আবছা আলোয় ওর হাসি দেখে মনে হলো,, এই হাসি দেখে আমি শত সহস্রবার মরতে পারবো।
বুকের ভেতর কেমন যেনো করে উঠলো,,🤭🤭
মাঝে মাঝে ওকে চোরা চোখে হাসতে দেখতাম। বন্ধুদের সাথে যখন মজা করতো। আমি মুগ্ধ হয়ে সেটা দেখতাম।
এতো সুন্দরভাবে হাসতে পারা মানুষটা আমার
সাথে হাসে না কেন,,,,?😓😓
আমার সাথে এমন হাসি দিলে আমি তো খুন হয়ে যেতাম।তা না করে সবসময় ফিচলে হাসি হাসে আর আমাকে জ্বালায়।
বিয়ের পর এই প্রথম আমার চোখে চোখ রেখে সে এভাবে হেসেছে। তাই আমি তার ডাকে সাড়া না দিয়ে পারি নি,,,😁😁
জানালার কাঁচ ভেদ করে আসা নরম ভেজা জোছনায় ও আমাকে নিজের গায়ের উপর নিয়ে মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছিলো।
আর আমি মুগ্ধতা নিয়ে আকাশ দেখছিলাম।ওর সেদিন মন ভীষণ ভালো ছিল,,তাই অন্য এক রূপের বহিঃপ্রকাশ দেখেছি।
টুকটাক করে গল্প বলতে বলতে সে জানালো,, আগামীকাল অভ্রদা আসবে,,
অভ্রদা আবার কে,,,?
আমার মামাতো ভাই,,,
বাহিরে থাকে নাকি,,,?
হুম,, অস্ট্রেলিয়া,,
বিয়েতে এটেন্ড করতে আসছে,,?
হুম,,আর দেশে ঘুরতে,,
ওহ ,,, কিন্তু তোমার মামাতো ভাই বিদেশ থেকে আসবে শুধু তোমার ফুফাতো বোনের বিয়ের জন্য,,,??
" তুমি তো জানো না,,,অভ্রদা ভীষণ পপুলার আমাদের কাজিন মহলে,, সবাই এক কথায় উনার ফ্যান।
আগে ভাইয়ারা মানে ভাইয়া আমার মেজো মামার ছেলে তো,, ওরা যখন পূর্ব রামপুরা থাকতো, তখন আমি মাঝে মাঝেই ওখানে গিয়ে পড়ে থাকতাম,,
পূর্ব রামপুরা শুনে আমার কান খাড়া হয়ে গেল। আমরা ও তো ওখানেই থাকি ! ইনফ্যাক্ট আমার বাবা বাড়ি তো ওখানেই !
বেশ সতর্কতার সাথে প্রশ্ন করলাম,, পূর্ব রামপুরার কোন দিকে মামার বাসা,,?
তোমাদের বাসার কাছেই ছিল। টাকার জন্য ওটা বিক্রি করে দেয়া হয়।
বিয়ের পর তোমাদের বাসায় গিয়ে তো দেখলাম,, ডেভেলপার দশতলা বিল্ডিং করে ফেলেছে,,
উত্তেজনায় আমার ভিতর কাপতে থাকলো,, আবারো প্রশ্ন করলাম,, উনি কি গিটার বাজায়,,?
মারাত্মক বাজায় ,,অভ্রদার তো নেশা ছিল এক কালে। এখনো সুযোগ পেলে বাজায়।কাল আসলে শোনাবো নে !
আমি আর তেমন কিছু বললাম না। মাথা ব্যাথার অযুহাত দিয়ে দ্রুত বিছানায় চলে আসলাম।
আমার মাথায় কেবল চক্বর কাটছে কথাটা।
পূর্ব রামপুরায় অভ্রদারা থাকতো যেটা আবার আমাদের এক বিল্ডিং পরেই। আমার স্পষ্ট মনে আছে সেই বিল্ডিং ভাঙ্গার কথা।
এতো সুন্দর বাড়ি ভেঙে ফেলায় আমি খুব মনঃক্ষুন্ন হয়েছিলাম,,
অথচ কখনো ভাবি নি,,,,,
চলবে,,,
অচেনা এক কন্ঠের সুর
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
132
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating