শুধু তোমারই জন্য

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আজ আবারও নতুন একটি সকাল। আর শহরে সকাল মানেই ব্যস্ততা। সকাল হতে না হতেই যে যার কর্মস্থলের দিকে ছুটে চলেছে। অরিনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হলো না। আজ তার এমনিই একটু দেরি হয়ে গেছে। তারওপর সকাল সকাল হলো এক ঝামেলা। অরিনসহ তার পুরো পরিবার তখন ব্রেকফাস্ট করার জন্য ডাইনিং টেবিলে বসে আছে। অরিনের মা কেবল খাবারের প্লেটগুলো ডাইনিংয়ে রেখেছেন,তখনই সুমি বলে উঠল-

- আপনারা কদিন থেকে লক্ষ্য করেছেন,অরিন কলেজ থেকে দেরী করে বাড়ি ফিরছে। (সুমি)

- তাই নাকি অরিন? তা দেরী করার কারণটা জানতো পারি? (আবীর)

- কলেজে Annual Sports এর practice চলছে। তাই ফিরতে একটু লেইট হচ্ছে। (অরিন)

- এখন কী আমাকে এটাও শুনতে হবে যে তুই সেখানে participate করছিস, যে তুই ছোট থেকে কোনো co-curriculum activities এ নাম দিস না। (আবীর)

- আপু শুধু participateই করছে না ভাইয়া। বরং, leader হয়ে সবাইকে practice ও করাচ্ছে। সবার সাথে মিশছে। আর জানো ওর কত friend ও হয়েছে। (নোয়েল)

- এত friend বানিয়ে হবে কী? আজকাল friend রা মানুষের উপকার নয় বরং ক্ষতি করছে। আর মানুষের সাথে এত মিশে কী হবে? কার মনে কি আছে সেটা কে বলতে পারে। এত মিশতে হবে না মানুষের সাথে। চুপচাপ কলেজে যাবি, পড়বি, আর চলে আসবি। (আবীর)

- ছোট থেকেই তো কারও সাথে মিশতাম না ভাইয়া। আর সেটা বড় হয়ে এমন রূপ নিল যে সেটা আমার একটা মানসিক রোগে পরিণত হলো। আমি কারো সাথে কথা বলতেও hesitate feel করতাম। আজ আমি স্বাভাবিক হয়েছি, শুধুমাত্র আমার friendদের জন্য ভাইয়া। তোমার কথাও ঠিক, আজকাল ফ্রেন্ডরাই মানুষের ক্ষতি করছে। কিন্তু তুমি নিজেই যদি ভুল মানুষের সাথে friendship কর, তাহলে সেটা হওয়া স্বাভাবিক। আর আমি আমার ফ্রেন্ডদের চিনি ভাইয়া। ওরা আমার ক্ষতি করতে চাইলে আমাকে ওই মানসিক ট্রামা থেকে বের করত না। (বলে অরিন উঠে যেতে লাগল)

- আরে পুরো খাবারটা তো খেয়ে যা... (অরিনের মা)

-আমার খাওয়া হয়ে গেছে মা। নোয়েল, খাওয়া শেষ করে তাড়াতাড়ি আয়। (অরিন এই বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল)

- ধূর, ভালো লাগে না রোজকার এই অশান্তি। (বিরক্তি সহকারে বলল অরিনের মা)

___________________

In the College..............................

অরিন আর লিসা দুটো ক্লাস করে ক্লাস থেকে বের হচ্ছিল।মাঠ থেকে ড্রাম বাজানো আর মাইকের শব্দ আসছে। এখন practice শুরু হবে। এমন সময় লিসা বলল-

- দোস্ত, খুব ক্ষুধা লেগেছে। (লিসা)

- বাসা থেকে খেয়ে আসলাম না আমি, আর ক্ষুধা লাগল তোর। (অরিন)

- ওহ, তুইও খেয়ে আসিস নি, তাহলে তোরও নিশ্চয়ই ক্ষুধা লেগেছে। চল দুজনে ক্যান্টিন থেকে কিছু খেয়ে আসি। (বলে লিসা অরিনের হাত ধরে টেনে ক্যান্টিনের দিকে নিয়ে যেতে লাগল)

- আরে আমাকে practice করাতে যেতে হবে (অরিন)

কিন্তু লিসা তো লিসাই। সে বলল-

- আরে,একটু দেরি করে গেলে কিছু হবে না। তুই চল তো। (লিসা)


In the canteen.....................

