ার শব্দ হলো। এক যুবক জানালার সামনে গিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়ালো।
- এবার খেলা হবে সামনাসামনি। এতদিন তো বিদেশে থেকে বেঁচে ছিলি আমার থেকে। এবার কি করবি মাহির। তুই দেশে ফিরে তো নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলি। একে একে সবাইকে হারাতে হবে তোকে। সেদিন খুব অপমান করেছিলো না তোর বাবা আমার বাবাকে? খুব কথা শুনিয়েছিলি আমায়। নিঃস্ব করে দিয়েছিলি আমার পুরো পরিবারকে, তাই না। সবকিছুর হিসেব কড়ায় গন্ডায় মেটাবো আমি। শুধু একবার দেশে আয়। তবে কালকে যখন তুই ফিরছিস, তাহলে খেলাটা তো আজ থেকেই শুরু করতে হয়। (যুবকটি)
যুবকটির মুখে কুটিল হাসি দেখা যায়।
২০.
আখি নিজের কেবিনে বসে কাজ করছে। এমন সময় অফিসের পিওন তপু তার কাছে খবর নিয়ে আসে আগারওয়াল ইন্ডাস্ট্রিসের মালিক নিলিম আগারওয়াল তার সাথে দেখা করতে চাইছে। সে তাকে ভেতরে পাঠিয়ে দিতে বলে-
- আরে Mr. Agarwal যে, আমাদের অফিসে হঠাৎ কী মনে করে? (আখি)
- কিছু মনে করে নয়, এমনি দেখা করতে এলাম। (নিলিম)
- ও। বসুন না। দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? (আখি)
নিলিম আখির টেবিলের সাথে লাগোয়া চেয়ারটায় বসে।
- তো কি নেবেন? চা নাকি কফি? (আখি)
- কিছুই না। (নিলিম)
- তা বললে কি হয়? আপনি প্রথমবার আমাদের অফিসে এসেছেন, কিছু না খেলে হয়? (আখি)
- আমি খাবো তো অবশ্যই। তবে এখানে নয়। আপনার সাথে৷ (নিলিম)
- মানে? (আখি)
- আপনি ভুলে গেলেন নাকি, ঐ দিন ফ্যাক্টরির মধ্যে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিলো পরেরবার দেখা হলে আপনাকে আমার সাথে কফি খেতে হবে। (নিলিম)
- ওহ,,হো,,, মনে পড়েছে। আসলে এত কাজের চাপ যে ঐদিন ফ্যাক্টরির কথাটা একেবারে ভুলে গেছি। I'm so sorry Mr. Agarwal. (আখি)
- আরে সরি বলার দরকার নেই। আপনি ভুলে যেতেই পারেন। আমি তো আছি আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। তা আজকে যাওয়া যাবে তো ক্যাফেতে? (নিলিম)
- sure, কেন যাবে না। (আখি)
- তাহলে চলুন, যাওয়া যাক। (নিলিম)
এরপর নিলিম ও আখি অফিস থেকে বের হয়ে একটি বিলাশবহুল ক্যাফেতে গেলো। তারা দুজন একটি ফাঁকা জায়গা দেখে বসে পড়ল।
- কি খাবেন? (নিলিম)
- একটা কোল্ড কফি অর্ডার দিন। তাহলেই হবে। (আখি)
- ওকে। (নিলিম)
নিলিম এরপর একজন ওয়েটারকে ডেকে কোল্ড কফি অর্ডার দিল।
- তো বলুন, কি খবর আপনার? (নিলিম)
- কি আর খবর থাকবে? কালকে বস আসছে। তাই কাজে ডুবে আছি। আপনার খবর বলুন। (আখি)
- আমি তো ভালোই আছি। তবে আপনার সাথে এখানে আসতে পেরে আরও ভালো হয়ে গেলাম। (নিলিম)
- তাই নাকি? (আখি)
- হুম। আপনার মতো cute girl সাথে থাকলে সবারই ভালো লাগে। (নিলিম)
- আপনি কিন্তু খুব ভালো flighting করতে পারেন। আমি সেদিনও লক্ষ্য করেছি। (আখি)
- Flirting আর করতে পারি কোথায়। পারলে এতদিনে হাজারটা গার্লফ্রেন্ড হয়ে যেতো। আর তাছাড়া আমি আপনার সম্পর্কে যা বলছি সব মন থেকে বলছি। আপনি সত্যিই অনেক সুন্দরী। (নিলিম)
নিলিমের কথা শুনে আখি হাসতে লাগলো।
- আপনার হাসিটাও অনেক সুন্দর। (নিলিম)
- Mr. Agarwal, এবার কিন্তু আপনি একটু বেশি বলছেন। (আখি)
- আচ্ছা ঠিক আছে আর বলবো না। তবে আমাকে এই Mr. Agarwal না বলে নিলিম বলে ডাকুন। আর আপনিটাকেও তুমি করে দিন। এগুলো অফিসে মানায়। বাইরে আপনার মতো সুন্দরীর মুখে অন্তত এসব শুনতে ভালো নাগছে না। (নিলিম)
- Okey. (আখি)
- May I call you Akhi? (নিলিম)
- Sure, why not? (আখি)
- Okey, আখি, একটা পার্সোনাল প্রশ্ন করি? কিছু মনে করবে না তো? (নিলিম)
- করেই দেখো। (আখি)
- একটা সত্যি কথা বলতো, তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে? (নিলিম)
- হঠাৎ এই প্রশ্ন? (আখি ভ্রূ কূচকে)
- এমনি, জানতে ইচ্ছে হলো তাই বললাম। (নিলিম)
- Not yet. (আখি)
- সত্যি তো? মানে তোমার মতো সুন্দরী মেয়ের কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। (নিলিম)
- বিশ্বাস করা না করা তোমার ব্যপার। কিন্তু সত্যি আমার তেমন কেউ নেই। (আখি)
তাদের মধ্যে এভাবে কথোপকথন চলতে লাগলো। নিলিম আখির সাথে বন্ধুর মতো মিশতে লাগলো। আখিও তার সাথে তেমন ব্যবহার করতে লাগলো। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে বেশ ভালো একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে গেলো। কথোপকথনের একপর্যায়ে নিলিম বলল-
- একটা কথা বলব? (নিলিম)
- হ্যাঁ, বলো না। (আখি)
- তোমাকে দেখে tranced মনে হচ্ছে। কিছু নিয়ে কি চিন্তা করছো? (নিলিম)
- না... মানে, কালকে বস আসছে তো। শুনেছি উনি নাকি অনেক রাগী। তাই ওনাকে নিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে। (আখি)
আখির ডানহাতটা টেবিলের উপরে রাখা ছিল। নিলিম তার ডানহাত আখির ডানহাতের ওপর রেখে আশ্বাস দিয়ে বললো-
- চিন্তা করোনা। মন দিয়ে কাজ কর। তাহলেই হবে। (নিলিম)
আখি জোর করে মুখে একটি হাসি টেনে নিজের হাতটা সরিয়ে নিলো। নিলিমের স্পর্শে যেন আশ্বাসের সাথে অন্য কিছু একটা ছিল। যেটা আখি বুঝতে অক্ষম।
চলবে..............
আমি যে এত এত লেট করে একেকটা পর্ব প্রকাশিত করি, তারপরও যারা আমার পাশে থাকেন, তাদের ধন্যবাদ। আজকাল কাজের চাপে এতটা ডুবে থাকি যে কোনো কমেন্ট পেলে তারপর মনে পড়ে-আমার গল্প প্রকাশিত করতে হবে। যেমন-গতকাল একটা কমেন্ট পেয়েছি দেখে দ্রুত রিচেক দিয়ে আজকের পর্বটি প্রকাশ করলাম।
পরিণীতাসক্তি
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
69
Views
4
Likes
1
Comments
5.0
Rating