অহংকারী মেয়ে

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
মিথিলা: জি, অবশ্যই দেখুন।
নাঈম: ও মাগো!
মিথিলা: কী হলো? ঠোঁট পুড়ে ফেললেন নাকি?
নাঈম: না, এত লবণ মানুষ দেয় চায়ে?
মিথিলা: কী বলেন! আমি তো লবণ দেইনি, চিনি দিয়েছি।
নাঈম: তাহলে কি আমি মিথ্যা বলছি? তুমি নিজেই খেয়ে দেখো।

মিথিলা কাপটা হাতে নিয়ে এক চুমুক খেলো, তারপর বলল—
মিথিলা: এত মিষ্টি লাগছে! আপনি লবণ পেলেন কোথায়?
নাঈম: আরে, এত মিষ্টি দেয় মানুষ? তাই বললাম লবণের কথা।

নাঈম কাপটা নিয়ে চা খেতে শুরু করল। মিথিলা যেখানে ঠোঁট লাগিয়েছিল, সেই জায়গায় তার ঠোঁট ছুঁইয়ে চা খাচ্ছে। মিথিলা কিছুটা লজ্জাবোধ করল, তাই বলল—
মিথিলা: ভাইয়া, আপনি চা খেয়ে এখানে রেখে চলে যাবেন।
নাঈম: আচ্ছা ঠিক আছে। তবে চায়ে আরেকটু কম চিনি দিও, এটা তো শরবত হয়ে গেছে!
মিথিলা: নতুন বানিয়েছি তো, আস্তে আস্তে শিখতে পারব ইনশাআল্লাহ।

নাঈম মিথিলাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের বাসায় গেল এবং প্রস্তুতি নিল মিজানের কাছে যাওয়ার। আজ হয়তো মিজানকে বাসায় আনা হবে, তাই সে রওনা দিল।

এইদিকে, আবির ফোন দিয়ে জানালো— রাতুলকে পুলিশ ধরেছে।

নাঈম চলে গেল হাসপাতালে, মিজানের বাবা-মার সাথে কথা বলল এবং ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে মিজানকে বাসায় নিয়ে এল। সবাই মিজানকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ল, দরজার সামনে ভিড় জমালো। তারা মিজানকে দেখতে লাগল এবং প্রশ্ন করতে লাগল— কীভাবে এমন হলো?

মিজান বলল— দুষ্টুমির ছলে এমনটা হয়েছে।

কিন্তু সত্যটা কাউকে বলেনি। সবাই এটা শুনে কেউ আদরের ধমক দিচ্ছে, কেউ বা বোকা বানিয়ে দিচ্ছে মিজানকে।

এদিকে, আবির নাঈমের বাসায় এসে বলল—
আবির: আন্টি, নাঈম কোথায়?
নাঈমের মা: মিজানকে দেখতে গিয়েছিল, এখনো আসেনি।
আবির: ও আচ্ছা, ঠিক আছে, আন্টি।
নাঈমের মা: তুমি বসো, নাঈম এখনই চলে আসবে হয়তো।

আবির কিছুক্ষণ বসে থাকল, তারপর নাঈম এসে হাজির।

নাঈম: কিরে, তুই কখন আসলি?
আবির: এই তো, কিছুক্ষণ আগে। বল তো, মিজানের কী অবস্থা? আমি যেতে পারিনি, ভাবছি সকালে যাবো। কী দেখে আসলি?
নাঈম: আগের চাইতে অনেক ভালো, তবে কিছুদিন রেস্টে থাকতে হবে, আর কাটাটা শুকাতে হবে। তো বল, রাতুলের কী খবর?
আবির: শুনলাম, রাতুলকে নানুর বাড়ি থেকে ধরে এনেছে পুলিশ।
নাঈম: ও আচ্ছা, ভালোই হয়েছে। সে মিথিলার দিকে খারাপ ইঙ্গিত দিয়েছিল, এখন জেলে পড়ে থাক!
আবির: আসলে, আমি অন্য একটা কথা ভাবছি।
নাঈম: কী কথা?
আবির: রাতুলের সাথে তোর একটা গ্যাঞ্জাম হয়েছিল। যদি সে ছাড়া পেয়ে তোর কোনো ক্ষতি করে?
নাঈম: বাদ দে, ও আর কী ক্ষতি করবে!

নাঈম একটু হাসল, তারপর বলল—
নাঈম: মা কিছু খেতে দিয়েছে?
আবির: চা দিয়েছে, খেয়েছি।


নাঈম জানত, রাতুল সহজে ছাড় পাবে না, কিন্তু তবু একটা অদৃশ্য শঙ্কা তার মনের কোণে উঁকি দিচ্ছিল। সে জানত, রাতুল প্রতিশোধ নিতেই পারে। তবে সে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইল না। সামনে আরও অনেক কিছু করার আছে তার, জীবন তো থেমে থাকে না… ।

চলবে......

247 Views
1 Likes
3 Comments
0.0 Rating
Rate this: