একটি অপূর্ণ ভালবাসা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
গোলাপ সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যা করবে কিন্তু .......

সে কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারে না.. তার তো এতো সাহস নেই আত্মহত্যা করার মতো। অনেক চেষ্টা করেও সে ব্যর্থ হয়।


কিছুই আর আগের মতো মনে হয় না তার কাছে, খুব কষ্ট পায় গোলাপ, মরে যেতে ইচ্ছা করেও সে তো মরতে পারে না। প্রিয় মানুষ আর তার নেই, সে এমনটা ভাবতেই চোখ থেকে পানি পরে।
শরিফ তাকে ঠকাবে সে এমনটা ভাবতেও পারি নি।

কয়েকদিন পর শরিফ আবারও তার কাছে মাফ চায় কিন্তু গোলাপ তা মানবে না স্কুল থেকে শুরু করে কোচিং ও সে গোলাপের জন্য অপেক্ষা করে একদিন গোলাপে কয়েকটি চিঠি লিখে হাতে ধরায় দেয়।

গোলাপ : এগুলো কি?

শরিফ :চিঠি বাড়ি গিয়ে খুলে দেখো।

গোলাপ শরিফের হাত দেখে তো অবাক????
হাতের আঙুলের উপর কাটা দেখে।
বাড়িতে গিয়ে দেখে অনেকগুলো কাগজে সরি লেখা রক্ত দিয়ে এটা দেখে গোলাপের অনেক কষ্ট হয় সে শরিফের সাথে কথা বলে...
শরিফ মাফ চায় গোলাপ শরিফ কে মাফ করে দিলেও তার ভালো বাসার মানুষটির করা অন্যায় মন থেকে সে মেনে নিতে পারে না।

সামনে SSC তার পড়াই কোন মন নেয়, সারাটা সময় শরিফ কে নিয়ে দূর চিন্তা হতে থাকে। সব কিছুর মাঝে গোলাপের অনেক গুলো ভালো বিয়ের সমন্ধ আসে কিন্তু গোলাপ বার বার শরিফের জন্য বিয়ে গুলো ভেঙ্গে দিত কোন না কোন বাহানা দিয়ে ।

SSC এক্সাম গোলাপের কোন মন ছিল না সব সময় শরিফকে হারানোর দূরচিন্তা লেগেই থাকতো যার কারনে রেজাল্ট ও তার ভালো হয় নি।

এস,এস,সির পর শরিফ পুলিশ লাইনে ভর্তি হয় আর গোলাপের সাথে দূরত্ব তৈরি হয়। তার মাঝে মধ্যেই শরিফ নানা বাহানায় গোলাপের থেকে টাকা নিত, গোলাপও যেভাবেই পারতো টাকা গুলো দিত, কয়েকদিন যেতে না যেতেই টাকার প্রয়োজন হতো গোলাপও টাকা দিত,

ইদানীং তাদের কথাও কম হতো যতটুকু কথা হতো টাকা লিলেটেট অথবা তার নতুন বান্ধবীর প্রসংসা করতো। বলা ভালো যে তার কিছু নতুন বান্ধবী হয়েছে তাদের সাথে ঘুরাফেরা ছবি তোলা ফেসবুকে পোষ্ট করা আবার সেই পোস্ট গুলো গোলাপকেও সেন্ড করতো।

ছবি গুলো দেখে গোলাপ খুব কষ্ট পেত কিন্তু কিছু বললে যে আবারও ব্রেক আপ হবে এই ভয়ে বলতে পারত না।
কিন্তু এগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে ছেলেটি অনেক খারাপ আচারন করত।

শরিফ শুধু নতুন বান্ধবীর প্রসংসা করত যা আর গোলাপ নিতে পাচ্ছিল না কিছু বলেই ঝগড়া হতো, তাদের ঘোরাফেরা কোল্জ হওয়াটা গোলাপ আর সহ্য করতে পাচ্ছিল না।

গোলাপের থেকে শরিফ শুধু টাকা নিত টাকা না দিতে পারলেই খারাপ ব্যবহার, গোলাপ এমনিতেও শরিফের সাথে কোন মেয়েকেই সহ্য করতে পারত না, কারনটা শরিফ একবার তাকে ধোঁকা দিয়েছিল।

কিছু বলেই ছেলেটির বাজে গালাগালি, ব্লক করা ব্রেক আপ করা কান্না কাটা লেগেই থাকতো...

হঠাৎ একদিন শরিফ জানায় সে নতুন বান্ধবীদের মধ্যে একজনকে সে ভালোবাসে...
গোলাপের সাথে সব সম্পর্কে শেষ করতে চায়, কিন্তু গোলাপ মানতে নারাজ অনেক কান্না করে অনেক আকুতি করে কিন্তু শরিফ গালাগালি দেয় তার কথা না শুনেই কল কেটে ব্লক লিষ্ট করে দেয়।

গোলাপ তার যেই নাম্বর গুলো থেকে কল বা
ম্যাসেজ করে সেই সব গুলো নাম্বর ব্লক করে দেয়।
গোলাপ অসুস্থ হয়ে পরলে গোলাপের আম্মু শরিফের বন্ধুর নাম্বার কল করে একটা বারের জন্য আসতে বলে কিন্তু তার বন্ধু জানায় সে আর কখনোও আসবে না আন্টি আপনি ওকে ভূলে যেতে বলেন। গোলাপ আম্মু শরিফের সাথে কথা বললে তাকে আপমান করে শরিফ গোলাপের আম্মু ও বোঝা এই ছেলে গোলাপ কে ভালোবাসে না।
কিন্তু গোলাপের আম্মু গোলাপকে এগুলো জানায় না কারন গোলাপ খুবই অসুস্থ ছিল। ফোন রাখার সাথে সাথে গোলাপ বলছিল আম্মু ও কখন আসবে.... একটা বার আসতে বলো ওকে....
কিন্তু গোলাপের আম্মু চুপ থেকে বলে ও আসবে তুমি সুস্থ হও...

গোলাপ তখন একটু শান্ত হয়....

নোট: গল্পটির এই পাট কেমন লাগল কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন, লাইক,ফলো দিয়ে রাখবেন যাতে পরবর্তী অংশগুলো খুঁজে পেতে কষ্ট না হয়।
166 Views
3 Likes
1 Comments
4.5 Rating
Rate this: