শুধু তোমারই জন্য

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
- The Female Prefect of Nazrul Islam House of CPSCS is Arinnia Sheikh...... (আকাশ)


নাম শোনার সাথে সাথে সবাই হাততালি তো দিল কিন্তু বেশিরভাগই বুঝতে পারল না যে অরিন্নীয়া কে। আর অরিন,সে তো নিজের নাম শুনে আকাশ থেকে পড়ে।নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না সে। লিসার জোড়াজুড়িতে সে এখানে এসেছে। যখন তারা গেটে মাত্রই পার করছিল, তখনই আকাশের মুখে তার নাম শুনে সে সেখানে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। বিষ্ময়ের রেশ তখনো কাটেনি। তার ধ্যান ভাঙে যখন আকাশ বলে-

- অরিন্নীয়া আপনি যেখানে থাকুন, তাড়াতাড়ি স্টেজে আসুন (আকাশ)

লিসাও অরিনকে ঠেলছিল যাওয়ার জন্য। অরিন জানে যে এখানে সিনক্রিয়েট করে কিছুই হবে না,পরে আকাশের সাথে কথা বলতে হবে। তাই অগত্যা অরিন স্টেজে উঠে গেল এক কৃত্রিম হাসির সাথে এবং এক তারকাযুক্ত Green golden starbatch গ্রহণ করল। এতদিনে আড়ালে থাকা মেয়েটাকে এবার সবাই দেখল। কিছুজন ওর উপর বেশ ভালোভাবেই ফ্লার্ট হয়ে পড়লো। আর কেউ কেউ ওর দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে, যেন মনে হচ্ছে যে অরিন ওদের হারিয়ে যাওয়া বউ। এতে অরিনের খুব অস্বস্তি হলো।তাই সে তাড়াতাড়ি স্টেজ থেকে নেমে পড়ল।

_____________________


ছুটির পর.........................

অরিন এখনও বিশ্বাস করতে পারছিল না যে ও এখন নজরুল হাউজের female prefect.সে উদাসীনীর মতো কলেজের বটমূলে বসে ছিল।লিসার ডাকে ওর স্তম্ভিত ফেরে।

-অরি,এই অরি (লিসা)

-আব...হুম (অরিন চমকে)

- ও পৃথিবীতে ল্যান্ড করেছিস তাহলে?তা এতক্ষণ কি উগান্ডায় ছিলিস? কখন থেকে ডাকছি তোকে।(লিসা)

- মনে হয়।আচ্ছা লিসা, আমি কি স্বপ্নে আছি না বাস্তবে? মানে প্রিফেক্ট, আর আমি? (অরিন)

- বিশ্বাস না হলে চিমটি কাট। (লিসা)

- H.C আমায় কেন প্রিফেক্ট করল বল তো?(অরিন)

- নিশ্চয়ই তোকে যোগ্য মনে করেছে ,তাই করেছে।

- ধূর, তোর যোগ্যর মাথায় বাড়ি। বেটা খাড়ুশ,পুরো কলেজে খুঁজে খুঁজে আমাকেই পেল। যা রাগ উঠছে না ওর উপর।(অরিন)

- আরে রাগের কী আছে? আমিই তো বললাম তোকে প্রিফেক্ট ক.... (লিসা)

- এই রে, বলেই দিলাম। আব তেরা ক্যায়া হোগা লিসা?(লিসা জিভ কেটে মনে মনে)

- সত্যি করে বলতো কী করেছিস তুই? (অরিন চোখ ছোট ছোট করে)

- ইয়ে মানে... অরি,দোস্ত........... (লিসা)

- একদম drama করবি না। সব বল এক্ষুনি। (অরিন রাগী গলায়)

- বলছি বলছি,আসলে কাল রাতে আমাকে আকাশ ভাইয়া (এক ক্লাসে পড়লেও আকাশ লিসাদের থেকে দু'বছরের বড়।তাই লিসা তাকে ভাইয়া বলে ডাকে)কল করেছিল (লিসা)

Flashback.......................

আকাশ লিসাকে কল করে-

- হ্যালো, আমি আকাশ বলছি। (আকাশ)

- জ্বী ভাইয়া বলেন। (লিসা)

- তুমি আমাকে ভাইয়া বলছ কেন?(আকাশ)

- আমাদের ক্লাস same হলেও আপনি তো আমাদের সমবয়সী না। তাই আমি ভাইয়া ডাকাটাই ভালো মনে করি (লিসা)

- I like it. আচ্ছা,আমি যা বলছিলাম, আমার তোমার একটু help লাগবে. (আকাশ)

- জ্বী ভাইয়া বলেন কীভাবে সাহায্য করতে পারি? (লিসা)

- জানোই তো নজরুল হাউজের প্রিফেক্ট তৃষ্ণা কলেজ থেকে চলে গেছে। (আকাশ)

- হ্যাঁ, আর যতদূর জানি new prefect select আপনিই করবেন। (লিসা)

- আরে ওখানেই তো পড়েছি ঝামেলায়। সবাই নিজের পার্সোনাল রিলেশনশিপ, পার্সোনাল লাইফ নিয়ে ব্যস্ত। আমার চোখে কেউই এই পদের যোগ্য নয়। কিন্তু তোমার friend অরিন্নীয়া একটু uncommon. আমি যতদূর বুঝলাম,এই বয়সেও ওর ছেলেদের প্রতি কোনো আকর্ষণ নেই।পড়াশোনাতেও ভালো। রিলেশনশিপে থাকা তো দূরের কথা। সঠিক সময়ে কড়া, অন্যসময়ে নরম। আমার মতে, her behaviour is perfect for this. (আকাশ)

- জ্বী ভাইয়া, ও কিন্তু নাচ-গানও খুব ভালো পারে।শুধু confidence এর অভাবে ও কোথাও participate করে না।তাছাড়াও ও মোটামুটি সব co-curricular activities এ ভালো। (লিসা)

- বাহ্,তাহলে তো আরও ভালো।(আকাশ)

- কিন্তু........ (লিসা)

- কিন্তু কী? (আকাশ)

-কিন্তু ভাইয়া ওর একটা মানসিক রোগ আছে। ও সবার সাথে মিশতে পারে না। প্রথমের দিকে ও মেয়েদের সাথেও তেমন কথা বলতো না। এখন আমার সাথে মিশে তাও বলে। কিন্তু ছেলেদের সাথে কথা বলতে ও hesitate feel করে। তাই ছোট থেকে ওর কোন ছেলে বন্ধু নেই। (লিসা)

- বুঝলাম। তুমি এই নিয়ে চিন্তা করো না। ও যখন কাজ করবে, তখন ওকে এমনিই সবার সাথে কথা বলতে হবে। আর আস্তে আস্তে ও সবার সাথে free হয়ে যাবে। আচ্ছা, এখন রাখি। (আকাশ)

-জ্বী ভাইয়া। (লিসা)


আকাশ ও লিসা দুজনের ঠোঁটেই প্রশান্তির হাসি দেখা গেল।


Flashback ends................


লিসা দেখে অরিন ওর দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে, যেন চোখ দিয়ে তাকে ভস্ম করে দেবে।

-লিসা কী বাচ্চী....... (বলেই অরিন তেড়ে গেল লিসার দিকে)

লিসাও ছুট লাগাল। কলেজের বটমূলের একটা গোল বসার জায়গাকে কেন্দ্র করে দুজনে দৌঁড়াতে লাগলো। দশমিনিট পর হাঁপিয়ে গেলে দুজনেই থেমে যায়।

-জানিস এখন ওই আকাশের থেকে তোর উপর রাগ হচ্ছে আমার। মনে হচ্ছে তোর মুন্ডুটা কেটে ঝুলিয়ে রাখি। (অরিন)

- লে হালুয়া! আমি তো তোর ভালোর জন্যই ভাইয়াকে বললাম। (অরিন)

- এতে কী ভালোটা হলো আমার? (অরিন)

-আআদেখ,এখন তুই প্রিফেক্ট। তাই এখন কলেজে তোর আলাদা একটা পাওয়ার থাকবে। (লিসা)

- পাওয়ার দিয়ে কী আমি মুড়ি খাব? তুই জানিস লিসা আমি সবার সাথে মিশতে পারি না। প্রিফেক্ট হলে সবার সাথে মিশতে হবে,সবার সাথে ফ্রি হতে হবে। যেটা আমি পারবো না। (অরিন)

- সেজন্যই তো তোকে প্রিফেক্ট করতে বলেছি। (লিসা)

-না না আমি এই স্টারব্যাচটা নিতে পারবো না। আমি এটা ফেরত দিয়ে আসবো। (অরিন)

- তুই পাগল হয়ে গেছিস? এটা পাওয়ার জন্য মানুষ কত কি করে জানিস? আর তুই পেয়েও ফেলে দিবি? (লিসা)

- এটার যোগ্য আমি কোনোদিকদিয়েই নই। (অরিন)

- স্টারব্যাচ এখন আর ফেরত দেওয়া যাবে না। আর তুই সবার সাথে মিশতে চেষ্টা কর সব ঠিক হয়ে যাবে।এখন চল বাড়ি চল। (লিসা)

- আমি H.C র সাথে দেখা করে যাব। (অরিন)

- তোকে আমি আর বোঝাতে পারলাম না।ওই তো ভাই আসছে, ভাইয়া, আকাশ ভাইয়া। (লিসা)

- (লিসা ও অরিনের কাছে এসে) কোনো দরকার? (আকাশ)

- হ্যাঁ, অরিন আপনার সাথে কথা বলবে (লিসা)

- বল। (আকাশ)

- (ব্যাচটা এগিয়ে দিয়ে) এটা ফিরিয়ে নিন। (অরিন)


To_be_continued...........................



কিছুদিন একটু পর্ব আসতে অনিয়ম হবে কারণ, পড়াশোনার চাপ একটু বেড়ে গেছে
242 Views
3 Likes
0 Comments
5.0 Rating
Rate this: