নিশিথে গ্রামের পথের ধারে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর। সেখানে থাকত নীলু আর তার মা। নীলু ছিল খুবই সাধারণ এক কিশোর, কিন্তু তার মনে ছিল অপার কল্পনার জগৎ। তার দিন কাটত গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করে আর সন্ধ্যায় নদীর ধারে বসে গল্প লিখে।
একদিন গ্রামের হাটে নীলু তার বন্ধুর কাছ থেকে শোনে যে, নদীর ওপারে আছে এক জাদুকরী বন। সেই বনে নাকি বিশাল এক প্রাচীন গাছ আছে, যা কোনো এক অলৌকিক শক্তি দিয়ে মানুষকে যা ইচ্ছা তাই দিতে পারে। নীলু ঠিক করল, সে সেই গাছের খোঁজে যাবে।
পরদিন ভোরে, নীলু তার মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সে পাড়ি দেয় নদী, হাঁটে পাহাড়ি পথ ধরে। দিনের পর দিন সে চলতে থাকে, অজানা রাস্তায় নতুন মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের গল্প শোনে। এক বৃদ্ধ লোক তাকে বলে, “তুমি যদি সত্যিই সেই গাছ খুঁজে পাও, তবে একটাই ইচ্ছা করবে, যা শুধু তোমার মনের গভীর থেকে আসবে।”
অবশেষে নীলু জাদুকরী বনের একেবারে গভীরে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে সে দেখে বিশাল এক প্রাচীন গাছ, যার ডালপালা আকাশ ছুঁয়েছে। গাছটা যেন তার অপেক্ষায় ছিল। গাছের নিচে দাঁড়িয়ে নীলু বলে, “আমি চাই, আমার মা আর কখনো কষ্ট না পায়।”
গাছটা ঝলমল করে ওঠে, আর নীলু চোখের সামনে দেখতে পায় তার মায়ের ঘরটায় আলো ঝলমল করছে। তার মা হেসে উঠেছে, আর চারদিকে যেন সুখের ছোঁয়া।
নীলু ফিরে আসে তার গ্রামে। সে বুঝতে পারে, তার ইচ্ছার জাদু শুধু তার মাকে নয়, পুরো গ্রামকেই নতুন আশার আলোতে ভরিয়ে তুলেছে।
এ গল্প হয়তো কোনোদিন কেউ জানবে না, কিন্তু নীলুর মনে সেই জাদুকরী গাছের কথা চিরকাল থেকে যাবে।
কুঁড়েঘর
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
137
Views
3
Likes
1
Comments
5.0
Rating