এগুলা বলতে বলতে ডাক্তার রুমে প্রবেশ করলো। নিরু ঠিক আছে কি না সেটা দেখলো। তারপর রাত্রিকে কোলে নিয়ে দেখতে লাগলো। কিছুক্ষণ পর কিছু একটা ভেবে নার্সকে জিজ্ঞেস করলো,,
ডাক্তার :বাচ্চাটাকি জন্ম হওয়ার পর কান্না করছিলো?
নার্স :হ্যাঁ
ডাক্তার রাতুলকে বললো,
ডাক্তার :বাচ্চাটাকে আমি এখন নিয়ে যাচ্ছি। ওকে কিছু টেস্ট করাতে হবে। ওকে টেস্ট করাতে সময় লাগবে ২০মিনিটের মতো। ২০মিনিট পর আমি ওকে আবার রুমে দিয়ে যাচ্ছি।
রাতুল:নিশ্চয়ই ডাক্তার নিয়ে যান
তারপর ডাক্তার রাত্রিকে নিয়ে চলে গেলো। সবাই অনেক চিন্তিত। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার রাত্রিকে নিয়ে এলো। আর বললো কালকে রাতে বৃষ্টি হওয়ার পর বিদ্যুৎ চমকেছিলো। তখন ওর ব্রেনে আঘাত পড়ছে। তাই ও নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ও সবই শুনতে পারবে কিন্তু কথা বলতে পারবে কি না এটাএখনই বলতে পাচ্ছি না। ডাক্তার নিরুর কোলে রাত্রিকে দিয়ে চলে গেলো। রাতুল মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো। কারো মুখে কোন কথা নেই। চারদিকে নিরবতা। কিছুক্ষণ পর রাতুল বললো :
রাতুল:যে কোন দিন কথা বলতে পারবে কি না তার নিশ্চিয়তা নেই। তাকে আমি আমার মেয়ে বলে পরিচয় দিতে পারবো না।তুমি ওরে কোন অনাথ আশ্রমে নিয়ে রেখে আসবে। নিরু কিছুক্ষণ চুপ থেকে তারপর দীর্ঘ একটা নিশ্বাস ফেললো তারপর বললো,
নিরু:যার এরকম কথা বলতে মুখে আটকায় না সে কখনো কোন দিনও আমার মেয়ের বাবা হতে পারে না।
রাতুল:থাকো তুমি তোমার মেয়ে নিয়ে আমি আর এক মুহূর্তের জন্য এখানে থাকতে চাইনা।
নিরু:তোমাকে কেউ যেতে বাধা দেয় নাই। তুমি যেতে পারো।আমি আমার মেয়েকে নিয়ে আমার পরিচয়ে বাঁচবো।
রাতুল কোন কিছু না বলেই ওখান থেকে চলে গেলো।
হাসি খুশি পরিবারটা সামান্য কারনে ভেঙে গেলো। এত দিনের মায়া, আশা, ভরসা, ভালোবাসা সব নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো।নিরু রেনুর কাছে বাচ্চাটাকে দিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় গিয়ে বসলো।আকাশের দিকে তাকিয়ে অঝরে কাঁদতে লাগলো।অনেকক্ষণ কান্না করার পর নিজেকে নিজেই বুঝাতে লাগলো।মা মানে ভরসা বাবা মানে দায়িত্ব আজকে থেকে ভরসা দায়িত্ব সব আমার। ওর পৃথিবীতে আমি ছাড়া কেউ নেই আমার পৃথিবীতেও ও ছাড়া কেউ নেই।আজকে থেকেই শুরু হলো আমাদের মা মেয়ের নুতুন পৃথীবিতে পথ চলা।
নক্ষত্র
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
112
Views
2
Likes
1
Comments
5.0
Rating