পরদিন,সকাল ৭টার সময় আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।প্রথমে আমি বুঝতেই পারিনি আমি ঠিক কোথায় আছি,পরে বুঝতে পারলাম।
আমি পাশে তাকিয়ে দেখি আমিন একেবারে বাচ্চাদের জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছে।দেখে আমার বেশ হাসি পেলো আবার কিউটও লাগলো ওকে দেখতে।
-----
আমি ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে গেলাম।দেখি মা রান্নাঘরে কাজ করছে।
আরে মা,তুমি!কোনো হেল্প লাগবে?(আমি)
প্রথম কথা তুই রান্নাঘরে কী করছিস?বিয়ের পরেরদিনই রান্নাঘরে চলে এসেছিস!
আর,দ্বিতীয় তুই আমাকে মা না বলে আম্মু ডাকবি।কারণ,তুই মা ডাকিস ভাবী মানে তোর মা'কে মা বলে ডাকিস।শাশুড়ি আর নিজের মা কী এক হলো।(মা)
আমি আম্মুর গলা জড়িয়ে ধরে বললাম –আচ্ছা,আমি নাহয় তোমাকে আম্মু বলেই ডাকবো।তবে,আম্মু,তুমি আমার নিজের মা নাহলেও আমি কিন্তু তোমাকে সারাজীবন আমার ২য় মা হিসেবে দেখেছি।
আম্মু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল –আমিও তো তোকে নিজের মেয়ের মতো দেখি রে।আর তুই ঘরে গিয়ে রেস্ট নে।আমি রান্না করে ফেলতে পারবো।
আমি কিছু বলার আগেই আমার ফুপি শাশুড়ি,রান্নাঘরে ঢুকলেন।আমাকে দেখে মুচকি হাসলেন।
তা বউমা,তুমি রান্নাঘরে কী করছো?তোমার তো এখন এখানে থাকার কথা না।(ফুপি)
কেনো ফুপি?(আমি ফুফু বলি না ফুপি বলি।এই ডাকটাই আমার পছন্দ)আমার আবার কোথায় থাকার কথা?
কেনো আমিনের কাছে।আমিন তোমাকে এতো তাড়াতাড়ি ছাড়লো কীভাবে?(ফুপি)
আমার গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো।আমি আড়চোখে খেয়াল করলাম আম্মু মুচকি মুচকি হাসছে।
আমি কথা ঘোরানোর জন্য বললাম-আম্মু এখন কী রান্না হবে?
আরে,তুই ভুলে গেলি!আজকে তোর আর আমিনের বউভাত।রান্না তো করবে বাবুর্চিরা।কমিউনিটি হলে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।ভাইয়ারাও তো আজ আসবে।(আম্মু)
আরে মারিয়া!তুই উঠে পড়েছিস!হঠাৎ করে উদয় হয়ে আমাকে প্রশ্নটা করলো আরিফা।
হ্যাঁ।(আমি)
এই মারিয়া কীরে?আমিনের বউ ও,ভাবী বলবি।ধমকে উঠলো আম্মু।
আমিনের বউ!আমিনের বউ!কথাটা কানে বাজতে লাগলো আমার।আমি আম্মুকে বললাম -আজকে আমাদের বউভাত,তাহলে তুমি কী রান্না করতে এসেছো?
আরে,আমি চা বানাতে রান্নাঘরে ঢুকেছি।(আম্মু)
আমি চা বানিয়ে দেই।(আমি)
তুই আমার কথা না শুনলে আমার কিছু করার নেই।(আম্মু)
আমি হ্যাঁসূচক মাথা নেড়ে চা বানাবো এমন সময় দুইতলা থেকে কেউ আমার নাম ধরে ডেকে উঠলো।
আর কে ডাকছে জানেন,আমিন।
ফুপি আমার কাঁধে আলতোভাবে হাত রেখে বললেন -যাও গো,তোমার বরের তোমার কথা মনে পড়ছে।
আমি হনহন করে হাঁটা ধরলাম।আর মনে মনে ভাবলাম -এই ছেলেটা অদ্ভুত।সবসময় ফাজলামি কেউ করে!
ঘরে ঢুকেই আমিনের উদ্দেশ্য বললাম,এই তোমার কী লজ্জা নেই।সবসময় নির্লজ্জের মতো কাজ করো কেনো?
যাক বাবা,এভাবে রেগে যাচ্ছো কেন?(আমিন)
রাগবো না তো কী করবো?আমি রান্নাঘরে ছিলাম,,,
থাক বাদ দাও ডাকছো কেনো?(আমি)
আমার প্রশ্নের জবাবে আমিন আবার হাত ধরে হ্যাঁচকা টান মারলো।আমি টাল সামলাতে না পেরে ওর ওকে সহ বিছানায় পরে গেলাম।
আমিন ফিসফিস করে বলল-একটু প্রেম করতে ঢেকে এনেছি।
ছাড়ো ছাড়ো,দরজা খোলা আছে।কেউ চলে আসবে।(আমি)
আমি আমার ঘরে আমার ঘরে আমার বউয়ের সাথে প্রেম করছি,তাতে কার কী?(আমিন)
তুমি তো দেখি বেশ রোমান্টিক!আমার রোমান্টিক হুজুর।(আমি)
কোনো সন,,,,,হা হা হা হা,এই কী করছো।(আমিন)
আমি ওর কোনো কথা না শুনেই,আগের মতো ওকে শুরশুরি দিতে লাগলাম।আর ও হাসতে লাগলো।এক সময় ওর হাতের বাঁধন ঢিল হয়ে গেলো,আমি তখন ছুটে রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।পেছনে আমিন আমার নাম ধরে ডাকতে লাগলো,আমি উত্তরে বললাম-এখন আমি ব্যাস্ত আছি।
ও,হেসে ফেলল আমার কাজে।
মারিয়ার হুজুর বর
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
169
Views
0
Likes
0
Comments
0.0
Rating