- কী খাই বলতো? (লিসা)

- আমি কী জানি? (অরিন)

-ওটাই তুই জানিসটা কী?(লিসা)

- অনেককিছু। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানি, নিউটনের গতির তিনটে সূত্র জানি আর....(অরিন)

- হয়েইছে মা আমার,থাম এবার। আমাকে অর্ডার দিতে দে। আংকেল.... দুটো আইসক্রিম আর দুটো বার্গার দিন। (সেলসম্যান এর উদ্দেশ্যে লিসা)

- এই দুটো কেন? (অরিন)

- একটা তোর আর একটা আমার। (লিসা)

- এই আমি কিছু খাবনা। আর টাকাটাও তো ব্যাগে আছে। আমি তো এখানে আনিনি। (অরিন)

- কিছু খাবিনা মানে কি হ্যাঁ? এখন এই খালিপেটে রোদে যাবি practice করাতে? চুপচাপ খা আমি যা দিচ্ছি। আর টাকা তোকে দিতে হবে না। মনে কর আজ আমি ট্রিট দিলাম তোকে। বার্তি একটা কথা বললে তোর মুখে ঢুকিয়ে দেব এগুলো। (লিসা)


লিসা ছদ্মরাগ দেখিয়ে কথাগুলো বললেও অরিনের চোখের কোণে তার কথায় কয়েকফোটা অশ্রু জমা হয়। তবে সে সেটি লুকাতে সক্ষম হয়। মনে মনে তাচ্ছিল্য হেসে বলে-"এই ফ্রেন্ড নাকি আমার ক্ষতি করবে।"

সেলসম্যান অরিনদের দুটো আইসক্রিম আর দুটো বার্গার দেয়। লিসা বার্গার রেখে আগে আইসক্রিম খাওয়া শুরু করে।

- মানুষ আগে বার্গার খায় আর তুই আইসক্রিম খাচ্ছিস (অরিন)

- আমি সবসময়ই অন্যদের থেকে different. (লিসা)

- একটু বেশিই different. (অরিন)


দুজনে আবার খাওয়ায় মনোনিবেশ করল। এমন সময় সেখানে লিওন আসে। আর অরিনকে বলে-

- তুই এখনও practice এ যাসনি? (লিওন)

- হ্যাঁ,আমি এখনই যেতাম। কিন্তু লিসা জোর করে এখানে আনল। খাওয়া শেষ করেই চলে যাব। (অরিন)

- ওহ। (লিওন)

লিওন লিসার দিকে তাকাল। দেখল লিসা পুরো বাচ্চাদের মতো আইসক্রিম খাচ্ছে। একটুখানি আইসক্রিম তার ঠোঁটের উপরে লেগে আছে। যার ফলে ওকে অনেক কিউট আর বিড়ালের মতো লাগছে।

লিওন ওর দিকে ওভাবেই প্রায় পাঁচমিনিট তাকিয়ে থাকে।অরিন ততক্ষণে খাওয়া শেষ করে চলে গেছে।

- তোমার ঠোঁটের উপরে আইসক্রিম লেগে আছে। (লিওন)

- কোথায়? (লিসা আন্দাজে মুছতে মুছতে)

- উঠেছে? (লিসা)

- না। (লিওন)

- আপনি প্লিজ একটু মুছে দিন।নাহলে সবাই আমায় নিয়ে হাসাহাসি করবে। (লিসা)

লিসা এত সুন্দর করে অনুরোধ করলে যে লিওন তার কথা ফেলতে পারে না। সে একবার এদিক ওদিক তাকিয়ে লিসার একটু কাছে গিয়ে তার ঠোঁটের দিকে আস্তে আস্তে নিজের বৃদ্ধাঙ্গুলি এগিয়ে নিয়ে যায়। সে আইসক্রিম কিছুটা মুছেছে অমনি একটা নকল কাশির শব্দ শুনতে পায় সে।

- অহুম....অহুম... বলছি হচ্ছেটা কি এখানে? (আকাশ)


লিওন ছিটকে লিসার থেকে দূরে সরে আসে। দেখে আকাশ তাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছোট ছোট চোখ করে তাদেরকে দেখছে। লিওন অস্তিত্বতে পড়ে যায়। সাথে লিসাও কিছুটা লজ্জা পেয়ে যায়। সে মেঝেতে এলোমেলোভাবে এদিক ওদিক তাকাতে থাকে।

- ত...তুই এখানে... (লিওন)

- কিছু খেতে এসছিলাম। কিন্তু এসে এই দৃশ্য দেখেই পেট ভরে গেল। কি চলছিল এখানে? (আকাশ)

- কী আবার চলবে? কিছু না। ওর ঠোঁটের উপরে একটু আইসক্রিম লেগে ছিল সেটা মুছতে just help করছিলাম। (লিওন)

- just এটাই, আর কিছু না? (আকাশ সন্ধিহান দৃষ্টি নিক্ষেপ করে)

- আর কী আশা করছিস? (লিওন)

- আ...আমি বরং যাই। আমায়  ডান্স practice করাতে হবে। (লিসা এই বলে একপ্রকার পালিয়ে গেল)

- আমিও যাই। প্যারেটের practice করাতে হবে। (লিওনও এই বলে মাঠের দিকে পা বাড়ালো)

- এদের মধ্যে কিছু তো একটা চলছে। এবার Detective Akash কে মাঠে নামতে হবে। (আকাশ)


মাঠে এসেই অরিন আবার প্র্যাকটিস করাতে লেগে পড়েছে। টানা দু'ঘণ্টা প্র্যাকটিস করানোর পর অরিন হাপিয়ে যায় এমন সময় অনি আসে। তাকে দেখেই অরিন চোখ মুখ কূচকে বলে-

- এই, তোর কি আজকেও নাটকের রিহার্সাল নেই? (অরিন)

- ছিল তো, রিহার্সাল শেষ হয়ে গেছে। (অনি)

- তাই আবার জ্বালাতে চলে এসেছিস? (অরিন)

- ঠিক ধরেছিস। (অনি দাঁত বের করে)

- আমি জানি তুই আজকে দাঁত মেজে এসেছিস। তাই দাঁত দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই। যাক গে, এসে ভালোই করেছিস। কিছুক্ষণ কমান্ড দে তো। আমি হাপিয়ে গেছি। (অরিন)

- তুই ওকে মেয়েদেরকে কমান্ড দিতে বলছিস? দেখবি কমান্ড না দিয়ে মেয়েদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। তারপর ফ্লার্ট করা শুরু করে দিয়েছে। (লিওন)

- না, না, অনি আমাদের good boy. এমন কোনো কিছু করবেই না। তাই না অনি? (অরিন)

- গ্যারান্টি দিতে পারছিনা। (অনি)

- দেখলি? (লিওন)

- যা পারিস কর, কিন্তু আমাকে ১০ মিনিট রেস্ট দে। (অরিন)

- আচ্ছা তুই যা। আমি দেখছি। (অনি)

- আচ্ছা। (বলে অরিন একটু জিরিয়ে নিতে চলে গেল)

- তুই ঐদিকে কমান্ড দে, আমি এদিকে দিচ্ছি। (লিওন)

- Ok our main prefect. (অনি)

অনি লিওনের হাতের বামপাশে গিয়ে দাড়ায়। নিজের পজিশন নিতেই অনির মুখের অভিব্যক্তি বদলে যায়। ঠোঁটের কোণ থেকে হাসি হাসি ভাবটা বদলে নিজের মুখটা কঠোর করে ফেলে সে। তারপর জোরে চেঁচিয়ে বলে-

- নজরুল ইসলাম হাউস, আরামে দাঁড়াবে,আরামে দাঁড়া (অনি)


সবাই তার কথামতো দুই হাত পেছনে দিয়ে আরামে দাঁড়াল।

- নজরুল ইসলাম হাউস সা...........(অনি)

অনি আর কিছু বলার আগে তার চোখ গেল একটি মেয়ের দিকে। ওমনি মেয়েটার সৌন্দর্য দেখে তার কথা বন্ধ হয়ে গেল। মেয়েটির ফর্সা ত্বক দীর্ঘক্ষণ রোদে প্র্যাকটিস করার কারণে লাল হয়ে গেছে। তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। মেয়েটির সামনের চুলগুলো আজ ক্লিপের বাঁধ মানে নি। তার ছোট ছোট চুলগুলো মুখের সামনে পড়েছে। এতক্ষণ রোদে প্র্যাকটিস করার জন্য তার চোখে মুখে বিরক্তির চাপ স্পষ্ট।

- কিরে কোন দুনিয়ায় হারিয়ে গেছিস? (লিওন)

- ক.....কি হলো.... (অনি)

- কি আবার হবে?কমান্ড দিচ্ছিস না কিসের জন্য? (লিওন)

- না মানে এমনি একটা কথা মনে পড়ে গেল তো। (লিওন)

- তুই সত্যিই আজব দুনিয়ার মানুষ। (লিওন)

- (অরিন এসে)Thank you ভাই এখন যা। মেহেরুন্নেসা ম্যাম রেস্ট নিতে দেবেনা। (অরিন)

- ওহ,আমি তাহলে আসছি। (অনি)


অনি চলে যেতে গিয়েও ঘুরে এলো। অনি তা দেখে ভ্রূ কূচকে বললো-

- কি হলো? (অরিন)


অনি অরিনের প্রশ্ন না শুনে লাইনের দিকে তাকালো। মেয়েটির উদ্দেশ্যে বললো-

- এই যে নীল ক্যাপ...... (অনি)


অনির ইঙ্গিত বুঝতে পেরে মেয়েটি তার দিকে তাকালো। রিনরিনে কণ্ঠে বললো-

- আমি? (মেয়েটি)


অনি আরেকবার মুগ্ধ হলো তার গলা শুনে। মনে মনে বললো-

- ইস্, এত নিষ্পাপ কণ্ঠ!! মাশাআল্লাহ। (অনি)

তবে মুখের অভিব্যক্তি না বদলে বললো-

- তুমি সামনে এসে দাঁড়াও। তোমার হাইট একটু শর্ট। পেছনে মানাচ্ছে না। (অনি)

অনির কথায় মেয়েটি বাধ্য মেয়ের মত সামনের লাইনে এলো। সে যাওয়ার আগে মেয়েটির নেমপ্লেটের দিকে তাকালো। দেখতে পেল সেখানে আনুশা লেখা। সে অল্প হেসে আনমনে বলল-

- আনুশা, nice name. (অনি)

_________________


এভাবে দিন যেতে থাকলো। অরিনরা তাদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছে ভালো করার। নিয়মিত practice সাথে সন্ধ্যাবেলা whatsapp গ্রুপে ডিসকাশন তো আছেই। লিওন ছেলেদের প্র্যাকটিস করানোর পর মেয়েদের প্রাকটিস দেখতো। প্রয়োজন হলে কমান্ডও দিতো। সাথে হাসি মজা তো আবশ্যক।

এমন একদিন অনি প্র্যাক্টিস শেষে মাঠের মধ্যে একটা একটি বেঞ্চে বসে ছিল। সে বেঞ্চের একটি কোণে বসে ছিল। ক্লাস এইটের কিছু মেয়ে বসার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিল না। যদিও বা পেল কিন্তু দেখল সেখানে এক কোণে অনি বসে আছে। আর তার পাশে পুরো বেঞ্চটা ফাঁকা। এখন অনির সাথে তো এক বেঞ্চে বসা যাবে না। তাই তারা তাকে সেখান থেকে উঠানোর প্ল্যান করল। ওদের মধ্যে থেকে একটি মেয়ে অনির পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো। আরেকটি মেয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে সেই মেয়েটি বরাবর অনির সামনে দাঁড়ালো। তারপর সেই মেয়েটি অনির দিকে হাত বাড়িয়ে ওর দিকে ছুটে আসছিল।অনিতো মহাখুশি। সে ভেবেছে মেয়েগুলো নিজে থেকে তাকে জড়িয়ে ধরতে আসছে। কিন্তু ওর আশায় এক বালতি পানি ঢেলে মেয়েটি অনির পেছনের মেয়েটিকে গিয়ে জড়িয়ে ধরল। বেচারা অনি কাচুমাচু মুখে আবার বসে পড়ল। মেয়েগুলো ভেবেছিল অনি ভয় পেয়ে হয়তো বা ওখান থেকে উঠে পড়বে। কিন্তু সেগুরে বালি। শেষে ওরা চারজন অনির থেকে কিছুটা দূরত্ব রেখে বসে পড়লে বেঞ্চে।ওরা ভেবেছিল হয়তো বা এবার অনি উঠে যাবে। কিন্তু তাও না গেলে ওদের মধ্য থেকে একজন বিরক্তি প্রকাশ করে বলে -

