2025-03-18
কলেজ ক্যম্পাসে ডুকে রিমি দেখতে পেলো রাজ অন্য একটি মেয়ে সাথে গা ঘেসা ঘেসি করে বসে কী হাসি খুশি হয়ে কথা বলছে।এই দেখে রিমির কান্না চলে আসে কয়েক ফুটা পানি চোখ বেয়ে মাটিতেও পরছে রিমি তো বের হয়ে আসছে চাইছিলো কলেজ থেকে কিন্তু প্রিয়া আসতে দেয় নি।রিমিকে ক্লাস রুমে নিয়ে গিয়ে প্রিয়া বুঝায় রাজ তকে ছারা অনেক বেশি ভালো আছে তাহলে তুই কেন বেকুবের মতো কান্না করে বুক ভাসাচ্ছিস বুঝি না।বড়লোক বাপের ছেলেরা এমনই হয় একটা মেয়েকে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে প্রমের ফাদে ফেলে কয়েক দিন ঘুরে টুরে ছেরে দেয় তাই প্লিজ রিমি কান্না করিস না।প্রিয়ার কথায় যেন রিমির কান্না আরো ভেরে গেলো থামতে চাচ্ছে না,প্রিয়া আমি কি করব ওকে ছারা এক মূহুর্ত ও থাকতে পারছি না দম বন্ধ হয়ে আসে বলে আবার কান্নায় ভেঙ্গে পরে রিমি।তারপর
ও নাক টেনে বলতে থাকে তুই জানিস তো প্রিয়া আমি কখনো কোন ছেলের সাথে কথা পর্যন্ত বলিনি।আমি রাজকে ভুলবো কি করে ওর ওর সব কথা স্মৃতি আমাদের একসাথে কাটানো মূহুর্ত গুলো রাজের প্রতি যে আসক্ত হয়ে গেছি মায়ায় পরে গেছি ওর।কি করে যে এত ভালোবাসলাম টেরই পাইনি।ওর যদি ছেরে যেতেই হবে তাহলে কেন কেন আমার জীবনে আসলো বলে রিমি জুরে জুরে কান্না করতে থাকে।
রিমি শুন রাজ যদি জানতে পারে তুই এমন ভেঙ্গে গিয়েছিস তাহলে তকে আর কষ্ট দিবে কান্না তামা নিজেকে শক্ত কর।রিমি প্রিয়ার কথায় ছল ছল নয়নে থাকায় প্রিয়া বলে ও তকে ছারা ভালো থাকতে পারলে তুইও পারবি এবার রিমি চোখের পানি মুছে বললো হুম আর কান্না করবো না এখন থেকে আর কলেজ মিস দিবো না স্বাভাবিক হয়ে তাকবো।ওকে ছারা আমি ও ভালো থাকতে পারি দেখিয়ে দিব।।
কলেজ থেকে ফেরার সময় আইসক্রিম ওয়ালার কাছ থেকে প্রিয়া আর রিমি আইসক্রিম খাচ্ছে আর হেসে হেসে গল্প করছে।রাজ রিমিকে দেখে তমকে যায় আর মনে মনে বলে ওহ আজ থাহলে রিমি কলেজে আসছে শুনলাম ও অনেক কান্না কাটি করছে এখন দেখি দিব্যি ভালো আছে।রাজ কে থাকিয়ে তাকতে দেখে প্রিয়া রিমিকে ব্যাপারটা বলে রিমি এক পলক থাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়।এতে রাজ আর অবাক হলো,তারপর চলে আসে।রিমির এমন রুপ দেখে প্রিয়া বেশ খুশি হয়।
বাসায় এসে রিমি গুসল করেতে চলে আসে ওয়াশরুমে ডুকে রিমি আবার কান্নায় ভেঙ্গে পরে আর বলতে থাকে কেন রাজ এমন করলে আমার ভালোবাসায় তো কমতি রাখিনি তবে কেন ছেরে গেলে একা করে আমায় ফুপিয়ে ফুপিয়ে রিমি কান্না করতে থাকে।অনেক সময় হয়ে গেছে দেখে মিনু ডাকতে আসলেন রিমিকে এই রিমি এতকন কেউ গুসল করে তারাতারি আয় খেতে আসছি আম্মু বলে রিমি কোন মতে।কাপর পাল্টে রিমি খেতে বসে টেবিলে মিনু বললেন কি হয়েছে রিমি কতদিন থেকে দেখছি মনমরা হয়ে তাকিস কিছু হয়েছে।আর তর আব্বু বললো ফোনেও পায় না একবার কল দিস থাকে।রিমি বললো কিছু হয়নি আম্মু সামনে পরিক্ষা আমার তাই ফোন বেস হাতে নেই না আব্বুকে কল দিব।অর্ধেক খেয়ে রিমি রুমে চলে আসে।রিমির আব্বু বিদেশে থাকেন আর একমাত্র মেয়ে রিমি তাই আব্বু আম্মু বেশ ভালোবাসে।কিন্তু এত আদরের মেয়ের জীবনে কি ঝড়টা না গেছে তাকি তারা জানে।রিমি মনে মনে বলে আমাকে এমন কান্না করলে চলবে না জীবন শেষ না সবে শুরো হয়েছে এখনও অনেক কাজ বাকি আর করবো না কান্না বেইমানদের জন্য চোখের মত এত পবিত্র পানি ফেলে নষ্ট করবো না, নিজের সাথে ওয়াদা আমার।
এখন থেকে রিমি প্রতিদিন কলেজে আসে আর মনদিয়ে শুধু পড়াশুনা করে।রাজের সাথে দেখা হলে এমন ভাব করে যে রাজ ডাস্টবিনের কোন ময়লা।সামনে রিমির পরিক্ষা তাই বেশ পড়াশুনা করে এখন কোন কিছু ভাববার সময় নাই তার।এর মাজে রাজ কথা বলার অনেক চেষ্টা করে কিন্তু রিমি বরাভরের মতো এরিয়ে গেছে।বেইমানদের সাথে সম্পর্ক রাখার কোন মানে হয় না এখন বুঝে গেছে রিমি...
চলবে.......
তুমি আমার হবে💞
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
193
Views
3
Likes
1
Comments
5.0
Rating