আমাদের পরিচয় হয়েছিল কোন একটা অ্যাপের মাধ্যমে।সিনেমার মতো পরিচয় পর্ব না হলেও অনেকটা নাটকিয় পরিচয়।ইন্টার স্টীন গল্প গুলো শুনাণুর আগে নিজের পরিচয় পর্ব শেষ করি হুম****
আমার নাম তারিন পরিবারের অতি আদরের ভদ্র এবং এবং অতি মাত্রার শান্তশিষ্ট একমাত্র ছোট্ট মেয়ে।এখানে আমার এত এত প্রশংসার উল্ট দিক গুলো বলেছি তা আপনাদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না তাইনা।আমি ভার্সটিতে পড়ালেখা করি,আসলে স্কুল আর কলেজে যত পড়া পড়েছি সেই প্রথম আর শেষ।ভার্সটিতে ভত্তি হবার পর থেকে অনেক অবশর সময় পার করি মাঝে মাঝে বিরক্তও লাগে ইচ্ছা করে আবার স্কুলে ভত্তি হয়ে যাইতে।কিন্তু যখনই ইংরেজি আর গণিতের স্যারদের ক্লাসের কথা মনে পরে ঠিক শেই সময়ই গ্যাসহীন বেলুনের মতো সব উরে যায় ফুস করে।তখন মনে হয় এই পেরাহীন জীবনই বড় আনন্দের।এতখন নকল কথা গুলো বলছি এখন আসি আসল কথায় প্যারাহীন জীবনে সময় যাবার জন্য ইন্টারনেটে বেশি থাকা হত মাঝে মাঝে রবীন্দ্রনাথের নাতনী হয়ে যাইতাম মানে টুক টাক গল্প বা লেখালেখি করতাম।সেই সুবাদের জন্য ওর সাথে পরিচয় হয় মানে তানবীরের সাথে,শুরু হয়েছিলো টুক টাক কথা দিয়ে যেমন ভালানি ওয় ভালা এই টাইপ।আস্তে ধিরে সবকিছু জানতে পারলাম মানে ওরও লেখালেখির শখ আছে আর পরিবার সম্পর্কে আরো ইত্যাদি ইত্যাদি।সবকিছুর পর সেই অসাধ্য সত্যটি সামনে আসলো মানে তানবীর আমার দুই বছরের ছোট্ট এতো দিনে কারো সাথে কথা বলতে আমার ছোট্ট মন সায় দিলো তাও আবার সে জুনিয়র আহ!এই দঃখ আমি কারে বলি আসলে সবই কপাল তাইপরিচয় পর্ব না হলোনা।আর শুনেন সেই জুনিয়র ভদ্রলোক আমারে কি প্রশ্ন করছেন উনি আমতা আমতা করে অনেক ভণিতার পর বললেন,তুমি কি আসলেই মেয়ে!এই কথা শুনার পর আমার তো রাগে নিজের সব চোল ছিরে ফেলতে ইচ্ছা করছে।আর বলতে ইচ্ছা করছিল জ্বী না আমি হিজরা প্রাণী যা বেটা যা ইচ্ছা কর।বহু কষ্টে নিজের রাগ নিয়ত্বণ করে বললাম আমি ভূত,এই কথা শুনার পর জুনিয়র আমার বললেন যা যানতে চাইছি বললেইতো হয়।ইস সেই সময়ের রাগের মাত্র বুঝাতে পারবো না নিজের মনেই বললাম কইতাম না যেতা মনে করার করইন আসলে আমার একটু গার ত্যারামীর রোগ আছে তাই নিজের মনে মনে কথাগুলো বলে নিজেকে কন্টল করার একটু চেষ্টা করছি।রাগের মাথায়ই বললাম আমি একজন রমনী।রাগ করে তারপর আর কথাই বলিনি মহাশয়ের সাথে।পরবর্তীতে মনে হলো তানবীরের প্রশ্ন করাটা যতার্থ কারণ আজকালকের এমন যুগ পরছে যে আমরা যারা মেয়ে আছি তারা ছেলে সাজতে পছন্দ করি আর যারা ছেলে আছেন তারা মেয়ে সাজতে পছন্দ করে সেই দৃষ্টি থেকে প্রশ্নটা যতার্থ,আজব দুনিয়া হয়ে গেছে এখন।
আমরা কিন্তু খুবই ফাষ্ট ছিলাম কথা বলার দুই দিনের মাথায় তুমিতে চলে এসেছিলাম বুঝতে হবে আজ কালকের জেনারেশন বলে কথা।জুনিয়র আর সিনিয়রের মধ্য নণষ্টপ কথা হতো।তার আগে আমি ও বুদ্বিমতি হয়ে একটা শর্ত রেখে দিলাম যে আমরা ফ্রন্ড হয়ে কথা বলবো কারণ বলা যায় না কাব কাহা দীল আযাতা হে।তো শর্ত অনুসারে কথা হত অনের আমারও ভালোই সময় যাইতো।তানবীর অনের ভদ্র আর ভালো ভালো টাইপ ছিল,আমাদের কথা বলতে বলতে একটা অবাস হয়ে গিয়েছিল এখন সেই পুরনো রোগে দরেছে মানে কথা না হলে ভালোলাগে না যেদিন কথা হইতো না সেদিন মনে হতো পুরাটা দিন বৃথা।মায়া খারাপ জিনিস অবাস ও খারাপ হুম।
সেই লেবেলের কোন কথা ছিলো না আমাদের মাঝে।এই ভাবে কথা আদান প্রদান হতে হতে কখন যে এক বছর চলে গেলো বুঝতেই পারিনি।হঠাৎ একদিন জুনিয়র মানে তানবীর আমাকে বললো শুনো না আমি বললাম হুম বলো তারপর তানবীর বললো এই যে আমরা এতদিন ধরে কথা বলছি আমাদের মাঝে সম্পর্কটা কি আসলে বলতে চাচ্ছি নাম কি।আমি সেদিন দুষ্টামি করে বলেছিলাম সম্পর্কের নাম চাই তুমার আমি তো অনেক আগেই নাম রেখে আছি।তানবীর অবাক হয়ে যানতে চাইলো কি নাম রাখছো আমাকে বলোনি কেন!হাসতে হাসতে আমিও বলেছিলাম বলিনি এখন বলবো ও বললো আচ্ছা বলো আমি দুষ্টামি করে বলেছিলাম হাওয়াই মিঠাই।কিছুক্ষনের মতো আমার মনে হলো তানবীর অতি শুকে পাথর হয়ে গিয়েছে কি বলবে বুঝতে পারছে না।নিরবতা বেঙ্গে আমি বললাম কেমন লাগলো নাম সে বলেছিলো তুমি সিনিয়র যা নাম দেবে ভালোই দিবে হুম।আমিও বুঝলাম জুনিয়র মন খারাপ করেছেন হয়ত সে অন্য কিছু চাইছিলো।তারপর আমাদের চার পাচ দিনের মতো কথা হয়নি।
_______________________________________________
এই চার পাচ দিনে আমার জীবনের একটা নতুন একেবারে অজানা একটা অধ্যায় শুরো হয়েছে।এর মাজে তানবীর অনেক বার মেসেজ দিয়েছে কথা বলতে চাইছে কিন্তু আমি কথা বলতে চাই না।তানবীর বলছিল তুমি যেই রকম চাইবে আমি সেই রকমই থাকব প্লিজ একটু কথা বলো,আমার তো কষ্টে ভিতর ভেঙ্গে যাচ্ছে ওকে কি ভাবে সব কথা বলবো।আমি চাইছিলাম অনূকুল একটা দিন দেখে মনের সব অনুভূতি প্রকাশ করবো কিন্তু ভাগ্য আমার সহায় হলো না।যানি ওর ও অনেক কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমি কি ভাবে থাকে যানাবো যে আমার মরণব্যাধি ব্যইন টিউমার হয়েছে এখন লাষ্ট ষ্টেজে আছি।ইস কথা গুলো যদি আরো আগে যানতে পারতাম আসলে তিন দিন আগে আমি ভাসিটিতে গিয়েছিলাম ওই খানে অগ্রাণ হয়ে পরে গিয়েছিলাম তারপর আমার সব বান্ধীরা হাসপাতালে নিয়ে গেলো।ডাক্তার অনেক টেষ্ট করে আমার এই রোগের কথা যানিয়েছেন।এখন আমি কি করব!
পরিশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে তানবীর কে কিছু বলবো না ও শুনলে কষ্ট পাবে বলে।এরই মাজে অনেক কল মেসেজ দিয়েছে কিন্তু আমি কথা বলিনি।আজকে ওকে কল দিলাম সাথে সাথে ও রিসিব করলো কল!হ্যালো তুমাকে কত ম্যাসেজ দিয়েছি দেখেছ আর আর কল ও দিয়েছি তুমি কি ঠিক আছো কই হারিয়ে গিয়েছিলে এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বললো তানবীর।কথা গুলো শুনে কোনমতে আমি কান্না ধরে রাখলাম আর বললাম।তুমি এত ছেচরা কেন হুম দেখতে পাচ্ছ আমি কোন কথা বলছি না তারপরও কেন বারবার বিরক্ত করছো হুম।তানবীর বললো কি সব বলছ শুনো আমার কথা ওকে তামিয়ে আমি বললাম আমার কথা শুনো তুমি তুমার সাথে এতদিন আমি টাইম পাস করছি আমি তুমাকে কোনদিন পছন্দ করিনি এখন তুমার থেকে ভালো কাউকে পেয়ে গেছি তাই প্লিজ আমারে বিরক্ত করবা না।আর তুমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক পরিবার মানবে না ওকে রাখছি বলে আমি কল কেটে দিই।তানবীর অনেক বার কল দেবার চেষ্টা করে কিন্তু বন্ধ পায় ফোন।আসলে এতটা সময় কখন যে চলে গিয়েছিলো বুঝতে পারিনি আর আমি না হয় ওর গল্পে ছলনাময়ী হিসেবে তাকব চিরকাল,তারপরও ভালো তাক সব সময়।এর পর থেকে তানবীর কোন দিন তারিনের খুজ খবর জানতে পারেনি।আসলেই সম্পর্কের নাম হাওয়াই মিটাই রাখাটা যথার্ত ছিলো।।
হাওয়াই মিঠাই💝
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
369
Views
1
Likes
0
Comments
0.0
Rating