রূপসী রাজকন্যা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
আজ নাস্তা পর্বে সবার সাথে নতুন করে পরিচিত হই,,, আমার দুই জন ননদ।বড় জন তন্নী আপা বিবাহিত। উনি একটি হাই স্কুলের টিচার আর উনার স্বামী সরকারি কলেজের শিক্ষক।

উনারা পাশের জেলায় থাকেন।গতকালই তন্নী আপার স্বামী অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। উনাদের চার বছরের একটা মেয়ে আছে যে পুরো ঘরে ছুটোছুটি করছে।

আর ছোট ননদ স্বর্ণা যে এবার এইচএসসি দিবে।বড় দেবর রায়হান ভাই ঢাকা মেডিকেলে পড়ে আর ছোট দেবর রবিন আমার বয়সী ঢাকা ভার্সিটি পড়ে।

সবাই বেশ আন্তরিক কিন্তু অনেক বেশি চুপচাপ।সবার থেকে বেশি চুপচাপ মনে হয় তাদের বড় ভাই মানে আমার স্বামী রাশেদ।

এ পরিবারের সবাই অনেক পড়ুয়া যা আমার প্রথমেই খুব ভালো লেগেছে। আমার পরিবারের ছেলেরা পড়াশোনা করে শুধু ব্যবসা সামলানোর জন্য আর মেয়েরা করে মিনিমাম শিক্ষিত বুঝানোর জন্য।

তবে আমার বাপের বাড়ি আর শ্বশুরবাড়ি দুই পরিবারই অনেক বেশি চুপচাপ, নিরিবিলি।

কিন্তু আমি মোটেও চুপচাপ মেয়ে না।😁😁
আমি অনেক বেশি কথা বলি আর অনেক বেশি হাসাহাসি করি। এরজন্য আমার পরিবারে সবসময় বড়দের ধমক আর ভাইদের শাসন শুনতে হয়েছে আমাকে।

খুব ভালো করেই বুঝছি এখানেও এর বিপরীত কিছু হবে না। হয়তো ধমক খেয়েই চলতে হবে। নতুন বউ হিসাবে রাশেদ আমার প্রতি আলাদা কোনো আদিখ্যেতা দেখাচ্ছে না।

আমি যেন এ পরিবার নিয়মিত একজন সদস্য। ব্যপারটা আমার বেশ ভালোই লাগছে।
স্বর্ণা এসে বলল,, ভাবী পার্লারে যাবে না,,?? দুপুরে মেহমান সব চলে আসবে তো !

আমি রাজি হলাম না। আমার পরিবারে কখনও পার্লারে যাওয়ার পারমিশন নেই। তাছাড়া আমার নিজের ও পার্লারের সাজগোজ ভালো লাগে না।

আজ আমার বৌভাত। বিয়ে নিয়ে আমার মাথায় যে নেতিবাচক মনোভাব ছিল তা কেন জানি আজ আর নেই। আমি নিজেকে এ পরিবারের সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি ।

হয়তো গতরাতে রাশেদের কথাগুলো আমার গরম মাথা ঠান্ডা করে দিয়েছে।আর আমার পড়াশোনায় যদি কোন বাধাই না থাকে তবে আমি কিসের জন্য যুদ্ধের প্রস্তুতি নিবো,,,??

বৌভাতের অনুষ্ঠানের জন্য আমি নিজের মতো করে সেজে নিলাম স্বর্ণার সাহায্য নিয়ে। রাশেদ এর মধ্যে দু'বার রুমে এসেছে। সে অনেক ব্যস্ত। নিজের মতো রুমে ঢুকে কি যেন নিয়ে চলে গেল। আমার দিকে তাকালো ও না।

আমি আজ গোলাপি রঙের হালকা কারুকাজ করা কাতান শাড়ি পরেছি । শাড়িটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।যে কিনেছে তার রুচি প্রশংসনীয়।

শাশুড়ি মা কপালে আদর দিয়ে কাজল টিকা দিয়ে গেছেন নজর না লাগার। স্বর্ণা জড়িয়ে ধরে বলেছে তোমার গায়ের রং এর সাথে শাড়ির রং তো পুরো মিশে গেছে।

উফ ! ভাবী তুমি এতো সুন্দরী ! ভাইয়া এরজন্যই তোমাকে পছন্দ করেছে রীতিমতো পাগল হয়ে,,! 🤭🤭

আমি মনে মনে বলি,,,,,


চলবে,,,,,,,
217 Views
1 Likes
0 Comments
0.0 Rating
Rate this: