এ কেমন ভালোবাসা 🤍

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আমায় কেন ভালোবাসা আব্বু।

টুপ টুপ করে চোখের পানি গুলো ডাইরি তে লিখা আব্বু লিখাটার উপর পড়লো।

পানি পরা অংশটুকু ভিজলেও তার বাবার মন কেনো জানি ভিজে না।

এই তো সকালেই ডাইনিং এ বসেছে।

আরশির বাবা, আরশি, তার ছোট ভাই নাস্তা করছে।

ছোট ভাই রকি টিসু দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে উঠে গেল। বললো বাই আব্বু। আসাদ সাহেব বললেন হুম আব্বু।

আরশি ভাবে কি সুন্দর তার বাবার হাসিটা। ঠিক যেন এক টুকরো সচ্ছ কাচ।

। আরশি ডাকলো আব্বু! কালো মেঘ যেমন আকাশ কে ঢেকে ফেলে তেমনি হলো আসাদ সাহেবের চেহারা।

অতি ক্ষীন স্বরে বললেন হু। আরশি কেমন জানি থমকে গেল।

অথচ তার বাবা ২ বছর ৭ মাস ৩ সপ্তাহ ৪ দিন আগেও এমন ছিলেন না।

আরশি ছিল যেন আরশির বাবার প্রান। মা ডাক টা বড্ড মধুর।

। একজন মা তার সন্তান এর মুখ থেকে মা ডাক টি শোনার জন্য ১০ মাস ১০ দিন অপেক্ষা করে।

অথচ আরশি কোন অপেক্ষা ছাড়াই মা হয়েছে। তার বাবার মা।

জন্মের পর থেকে তার বাবার মুখে মা ডাক ছাড়া নিজের নাম শোনেনি আরশি।

সেই বাবার মুখে কতদিন মা ডাক টি শোনে না। চোখের কোনে মৃদু পানি জমলো।

প্রানপনে লুকোবার চেষ্টা করলো। বুক চিরে বেড়িয়ে আসলো দীর্ঘশ্বাস।

আসাদ সাহেব: কী হলো বলছো না যে?

এলোমেলো ভাবনা গুলো থেকে বেরিয়ে আসলো সন্তর্পণে। তারপর

আরশি বলেই ফেললো " আমাকে ভালোবাসোনা কেনো আব্বু"? কেন গো আব্বু? কেন?


ঠোট কামড়ে কান্না আটকে রাখতে চাইলো আরশি। পারলোনা। হু হু করে কেঁদেই ফেললো বাবার হাত ধরে।

আসাদ সাহেব কিছুই বললেন না। মেয়ের হাত ছাড়িয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হলেন।

আরশি আর খেল না।

মিসেস শাহিনা: কিরে খেলি না যে?

আরশি: পরীক্ষা আছে আম্মু লেইট হয়ে যাবে।

আরশির আজ এইচএসসি প্রথম ইয়ারের লাস্ট এক্সাম। রুম থেকে কলেজের বেগ টা নিয়ে পা বাড়ায় কলেজের উদ্দেশ্যে।

শাহানা বেগুম কিজানি যেন বলতে বলতে রান্নাঘরে গেলেন।

আরশি শুনেও যেন শুনলোনা। মিথ্যে হাসি মুখে ফুটিয়ে বের হলো গন্তব্যে।

এক্সাম শেষে বাসায় ফেরার ফোন টা বেজে ওঠে প্রিয় রিংটোন এ।

বাবা মানে হাজার বিকেল আমার ছেলেবেলা।

ফোনের স্ক্রিন এ দেখা দুর্লভ পুরুষ নামটা দেখে কিছুকাল থমকে যায়।

কাপা কাপা হাতে ফোন টা রিসিভ করে। শুভ্র ভাই!


তাড়াতাড়ি চট্টগ্রাম হসপিটালে চলে এসো। হসপিটালে। কা কার কি হয়েছে শুভ্র ভাই? শায়ন।

আরশি: ভা ভাইয়া,,,,,,,,
215 Views
1 Likes
0 Comments
0.0 Rating
Rate this: