শুধু তোমারই জন্য

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
অরিন সেদিন ছুটির পর ফাঁকা করিডোর দিয়ে একা হেঁটে যাচ্ছিল।তখনই কেউ ওর হাত ধরে টেনে পাশের রুমে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটা এত তাড়াতাড়ি ঘটেছিল যে ঘটনার আকস্মিকতায় অরিন হকচকিয়ে যায়। কিন্তু যখনই সে মুখ তুলে সামনের মানুষটিকে দেখে, তখনই তার ভয়ার্ত মুখ রাগী মুখশ্রীতে পরিনত হয়।

- এটা কী হলো? এসব অসভ্যতামো করার মানেটা কী? (অরিন রেগে)

- দেখ আমি সোজা কথা পছন্দ করি। তাই directly বলছি, তুমি get-together এ যেতে চাচ্ছ না কেন? (আকাশ শান্ত গলায়)

- আমার ইচ্ছা, আমি যাব কি যাব না.... (অরিন ডোন্ট কেয়ার ভার নিয়ে)


- তুমি কী ভুলে যাচ্ছ তুমি হাউসপ্রিফেক্ট? (আকাশ)

- আমি কী হতে চেয়েছি প্রিফেক্ট? আপনি আমাকে select করেছেন। এখন আমি কি করব না করব That is my business. (অরিন)

- But this is not the right decision, also not your own business now. Don't forget that, now you are the prefect of Nazrul Islam House. Your house is dependent on you.You know, A small wrong decision of yours can cause a big danger to your house. কয়েক বছর আগেও নজরুল হাউস CPSCS এ শীর্ষস্হানীয় হাউস ছিল। আর এখন ফজলুল হাউস। Champion house ছিল নজরুল হাউস। গত কয়েকবছর ধরে কেন সেটা হচ্ছে না জানো? কারণ প্রিফেক্ট এ খামতি ছিল। তাদের হাউস নিয়ে তেমন মাথাব্যাথা ছিল না। তার চেয়েও বড় কথা ফজলুল হাউস সবসময় অন্যায় করে champion হয়। ফজলুল হাউসের প্রিফেক্টরা সবসময় দুর্নীতি করে। আমি জানি,এবারেও করবে। কিন্ত নজরুল হাউসের প্রিফেক্টদের সেটা দেখতে হবে। এবারের প্রিফেক্টে কোনো খামতি নেই। আমি জানি সবাই অনেক দৃঢ়তা নিয়ে নিজেদের কাজ করবে। সবার মধ্যে সে গুণ আছে। তোমার মধ্যেও আছে। কিন্তু তুমি সেটা কাজে লাগাচ্ছ না। তোমাকে সবার সাথে মিশতে হবে অরিন্নীয়া। নিজের জন্য না হোক, নিজের হাউসের জন্য। (একটু থেমে) এখন তুমি জিজ্ঞেস করতে পার,আমার নজরুল হাউসকে নিয়ে এত মাথাব্যাথা কেন? কারণ আমি মন থেকে নজরুল হাউসকে সাপোর্ট করি। H.C তো আমি এই বছর হয়েছি, যার জন্য আমার নির্দিষ্ট কোনো হাউস নেই। কিন্তু আগের বছরে আমি নজরুল হাউসের ছিলাম। আমি সবসময় চাই, যে আমার হাউস ভালো করুক। আমি এইবছর Championhouse হিসেবে ফজলুল নয়,ন জরুল হাউসকে দেখতে চাই। And you,the prefects have to ensure that (আকাশ)


আকাশ এই বলে থামল।কিছুক্ষণ ঘরে পিনপতন নিরবতা কাজ করছিল।হঠাৎ অরিন বলল-

- I'll try my best.এখন থেকে আমি সবার সাথে মিশতে চেষ্টা করব। নিজের জন্য নয়,নিজের হাউসের জন্য। (অরিন)

আকাশের মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো।

-আমি এ কথাটাই শুনতে চাচ্ছিলাম। All the best. (আকাশ)

_________________________


রাতে অরিন লিসাকে কল করে।

- হ্যালো বল। (লিসা)

- কী করছিস? (অরিন)

- এই তো পড়ছিলাম। এখন ডিনার করতে যাব। তুই? (লিসা)

- আমিও। তোকে একটা কথা বলার ছিল। (অরিন)

- বল,শুনছি। (লিসা)

- আমি রবিবার get-together এ যাচ্ছি। (অরিন)

- কিহ!! সত্যিই? তুই যাবি.. (লিসা চেচিয়ে)

- আরে আস্তে আস্তে,আল্লাহ আমার কানের পর্দা ফাটিয়ে দিল... (অরিন)

- এই তুই চুপ করবি। একটু happy মুডে ছিলাম। আর তুই এসব কথা বলে আমার মুডটাকে টুরু দুঃখ মুড করে দিচ্ছিস। যাই হোক, আমার আকাশ ভাইয়াকে বলাটা তাহলে স্বার্থক হয়েছে। (লিসা)

- ওহ তারমানে খবরটা তুই ই ওকে দিয়েছিস। (অরিন)

- দেখ এবারে রাগ দেখাস না। এটা তো মানবি, যদি ও তোকে না বোঝাতো, তাহলে তুই জীবনে get-together এ যেতে চাইতিস না? (লিসা)

- তো আমি কখন রাগ দেখালাম? (অরিন)

- দেখাসনি,দেখাতে কতক্ষণ? আচ্ছা বাদ দে তুই ফাইনালি সবার সাথে মিতে চেষ্টা করছিস। (লিসা)

- হুম, নিজের জন্য না হোক, নিজের হাউসের জন্য আমায় সবার সাথে মিশতে হবে। (অরিন)

- বাব্বাহ্!আকাশ ভাইয়া তো তোকে ভালোই বুঝিয়েছে রে। (লিসা)

- ওই শুরু হলো তোর আজাইরা প্যাকপ্যাক। আমার এত সময় নেই তোর সাথে বকবক করার। এখনই ভাবি খেতে ডাকবে। রাখছি। (অরিন)

- হুম। (লিসা)


অরিন ফোনটা কেটে পিছনে ফিরতেই দেখে সুমি তার দিকে সন্দিগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। অরিন জিজ্ঞেস করে-

- কী হয়েছে ভাবি? ওভাবে কি দেখছো? (অরিন)

- তুমি এতক্ষণ কার সাথে কথা বলছিলে? (সুমি)

- আমার বান্ধবী লিসার সাথে। (অরিন)

- এত কিসের কথা বান্ধবীর সাথে? তাও আবার রাতে। বেশি বাড় বেড়ো না, কেবল কলেজে পড়ো। (অরিন)

- এতে বাড়াবাড়ির কী দেখলে? আর আমি এখন প্রিফেক্ট। আমার কথা থাকতেই পারে। সেটা যদি তোমরা অন্যভাবে নেও তাহলে আমার কী করার আছে? প্রথমে নিজের মনটা পরিষ্কার করো। (অরিন)

- আসলেই তুমি কলেজে গিয়ে বেশি বেড়েছ। আর আমার মুখে মুখে তর্ক করার অধিকার কে দিল তোমায়? কার না কার সাথে ফষ্টিনষ্টি করে এখন আমার মুখে মুখে তর্ক করছো? দাড়াও তোমার ভাইয়াকে আজকেই তোমার বিয়ের কথা বলছি। (সুমি)

-তোমার মুখের ভাষাটা ঠিক করলে আমার মনে হয় ভালো হবে। আম্মু বাবা শুনতে পেলে ওনাদের খারাপ লাগবে। আর একটু আগেই তো বললে-কেবল কলেজে পড়ি।তাহলে এখানে বিয়ের কথা উঠছে কোথা থেকে? আর আমি বুঝি না, কিছু কিছু মানুষ আমার বিয়ের কথা সবসময় ভাবে কেন? আমার বিয়ে দেওয়ার জন্য আমার মা-বাবা রয়েছেন। অন্যদের এত না ভাবলেও চলবে। (অরিন এই বলে রুম থেকে চলে গেল)

- খুব ডানা গজিয়েছে না তোমার? তোমার ওই ডানা কিভাবে ঝাটতে হয় তা আমার খুব ভালো করে জানা আছে। একবার শুধু HSC টা পাশ করো। তারপর দেখো তোমাকে কিভাবে আমি এ বাড়ি থেকে বের করি। (সুমি)



To_be_continued......................

193 Views
3 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: