নিজের ঘরের হাফ টারেস এ বসে খুব মন দিয়ে বেলিফুলের মালা গাঁথছে অনন্যা। আজকে তার বেলি ফুলের গাছে প্রথম বার অনেক বেলি ফুল ধরেছিল। সেই জন্যই এই মালা গাঁথা তার। স্মৃতি রেখে দিবে সে। হঠাৎ নিচ থেকে ডাক এলো অনন্যার মায়ের।
- অনন্যা তাড়াতাড়ি নিচে এসো।
- হ্যাঁ মা আসছি।
কথাগুলো বলতে বলতে অনন্যা নিজের ঘরে এসে ওড়না নিয়ে নিচে গেল। যেতেই দেখলো ড্রয়িং রুমে তার আশা ফুপি বসে আছে। তাকেই দেখেই অনন্যা দৌড়ে গিয়ে ফুপি কে জড়িয়ে ধরলো। একটাই ফুপি তার। তাকে সে খুব ভালবাসে।
- কখন আসলে ফুপি?
- এখনই আসলাম আম্মু। কেমন আছো তুমি?
- আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। তুমি কেমন আছো?
- ভালো আম্মু। তোমাদেরকে নিতে এসেছি আজকে।
- কেনো? কোথায় যাবে?
- কুমিল্লা যাবো তোমার শান্তা আপুর বাসায়। কাজ আছে। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও।
- তোমার মেয়ের শশুর বাড়ী তুমি যাও। আমরা গিয়ে কি করবো? পাশাপাশি আমার সামনের মাসে পরীক্ষা আছে।
- ওসব আমি জানি না। বিহান ৪ বছর পর ইউকে থেকে এসেছে। এই জন্য শান্তার শাশুড়ি সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। বিশেষ করে তোকে। কি নাকি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
"বিহান এসেছে" কথাটা শুনতে অনন্যা নুইয়ে গেল। এ কি সেই বিহান যার জন্য সে এতদিন অপেক্ষা করছে?
- আচ্ছা। আমি যাচ্ছি তৈরি হতে।
কথাটা বলেই অনন্যা দৌড়ে উপরে চলে গেল।
- দেখলে ভাবি; বিহান এর নাম শুনতেই মেয়েটা কেমন লাল হয়ে গেলো।
- জানোই তো আশা। মেয়েটা বিহান কে ভালবাসে। কখনও মুখ ফুটে বলে নি কিন্তু বিহান এর নাম শুনলেই মেয়েটার মুখ বদলে যায়। যে কেউ বলতে পারবে সে বিহানকে পছন্দ করে। মেয়েটার বাবা বুজে। কিন্তু কিছু বলে না। বাসায় তো থাকে না। সারাবছর মিটিং এর জন্য দেশ বিদেশে ঘুরতে থাকে।
- জানি তো ভাবি। ভাইয়া মানা করবে না এটাও জানি আমি। অনন্যাকে ভালো লাগায় হয়তো নাজমা আপা (শান্তার শাশুড়ি) আমাদের ডাকিয়েছেন। হয়তো নিজের ছেলের সাথে তোমাদের মেয়ের বিয়ে ঠিক করবে। আর বিয়ের পর অনন্যাকে বিহান এর সাথে একা দিয়ে দিবেন। এভাবেও তো বিহান তাদের সাথে থাকে না। আর পাশাপাশি তাদের বাড়ি গাড়ির অভাব নেই। বিয়ে হলে ভালোই হবে।
- কিন্তু অনন্যার বয়স মাত্র ১৮ বছর আর বিহান এর ২৮; পার্থক্য টা একটু বেশি হয়ে যায় না?
- এটা আমিও ভেবেছি। কিন্তু তুমি তো জানোই ছেলেদের বেশি বয়সে বিয়ে করা ভালো। আর মেয়েদের ১৬-১৯ বেস্ট সময় বিয়ের। এভাবে আমার আর তোমার তো ১৬-১৭ তেই বিয়ে হয়েছে। আর শান্তার ১৯ এ। এ বড় কিছু না। সবচেয়ে বড় কথা হলো ওই বাড়ির বউ হলে তোমার মেয়ের কোনো কিছুর অভাব হবে না। তুমি এত ভেবোনা তো।
- আশা করি তোমার কথাই সত্যি হবে।
***
অনন্যা নিজের খাটে উল্টো হয়ে শুয়ে আছে। চোখ থেকে খুশির অশ্রু ঝরছে। অবশেষে ৪ বছর পর বিহান এর সাথে অনন্যার দেখা হবে। সেই ১৩ বছর বয়স থেকে সে বিহান কে ভালবাসে। একবার বলেও ছিল। কিন্তু বিহান অনেক খারাপ ব্যবহার করেছিল তার সাথে। বিহান খুবই শান্ত স্বভাবের। কিন্তু রাগী প্রকৃতির। হঠাৎ করে রাগ উঠে যায় তার। টা ভাবতেই অনন্যা কেঁপে উঠল। রাগী মুখেও তাকে দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। ভয়ঙ্কর সুন্দর!! এত বছর পর তার সামনে গিয়ে কিভাবে দাঁড়াবে অনন্যা? ভাবতেই ভাবতেই আলমারি থেকে কাঁচা হলুদ রঙের কুর্তি টা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো অনন্যা। এত বছর পর তার ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা হচ্ছে তার। সুন্দর করে তৈরি তো হতে হবেই!!!
গাড়িতে বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে অনন্যা। আপন গতিতে গাড়িটা চলছে। বর্তমানে যমুনা নদীর উপর ব্রিজ দিয়ে তাদের গাড়িটা চলছে। আর ঘন্টা দেড়েকের পর তারা পৌঁছে যাবে। তাদের গন্তব্যে। অনন্যার মনে নাড়া দিচ্ছে নানান অতীতের স্মৃতি। দেখতে দেখতে মনে পড়ে গেলো ৪ বছর আগের কথা..ভাবতে ভাবতে স্মৃতিতে ডুব দিল অনন্যা।
*৪ বছর আগে*
- আমি তোমায় ভালবাসি বিহান ভাইয়া। খুব ভালোবাসি। তোমায় ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। প্লিজ তুমি আমাকে ছেড়ে ইউকে যেও না...
ঠাস!!! অনন্যা কে কষে একটা থাপ্পড় দিল বিহান। আর বলল;
- তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে অনু? কী বললি তুই এটা। এইটুকু মেয়ে ভালোবাসা কী বুঝিস? আমাকে ছাড়া নাকি বাঁচবে না। নিজেকে দেখ আর আমাকে দেখ। ১ অথবা ২ না, ১০ বছরের বড় আমি তোর। আমার সাথে তোর কোন দিক দিয়ে যায় দেখ; আমাকে বলতে আসছে ভালবাসতে।
- (কাদতে কাদতে) আমি তো জানতাম না বিহান ভাইয়া, যে বয়সে বড় কাওকে ভালোবাসা যায় না। আমি তো জানতাম ভালবাসতে শুধু মন লাগে।
- এই বয়সে আবার মন ও বুঝিস। ( মজা করে হেসে) শুন; তোর আর আমার ব্যক্তিত্ব খুবই আলাদা। আমরা কখনোই একসাথে সুখে থাকতে পারবো না। কখনও আমার থেকে ভালোবাসার আশা করবি না। তোকে আমি কখনই ভালবাসবো না।
কথাগুলো বলে বিহান চলে গেল রুম থেকে। অনন্যা কাদতে কাদতে বসে পড়ল রুমটায়।
*বর্তমান*
তারপর থেকে অনন্যা একদম স্তব্ধ হয়ে গেলো।
হাসি খুশি অনন্যা কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। এরপর থেকে অনন্যাকে কেউ মন খুলে হাসতে দেখেনি। রাতারাতি immature আর childish মেয়েটা mature আর understanding হয়ে উঠল। ওইদিন থেকে অনন্যার বাবার ব্যবসায়ের অনেক উন্নতি হতে থাকে। আস্তে আস্তে তার কোম্পানি বাংলাদেশের অন্যতম বড় কোম্পানি হয়ে উঠে। বিদেশেও এই কোম্পানির শাখা প্রতিষ্ঠা হয়। এককথায় অনন্যা দের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায়।
এখন তারা এই পর্যায়ে।
- অনু, এই অনু?
নিজের ফুপির ডাকে অনন্যার ঘোর কাটল। ফুপির দিকে তাকাতেই সে সামনে তাকাতে বললে অনন্যা সামনে দেখলো ১০ তালা বাড়িটার দিকে। যেটা খুব luxurious ভাবে তৈরি করা হয়েছে। গাড়ি থেকে বের হয়ে অনন্যা রা ঢুকলো বাড়িতে। লিফট এ অনন্যা, অনন্যার আম্মু আর অনন্যার ফুপি ঢুকলো।আর অনন্যার ফুপি বলতে শুরু করলো।
- শুনো অনু; আমরা বাড়িতে ঢুকার পর সবাইকে সালাম দিবা। সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলবে। ৪ বছর আগে কি হয়েছে টা আমি জানি না। কেন তুমি এমন হয়ে গেছ আমি তাও জানি না। কিন্তু মনে রেখো; সবাই ওই হাসি খুশি মিশুক অনন্যাকেই পছন্দ করে। একটু হাসলে বেশি কিছু হবে না। ঠিক আছে?
- ফুপি তুমি বলছো আমি বুঝেছি। কিন্তু কাওকে তার স্বভাবের চেয়ে অন্যরকম ব্যবহার করতে বলা টা ঠিক?
কথাগুলো বলতে বলতেই লিফট খুলে গেলো। আর তারা উঠলো ৭ তলায়। ওখানে মোট ২ টা ইউনিট। একটা ইউনিট এ থাকে বিহান। আরেক ইউনিট এ থাকে বিহান এর পরিবার। দরজায় টোকা দিতেই দরজা খুলে দিল শান্তা। অনন্যার ফুফাতো বোন। আর আশার বড় মেয়ে। নিজের মাকে দেখেই শান্তা জড়িয়ে ধরলো তাকে। তারপর অনন্যার মাকে তারপর অনন্যা কে। অনন্যা ও মুচকি হেসে বলল;
-এখানেই আপ্যায়ন করবা? ভিতরে ডাকবা না?
- কী যে বলিস! আসো আসো তোমরা ভেতরে আসো। ভিতরে ঢুকতেই অনন্যার চোখ গেলো সোফার মধ্যে বসে থাকা সুপুরুষ তার দিকে।
- অনু???
- বিহান ভাইয়া.....
#চলবে
#গল্প : #সূর্যাস্ত_ও_তুমি
#লেখিকা_Jobaida
#সূচনা_পর্ব
অনন্যা, যে ভালবাসে সীমাহীন ভাবে! বিহান যে ভালোবাসার মানেই বুঝে না! কী হবে তাদের এন্ডিং? জানতে হলে পড়ুন #সূর্যাস্ত_ও_তুমি। আরো পর্বের জন্য পোস্ট টা শেয়ার দিয়ে রাখুন।
#Thank_you_for_readingনিজের ঘরের হাফ টারেস এ বসে খুব মন দিয়ে বেলিফুলের মালা গাঁথছে অনন্যা। আজকে তার বেলি ফুলের গাছে প্রথম বার অনেক বেলি ফুল ধরেছিল। সেই জন্যই এই মালা গাঁথা তার। স্মৃতি রেখে দিবে সে। হঠাৎ নিচ থেকে ডাক এলো অনন্যার মায়ের।
- অনন্যা তাড়াতাড়ি নিচে এসো।
- হ্যাঁ মা আসছি।
কথাগুলো বলতে বলতে অনন্যা নিজের ঘরে এসে ওড়না নিয়ে নিচে গেল। যেতেই দেখলো ড্রয়িং রুমে তার আশা ফুপি বসে আছে। তাকেই দেখেই অনন্যা দৌড়ে গিয়ে ফুপি কে জড়িয়ে ধরলো। একটাই ফুপি তার। তাকে সে খুব ভালবাসে।
- কখন আসলে ফুপি?
- এখনই আসলাম আম্মু। কেমন আছো তুমি?
- আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। তুমি কেমন আছো?
- ভালো আম্মু। তোমাদেরকে নিতে এসেছি আজকে।
- কেনো? কোথায় যাবে?
- কুমিল্লা যাবো তোমার শান্তা আপুর বাসায়। কাজ আছে। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও।
- তোমার মেয়ের শশুর বাড়ী তুমি যাও। আমরা গিয়ে কি করবো? পাশাপাশি আমার সামনের মাসে পরীক্ষা আছে।
- ওসব আমি জানি না। বিহান ৪ বছর পর ইউকে থেকে এসেছে। এই জন্য শান্তার শাশুড়ি সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। বিশেষ করে তোকে। কি নাকি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
"বিহান এসেছে" কথাটা শুনতে অনন্যা নুইয়ে গেল। এ কি সেই বিহান যার জন্য সে এতদিন অপেক্ষা করছে?
- আচ্ছা। আমি যাচ্ছি তৈরি হতে।
কথাটা বলেই অনন্যা দৌড়ে উপরে চলে গেল।
- দেখলে ভাবি; বিহান এর নাম শুনতেই মেয়েটা কেমন লাল হয়ে গেলো।
- জানোই তো আশা। মেয়েটা বিহান কে ভালবাসে। কখনও মুখ ফুটে বলে নি কিন্তু বিহান এর নাম শুনলেই মেয়েটার মুখ বদলে যায়। যে কেউ বলতে পারবে সে বিহানকে পছন্দ করে। মেয়েটার বাবা বুজে। কিন্তু কিছু বলে না। বাসায় তো থাকে না। সারাবছর মিটিং এর জন্য দেশ বিদেশে ঘুরতে থাকে।
- জানি তো ভাবি। ভাইয়া মানা করবে না এটাও জানি আমি। অনন্যাকে ভালো লাগায় হয়তো নাজমা আপা (শান্তার শাশুড়ি) আমাদের ডাকিয়েছেন। হয়তো নিজের ছেলের সাথে তোমাদের মেয়ের বিয়ে ঠিক করবে। আর বিয়ের পর অনন্যাকে বিহান এর সাথে একা দিয়ে দিবেন। এভাবেও তো বিহান তাদের সাথে থাকে না। আর পাশাপাশি তাদের বাড়ি গাড়ির অভাব নেই। বিয়ে হলে ভালোই হবে।
- কিন্তু অনন্যার বয়স মাত্র ১৮ বছর আর বিহান এর ২৮; পার্থক্য টা একটু বেশি হয়ে যায় না?
- এটা আমিও ভেবেছি। কিন্তু তুমি তো জানোই ছেলেদের বেশি বয়সে বিয়ে করা ভালো। আর মেয়েদের ১৬-১৯ বেস্ট সময় বিয়ের। এভাবে আমার আর তোমার তো ১৬-১৭ তেই বিয়ে হয়েছে। আর শান্তার ১৯ এ। এ বড় কিছু না। সবচেয়ে বড় কথা হলো ওই বাড়ির বউ হলে তোমার মেয়ের কোনো কিছুর অভাব হবে না। তুমি এত ভেবোনা তো।
- আশা করি তোমার কথাই সত্যি হবে।
***
অনন্যা নিজের খাটে উল্টো হয়ে শুয়ে আছে। চোখ থেকে খুশির অশ্রু ঝরছে। অবশেষে ৪ বছর পর বিহান এর সাথে অনন্যার দেখা হবে। সেই ১৩ বছর বয়স থেকে সে বিহান কে ভালবাসে। একবার বলেও ছিল। কিন্তু বিহান অনেক খারাপ ব্যবহার করেছিল তার সাথে। বিহান খুবই শান্ত স্বভাবের। কিন্তু রাগী প্রকৃতির। হঠাৎ করে রাগ উঠে যায় তার। টা ভাবতেই অনন্যা কেঁপে উঠল। রাগী মুখেও তাকে দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে। ভয়ঙ্কর সুন্দর!! এত বছর পর তার সামনে গিয়ে কিভাবে দাঁড়াবে অনন্যা? ভাবতেই ভাবতেই আলমারি থেকে কাঁচা হলুদ রঙের কুর্তি টা নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো অনন্যা। এত বছর পর তার ভালোবাসার মানুষের সাথে দেখা হচ্ছে তার। সুন্দর করে তৈরি তো হতে হবেই!!!
গাড়িতে বসে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে অনন্যা। আপন গতিতে গাড়িটা চলছে। বর্তমানে যমুনা নদীর উপর ব্রিজ দিয়ে তাদের গাড়িটা চলছে। আর ঘন্টা দেড়েকের পর তারা পৌঁছে যাবে। তাদের গন্তব্যে। অনন্যার মনে নাড়া দিচ্ছে নানান অতীতের স্মৃতি। দেখতে দেখতে মনে পড়ে গেলো ৪ বছর আগের কথা..ভাবতে ভাবতে স্মৃতিতে ডুব দিল অনন্যা।
*৪ বছর আগে*
- আমি তোমায় ভালবাসি বিহান ভাইয়া। খুব ভালোবাসি। তোমায় ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। প্লিজ তুমি আমাকে ছেড়ে ইউকে যেও না...
ঠাস!!! অনন্যা কে কষে একটা থাপ্পড় দিল বিহান। আর বলল;
- তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে অনু? কী বললি তুই এটা। এইটুকু মেয়ে ভালোবাসা কী বুঝিস? আমাকে ছাড়া নাকি বাঁচবে না। নিজেকে দেখ আর আমাকে দেখ। ১ অথবা ২ না, ১০ বছরের বড় আমি তোর। আমার সাথে তোর কোন দিক দিয়ে যায় দেখ; আমাকে বলতে আসছে ভালবাসতে।
- (কাদতে কাদতে) আমি তো জানতাম না বিহান ভাইয়া, যে বয়সে বড় কাওকে ভালোবাসা যায় না। আমি তো জানতাম ভালবাসতে শুধু মন লাগে।
- এই বয়সে আবার মন ও বুঝিস। ( মজা করে হেসে) শুন; তোর আর আমার ব্যক্তিত্ব খুবই আলাদা। আমরা কখনোই একসাথে সুখে থাকতে পারবো না। কখনও আমার থেকে ভালোবাসার আশা করবি না। তোকে আমি কখনই ভালবাসবো না।
কথাগুলো বলে বিহান চলে গেল রুম থেকে। অনন্যা কাদতে কাদতে বসে পড়ল রুমটায়।
*বর্তমান*
তারপর থেকে অনন্যা একদম স্তব্ধ হয়ে গেলো।
হাসি খুশি অনন্যা কোথায় যেনো হারিয়ে গেলো। এরপর থেকে অনন্যাকে কেউ মন খুলে হাসতে দেখেনি। রাতারাতি immature আর childish মেয়েটা mature আর understanding হয়ে উঠল। ওইদিন থেকে অনন্যার বাবার ব্যবসায়ের অনেক উন্নতি হতে থাকে। আস্তে আস্তে তার কোম্পানি বাংলাদেশের অন্যতম বড় কোম্পানি হয়ে উঠে। বিদেশেও এই কোম্পানির শাখা প্রতিষ্ঠা হয়। এককথায় অনন্যা দের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে যায়।
এখন তারা এই পর্যায়ে।
- অনু, এই অনু?
নিজের ফুপির ডাকে অনন্যার ঘোর কাটল। ফুপির দিকে তাকাতেই সে সামনে তাকাতে বললে অনন্যা সামনে দেখলো ১০ তালা বাড়িটার দিকে। যেটা খুব luxurious ভাবে তৈরি করা হয়েছে। গাড়ি থেকে বের হয়ে অনন্যা রা ঢুকলো বাড়িতে। লিফট এ অনন্যা, অনন্যার আম্মু আর অনন্যার ফুপি ঢুকলো।আর অনন্যার ফুপি বলতে শুরু করলো।
- শুনো অনু; আমরা বাড়িতে ঢুকার পর সবাইকে সালাম দিবা। সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলবে। ৪ বছর আগে কি হয়েছে টা আমি জানি না। কেন তুমি এমন হয়ে গেছ আমি তাও জানি না। কিন্তু মনে রেখো; সবাই ওই হাসি খুশি মিশুক অনন্যা কেই পছন্দ করে। একটু হাসলে বেশি কিছু হবে না। ঠিক আছে?
- ফুপি তুমি বলছো আমি বুঝেছি। কিন্তু কাওকে তার স্বভাবের চেয়ে অন্যরকম ব্যবহার করতে বলা টা ঠিক?
কথাগুলো বলতে বলতেই লিফট খুলে গেলো। আর তারা উঠলো ৭ তলায়। ওখানে মোট ২ টা ইউনিট। একটা ইউনিট এ থাকে বিহান। আরেক ইউনিট এ থাকে বিহান এর পরিবার। দরজায় টোকা দিতেই দরজা খুলে দিল শান্তা। অনন্যার ফুফাতো বোন। আর আশার বড় মেয়ে। নিজের মাকে দেখেই শান্তা জড়িয়ে ধরলো তাকে। তারপর অনন্যার মাকে তারপর অনন্যা কে। অনন্যা ও মুচকি হেসে বলল;
-এখানেই আপ্যায়ন করবা? ভিতরে ডাকবা না?
- কী যে বলিস! আসো আসো তোমরা ভেতরে আসো। ভিতরে ঢুকতেই অনন্যার চোখ গেলো সোফার মধ্যে বসে থাকা সুপুরুষ তার দিকে।
- অনু???
- বিহান ভাইয়া.....
#চলবে
#গল্প : #সূর্যাস্ত_ও_তুমি
#লেখিকা_Jobaida
#সূচনা_পর্ব
অনন্যা, যে ভালবাসে সীমাহীন ভাবে! বিহান যে ভালোবাসার মানেই বুঝে না! কী হবে তাদের এন্ডিং? জানতে হলে পড়ুন #সূর্যাস্ত_ও_তুমি। আরো পর্বের জন্য পোস্ট টা শেয়ার দিয়ে রাখুন।
#Thank_you_for_reading
সূর্যাস্ত ও তুমি
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
203
Views
5
Likes
0
Comments
4.0
Rating