- এই ব্যাটা যায় না কেন? কখন থেকে উঠাতে চাচ্ছি একে। (একটি মেয়ে)

- ব্যাটার স্বভাব ভালো না। কি নির্লজ্জ ভাই!! (আরেকটি মেয়ে)

অরিন আর লিসা তো সবই দেখেছে। মেয়েগুলোর কথাও শুনতে পাচ্ছে ওরা। দুজনে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে।


অরিন কোনমতে হাসি থামিয়ে বলল -

- আমাদের ওদেরকে হেল্প করা উচিত। (অরিন)

- যা বলেছিস বেচারারা কখন থেকে অনিকে এখান থেকে সরাতে চাচ্ছে কিন্তু অনি উঠছেই না (লিসা)

অরিন হেসেই চলেছে। কিন্তু কোনোমতে হাসি থামিয়ে তারা অনির কাছে গেল।

- এই অনি মেহেরুন্নেসা ম্যাম তোকে ডাকছেন। (অরিন)

- কেন? (অনি)

- প্যারেটে ফাইনালে যারা যারা থাকবে তাদের নামের লিস্ট জমা দিতে হবে। (অরিন)

- ও আমি যাচ্ছি তাহলে। (অনি এই বল চলে গেল)

- Thanks apu. (ওই চারজনের মধ্যে একটি মেয়ে)

- হুম। তোমরা ওর ব্যবহারে কিছু মনে করো না। ও এরকমই। (অরিন)

- হ্যাঁ, আগে শুনেছিলাম, এখন স্বচক্ষে দেখলাম। প্রিফেক্টও এমন হয়। (একটি মেয়ে)


সবাই উচ্চস্বরে হেসে ফেললো।

____________________


দেখতে দেখতে ফাইনাল চলে এলো। এর মধ্যে নীল অনেক বার অরিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু অরিন পাত্তা দেয়নি। তার একটুও পছন্দ নয় ছেলেটাকে। পাশাপাশি তার সম্পর্কে অনেক বাজে বাজে অভিযোগও শুনতে পেয়েছে অরিন। তাই তাকে পাত্তা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

আজ সকাল থেকে সবাই খুব ব্যস্ত। পাশাপাশি প্রচন্ড নার্ভাসও। এতদিনের পরিশ্রমের ফল আজ কি হবে সেটার চিন্তায় সবার মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার যোগান।

সবাই যথাসময়ে মাঠে উপস্থিত হল। আর আধঘন্টা পর প্রধান অতিথি আসার সাথে সাথে প্যারেট শুরু হবে। কিন্তু অরিনের কোন খবর নেই। সে যে ওয়াশরুমে গেল আর আসার নাম নেই। লিওন কিছু লোক পাঠালো তাকে খোঁজার জন্য। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে এলো। এদিকে সময় বাড়ার সাথে সাথে লিওনের চিন্তা বাড়তে থাকে। শেষে লিওন আকাশকে কল করে-


- হ্যালো। (আকাশ)

- হ্যালো আকাশ, অরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। (লিওন উদ্বিগ্ন হয়ে)

- What! Function শুরু হতে আর মাত্র ২০ মিনিট আছে। আর ওকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? How irresponsible! (আকাশ)

- গালাগালি পরে দিবি। এখন কিছু একটা ব্যবস্থা কর। (লিওন)

- ওকে কখন থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? (আকাশ)

- প্রায় আধঘন্টা। (লিওন)

- ঠিকাছে আমি দেখছি। (আকাশ)

- Okey (লিওন)


চলবে..............


আমার এমনি বারোমাসে তেরোটা পরীক্ষা চলতে থাকে। অতগুলো মোটা মোটা বই মাথায় ঢুকানোর পর কি আর গল্পের কথা মনে থাকে? আপনারাও চুপচাপ পড়ে চলে যান। সবাই নয়, কিন্তু বেশির ভাগই এই কাজ করেন। তাহলে আমার কিভাবে মনে থাকবে গল্পের কথা?
119 Views
4 Likes
2 Comments
5.0 Rating
Rate this: