তিন জনে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে ।
হালকা বাতাস একটু একটু শীত।
নদীর ডেউগুলো তীব্র গতিতে এসে, তীরের কাছে হারিয়ে যায়।
দূরে একটু পড় পড় দুই একটা নৌকা দেখা যায়।
রাজুর আপন চাচাতো বোন মিম ,আর রাফি হলো চাচাতো চাচার ছেলে।
তবে রাজু আর রাফি একসাথে দিন রাত সব সময় থাকে।
রাজু দেখলো রাফি মিম এর দিকে তাকিয়ে আছে।
নিরবতা ভেঙ্গে রাফি বলল-
রাজু দেখতে মিম কে মেয়েটার পোশাকে সুন্দর লাগবে না?
(বলে একটুখানি হাসি দিল।)
রাজু তাকিয়ে দেখলো মিম সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে .কিন্তু কখনো তাকিয়ে দেখেনি।
ওর খোলা চুলগুলো বাতাসে দুলছে।
রাজু: তাহলে বানর টাকে পরীর মত লাগবে।
মিম: অনেক রেগে ছি: আমি পড়বো ওই পোশাক জীবনে ও না।
রাজু: আচ্ছা মিম তুই কি কখনো নৌকা চড়েছো?
মিম: না
রাজু: চড়ার ইচ্ছে আছে?
মিম: খুব ইচ্ছে করছে।
রাজু: তোকে নৌকার মাঝির সাথে বিয়ে দিতে হবে?
রাফি: হ ঠিক ভাই।
রাজু আর রাফি শুধু হাসছে
মিম রেগে রাজু কে কয়েকটা কিল ঘুষি দিয়ে রাগ করে এক স্থানে বসে আছে।
রাজু সরি! ওই রাগ করিস না রে.
তুই না আমার কলিজার বোন।
প্লিজ চল না! শোন না ,
তোকে কাল ফুচকা খাওবো।
মিম: মনে থাকবে তো?
রাজু: হুম, একশো বার।
রাফি:চল যাই,আসছি অনেক সময় হয়েছে।
**00**00**
রাজু আর রাফি রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলছে ।
হঠাৎ করে রাফি দেখলো একটুখানি দূরে একটা গাছের আড়ালে,
কে যেন দাঁড়িয়ে টাটা দিচ্ছে।
দুজনে কাছে গিয়ে দেখলো কেউ নেই।
সামনে তাকিয়ে দেখলো আবার সেই ইশারা।
দুজনে একটু দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখলো কেউ নেই।
আবার দূরে কেউ ইশারা দেখলো।
দুজনে দৌড়ে গিয়ে দেখলো কেউ নেই।
শুধু একটা গোলাপ আর একটা চিঠির খাম।
চিঠির খাম খুলে দেখে, ভিতরে একটা লিপস্টিক দেয়া ঠোঁটের ছাপ।
রাফি বলল- তোর লটারি লাইগা গেছে ভাই!
রাজু আনন্দিত হলেও এমন ভান করল মনে হচ্ছে।
কিছু বুঝতে পারছে না।
**00**00**
দুপুরে বউ-ভাতের অনুষ্ঠানে । পুরুষ আগে খেলো,পড়ে মহিলাদের পালা ।
রাফি ডাল আর রাজু পানি দিচ্ছে মহিলাদের খাবারে।
লামিয়ার সাথে মিম বসেছে দুজনে ভালই মিল হয়েছে।
হঠাৎ লামিয়া-
পানি পানি বলে ডাক দিলো।
রাজু -পানি দিতে গিয়ে দেখলো, লামিয়া ওর দিকে তাকিয়ে. আছে।
তাই নিজের চোখ গিয়ে লামিয়ার চোখের মাঝে বন্দী হলো।
ওই চোখের পানে তাকানোর সাথে সাথে নিজে হারিয়ে ফেলেছি।
সব কিছু ভুলে গেছি কে আমি?
শুধু মনে হয় ওই চোখ আমাকে তাকিয়ে থাকতে আহ্বান করেছে।
হঠাৎ মিম এর ডাকে কানে শুনতে পেল-
ভাইয়া কি করছো তুমি?
রাজু হুঁশ ফিরে পেলো, তাকিয়ে দেখলো লামিয়ার গ্লাস ভর্তি হয়ে. পানিতে প্লেটে ভর্তি হয়ে গেছে।
লামিয়া বলল-এটা কি করলেন?
রাজু সরি সরি আপু বুঝতে পারিনি।
রাফি আমাকে প্লাট টা দিন পরিবর্তন করে দিই।
অনেক মহিলা রাজুর দিকে তাকিয়ে বাজে কথা বলছে।
কেউ বলে জীবনে মেয়ে দেখে নাই কি করবে? আর কতো কথা..
রাজু অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে আছে.
লজ্জায় মাথা নিচু করে ঘরে চলে গেছে।
মিম শুধু মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে আছে, মনে হচ্ছে ওর কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে ।
কেন এমন হচ্ছে কিছু বুঝতে পারছে না?
**00**00**
রাফি খাবার শেষে দেখলো সেই মেয়েটির রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।
এটাই উপযুক্ত সময় কথা বলার
রাফি-আপু তুমি ঢাকা থাকো?
মেয়েটি:হ্যা ঢাকাতে থাকি।
রাফি: তোমার নাম কি ছনিয়া?
মেয়েটি:না। রিয়া
রাফি: ওহ! ওরা রিয়া বলছিল কিন্তু মনে নাই?
আপু তোমাকে খুব মানায়ইছে! তুমি দেখতে যেমন পরীর মতো পোশাক টাও সেই রকম।
তোমাকে দেখলে মনে হয় হীরার টুকরো!
রিয়া: থাংস বলে চলে গেল।
(রাফি মনে মনে, এই মাইয়া এতো ভাব কোথায় পায় আল্লাহ জানে )
একটু জোরে ব্যাপার না পাখি। সময় পাইলে এমন পিঞ্জিরায় ঢুকাবো...,
রাজু পিছনে পুকুর পাড়ে দাড়িয়ে.
ভাবছে,জানি না মেয়েটা কি মনে করছে?
এরপর যদি কথা না বলে?
দূর! কিছু ভালো লাগে না।
কেন এমন হয় ওর দিকে তাকালে?
ইয়া আল্লাহ! আমাকে একটু নিজেকে নিয়ন্তন করার ক্ষমতা দাও ? তোমার পায়ে পড়ি।
**00**00**
বিকেলে সবাই চলে গেছে ।
রিয়াও চলে গেছে রাফির সাথে আর কথা হল না তাই মন খারাপ।
**00**00**
বিকেলে সবাই চলে আসলো। সাথে দুলাভাই, তার আপন বোন ইমা, এবং লামিয়া ।
সারাদিন এতো কাজ একটু কথা বলা দেখা করার সময় হয় নি।
রাতে রাজু দেখলো মিম, লামিয়া আর ইমা গল্প করছে ।
মিম দেখেই বললো-
রাজু ভাইয়া এদিকে এসো।
( রাজু মনে মনে খুশি হলো)
শুধু বললো- অনেক ব্যাস্ত রে!
মিম: তুমি আসবা কি না?
রাজু:-আর দেরি না করেই এসে একটা চেয়ারে বসলো।
মিম:শোন এটা তোমার বেয়াইন লামিয়া।
আর ওটাও তোমার বেয়াইন ইমা।
এখন বলো তোমার কাকে পছন্দ হয়েছে?
রাজু: দুজনে কে পছন্দ হয়েছে।
মিম: কি?
রাজু: সমস্যা নাই তো। বেশি বউ থাকলে আরো ভালো।
ইমা: হ,বেয়াই! বেশি ভালবাসা পাওয়া যাবে।
রাজু:বেয়াইন এই বার বলছেন আমার মনের কথাটা।
লামিয়া কিছুই বলে না মাঝে মাঝে একটু মিম আর রাজুর দিকে তাকায়া
ইমা: ভালোবাসা বেশি খাইলে বদ হজম হয় কিন্তু?
(বলে একটুখানি হাসি দিল)
মিম:সেও হসি দিয়ে ঠিক বলেছেন বেয়াইন।
রাজু: সেও হসি মাখা মুখে বলল-
চিন্তা করবেন না বদ হজমের ঔষুধ আমার কাছে আছে।
।অনেক রাত পর্যন্ত তারা গল্প করলো।
রাজু ভোরে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ নিয়ে পুকুর পাড়ে দিকে যাবে, তখন দেখলো ইমা হাত-মুখ ধোয়
রাজু-বেয়াইন এদিকে এসো, বলে একটু কাছে গেল।
অনেক পরিক্ষা নিরিখা করে বললো-খারাপ না ভালোই তো লাগছে।
ইমা: আমাকে এতো দেখতে হবে না। লামিয়া আছে তো ঘরে।
(মুখে চাপা হাসি)
রাজু: অবাক হয়ে-
(ইয়া আল্লাহ! কিভাবে জানলো? একটু ট্যাঙ্কি মারবো তাও হবে না মনে হয়)
বললো-আমার কি মাথা খারাপ?
তোমার মতো এতো সুন্দরী একটা বেয়াইন থাকতে অন্য কারো কাছে যাবো।
ইমা: ইয়া আল্লাহ! আমি নাকি সুন্দরী?
রাজু: বিশ্বাস না হলে আমার চোখ দুটো নিয়ে দেখো?
ইমা: না বিশ্বাস হবে না কেন? আর কিছু বলবেন?
(বলে তাকিয়ে আছে)
।রাজু কিছুটা লাজুক ভাবে।
বলল-না মানে , চলুন না পুকুর পাড়ে ঘুরে আসি?
থাক মন না চাইলেও লাগবে না?
ইমা: ওহ্! তাই বুঝি?
রাজু: গেলে আর কি একটু ভালো হতো? থাক।
ইমা: একটু মুচকি হাসি দিয়ে বলল হুম থাক। বলে হাটতে শুরু করলো।
।রাজু কিছুটা ইতস্তত বোধ করলো। কি করবে বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে আছে।
ইমা: কি হলো দাঁড়িয়ে আছেন কেন আসুন?
রাজু: কিছু না বলেই চলল..
। মনে মনে অনেক খুশি হলো।
ইমা:বেয়াই! আমি দেখতে কেমন?
।রাজু এই সুজুগে আবার তাকিয়ে দেখে নিল।
আসলে সত্যি ইমা অনেক সুন্দরী চুল একটু ছোট,
বডি মাশাআল্লাহ!।
ইমা: কি হলো?
রাজু:সত্যি অনেক সুন্দর অসাধারণ।
ইমা: আমি বেশি সুন্দর না লামিয়া?
রাজু এবার একটু কাসি দিয়ে বলল-
তুমি সুন্দর! ওহ সুন্দর!
ইমা: বেশি কে?
রাজু কোন উত্তর না দিয়ে বলল-
আপনি পড়েন কিসে?
ইমা:-ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার
রাজু - আমি ফাইনাল পরীক্ষা দিসি।
ইমা: ভালো
পুকুর পাড়ে বিলের দিকে তাকিয়ে আছে দুজনে -
ইমা - ধানক্ষেত খুব সুন্দর তাই না?
রাজু - আমি আর কি বলবো সুন্দরী মেয়ে পাশে আমি তো সবাই সুন্দর দেখি।
।বলে একটু হাসলো।
ইমা - আপনাকে দেখলে মনে হয় না যে এতো কথা জানেন?
রাজু -কথা বুঝি গায় লেখা থাকে?
।ইমা একটু বিরক্ত হয়।
বলল-উফ্ আপনাকে যা মন চায়
রাজু: কি মন চায়? ভালোবাসাতে মন চাইলে বইলা দিবা?
গোপন রেখে কষ্ট পাইয়ি লাভ আছে?
ইমা- ঘুসি মেরে নাকটা ফাটিয়ে দিতে মন চায়?
রাজু - মারতে যদি মন! চায়?
তাহলে আস্তে আদর করে একটু মেরে দিও।
শুনছি বেয়াইনের হাতের স্পর্শ পাইলে নাকি তারাতাড়ি বিয়ে হয়।
ইমা -আপনার বিয়ে জীবনে হবে না।
পিছনে এসে মিম আর লামিয়া অনেক ক্ষণ আগেই দাঁড়িয়ে কথা শুনছে।
দুই জনের রাগে গা জ্বলছে। ইচ্ছে করছে, বেয়াইনের মাথা ফাটিয়ে দিতে।
আর দেখো রাজু কত খারাপ ওহ সুন্দর হেসে হেসে কথা বলছে।
মজা পাইছে বুঝি,ওর মজা ছুটাইয়া দিতে হয়।
লামিয়ার আর সহ্য হচ্ছে না বলল-
ঠিকই তার বিয়ে জীবনে হবে না?
মিম: আপনার কষ্ট করে ফাটাতে হবে না। আমিই ফাটিয়ে দিব নে।
ইমা আর রাজু অবাক হয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখলো দু'জনের রাগে চোখ দিয়ে আগুন বেরোচ্ছে।
(রাজু মনে মনে বলল-যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত পোহায়। যেভাবে হোক ম্যানেজ করতে হবে)
রাজু: লামিয়া কে বললো ওয়াও অপুর্ব!
বেয়াইন! তোমাকে এতো সুন্দর লাগছে ধারণার বাহিরে। তোমাকে একবার দেখলে, পৃথিবীর আর কিছু দেখতে ইচ্ছে করে না।
মনে হয় সারা জীবন,তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি।
লামিয়া:-শান্ত ভাবে বলল- আমাকে দেখতে হবে ইমা দিদিকে দেখুন।
মিম: শান্ত ভাবে বললো -
নাস্তা করা লাগবে না?
নাকি বেয়াইনের মিষ্টি কথার পেট ভরে গেছে?
ইমা -চাচাতো ভাইকে আঁচলে বাঁইধা রাখো তাহলে বেয়াইনে পাইবে না।
রাজু - এতো সুন্দরী একটা বেয়াইন পাশে থাকলে ক্ষুধার হুঁশ থাকে না। ক্ষুধা লাগবো কেমনে?
লামিয়ার রাগ মনে হয় কমে নি, কোন কথা না বলে দ্রুত চলে আসলো।
মিম ডাকলো কোন উত্তর দিল না।
রাজু ক্ষুধা লাগছে বলে দ্রুত লামিয়ার কাছে চলে আসলো।
লামিয়া! ওলামিয়া! লামিয়া রে!
ওই শোন না প্লিজ..!
কোন উত্তর না দিয়ে আরো জোরে হাঁটছে।
আমার ভুল হয়ে গেছে। প্লিজ..! ওই কথা বলনা প্লিজ!.
শোন না ভুল তো মানুষেই করে তাই না! আমিও তো মানুষ।
বিষয় টা সহজ করে নাও এতো হার্ড করে নিও না।
লামিয়া হঠাৎ দাঁড়িয়ে তুমি কি আমাকে পছন্দ করো?
রাজু: হুম, অনেক অনেক অনেক বেশি।
লামিয়া:তুমি কি আমাকে ভালবাসো।
রাজু: ভালোবাসি কিনা জানি না।
তবে তোমাকে দেখলে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি।
তোমার একটু হাসি দেখলে, মনে হয় আমার জীবন ধন্য।
তোমার কাছে আসলে মনে, আমি একটা পৃথিবী পেয়েছি।
তুমি কথা বললে মনে হয়,আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।
যখন তুমি কথা না বল, কষ্ট আমার বুকটা ফেটে যায়।
মনে হয় এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে কেউ নেই।
আমি শুধু একটা কষ্টের মরুভূমির মাঝে দাঁড়িয়ে আছি।
এখন তুমি বলো এটা কি ভালোবাসা?
যদি এটাই ভাল বাসা হয়। তাহলে আমি তোমাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি!
লামিয়া: আমি জানিনা কি হয় আমার?
তুমি কারো সাথে কথা বললে, আমি খব কষ্ট পাই।
তোমার প্রতি আমার কেন জানি মায়া হয়।
ভালো লাগে তোমার চারপাশে থাকতে।
লামিয়া হঠাৎ থেমে গেলো।
(আর ভাবছে ছিঃ এটা কি করলাম আমি)
লামিয়া বলল- পড়ে কথা হবে এখন তুমি ওদের সাথে আসো।
রাজু সত্যি খুব খুশি,আনন্দে বুকটা ফেটে যাবে না কি বুঝতে পারছে না। আনন্দে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে গেল।
চোখ মুছে দ্রুত অন্য দিকে চলে গেল।
রাজু -কি করবে? কোথায় যাবে?
কিছুই বুঝতে পারছে না।
খাবারের হুঁশ নেই। মাঠের মাঝখানে গিয়ে একা দাঁড়িয়ে,
একটা চিৎকার দিয়ে বলল-
হে পৃথিবী! আমি তাকে ভালবাসি।
ভালবাসি! ভালবাসি! ভালবাসি!
হে আকাশ! হে বাতাস! হে পৃথিবী!
আমি তাকে ভালবাসি! ভালবাসি!
এবার মনে হয় নিজেকে কিছুটা নিয়ন্ত করা যাচ্ছে।
শান্ত হয়ে সবুজ ঘাসের মাঠের মধ্যে শুয়ে আছে।
আর ভাবছে এটাই বুঝি ভালোবাসা!
তাই তো বলি মানুষ এতো পাগল কেনো?
সত্যি ভালোবাসা অদ্ভুত রকমের সুন্দর।
এর অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
ভালোবাসার চেয়ে হয়তো জীবনটা অনেক ছোট হবে।
না হলে মানুষ এতো আত্মহত্যা করতে না।
পুরুষ মানুষগুলো মনে হয় , একটু বেশিই ভালোবাসাতে জানে।
না হলো রাস্তায় এতো পাগল থাকতো না।
ভাবছে,আজকে নিজেকে খুব বেশি সুখী মনে হয়।
জীবনে এই প্রথম এতটা সুখ এক সঙ্গে পেলাম ।
আজ আমি ধন্য হলো লাম,
তুমি আমাকে স্বার্থক করেছো।
সত্যি তুমি অতুলনীয়! তোমার ভালোবাসা মহান।
জানিনা সৃষ্টি কর্তা কি দিয়ে তোমাকে তৈরি করছে?
কি অদ্ভুত রকমের রহস্যময়! তোমার ভালোবাসার অনুভূতি।
যাই বাসায় গিয়ে কিছু ক্ষেতে হবে।
বেয়াইনের সেবা যন্ত করতে হবে
**00**00**
অনু, আবির, ইমা আর মিম লুডু খেলছে।
রাজু অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছে। যদি লামিয়া একবার এদিকে আসতো একটু কথা বলতাম।
অনেক ক্ষণ পর লামিয়ার চোখ পড়ল রাজুর দিকে।
রাজু ইশারায় ডাকলো কিন্তু আসল না। রাজু রাগ পুকুর পাড়ে গিয়ে বসে রইল।
একটু পরে লামিয়া আসলো, বলে কি করেন?
রাজু - কোন কথা বললো না। শুধু তাকালো।
লামিয়া-দুপুরে ঘোরতে নিয়ে যাবেন।
রাজু - কোথায় যাবেন?
লামিয়া - একটু দূরে কাঁচা রাস্তায়, দুই ধারে গাছ থাকবে। গাছে অনেক পাখি ডাকবে এমন কোথাও
রাজু- বিকেলে যেতে হবে, যেন রৌদ না থাকে।
তোমার ওই সুন্দর মুখ সূর্য কে স্পর্শ করতে দিব না।
লামিয়া - আপনি পড়েন কিসে?
রাজু - বেয়াইনের প্রেমে।
লামিয়া: বুঝলাম, কোন ক্লাসে?
রাজু - ইন্টার পরীক্ষা দিসি।
আমি কি লামু ডাকতে পারি?
লামিয়া: ইস আইছে!
একটু পরে ,
পাড়েন কিন্তু একা থাকলে।
রাজু -ঠিক আছে।
লামিঃ আর শোনেন?
রাজু -কি?
লামঃ সবার ভিতরে বসে এভাবে তাকিয়ে থাকবে না কিন্তু। তাহলে চোখ..
রাজু: -চোখ কি?
লামঃ- না, কিছু না। মনে থাকে যেন।
রাজু: কি করবো বলো?
আমি তোমাকে দেখলে, কেমন যেন হয়ে যাই।
নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি।
বিশ্বাস করো শতচেষ্টা করেও নিজেকে ফেরাতে পারি না।
তোমার দিকে একবার তাকালে মনে হয় পৃথিবীর সময় এখানে থেমে যেত।
যদি আর কোন পরিবর্তন না হতো।
যদি এক চাহনিতে সারা জীবন কেটে যেতো।
তাহলে মনে হয় তোমাকে দেখার একটু স্বাধ মিটতো।
লামিঃ- আপনার কথা, আপনার তাকানো। আমাকে পাগল করে দেয়।
দুজনে একসাথে নিরবে দাঁড়িয়ে আছে।
কোন কথা নেই,সব কিছু স্তব্দ।
নিরবতা ভেঙ্গে লামিঃ বলল-
কখনো প্রেম করেছেন?
রাজু : না
লামিঃ তাহলে এতো কথা জানে কিভাবে?
রাজু -তুমি কি জানো না ,প্রেমে পড়লে মানুষ কবি হয়।
লামিঃ-ওহ আচ্ছা।
হঠাৎ রাজুর ফোন বাজলো-
হ্যালো রাফি!
রাফি- কোথায় আছো?
রাজু - পুকুর পাড়ে আয়।
রাজু: লামু! তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
লামিঃ আমি তো বলিনি যে ভালোবাসি।
রাজু: তাহলে বাস না ?
লামিঃ আমি তাও বলিনি।
রাজু:- ইয়া আল্লাহ! তাহলে বল না প্লিজ!!?
লামিঃ সময় হলে বলবো।
রাফি এসে বললো -
দুজনের মাঝে না আসলেই ভালো হত বুঝি-
রাজু- তোর খবর কি ?
কোথায় থাকো?
রাফি -আরে একটু ঝামেলা আছি।
না হলে, এতো সুন্দর বেয়াইন রেখে দূরে কেউ থাকে?
**00**00**
বিকেলে মিম, লামিয়া, ইমা, রাফি রাজু সবাই মিলে ঘুরতে বের হয়েছে
বিলের মাঝে অনেক উঁচু একটি স্থানে গিয়ে বসলো। সবুজ ঘাস আর অনেক গাছের সাজানো।
ইমা -
বেয়াই জায়গায় টা অনেক সুন্দর কিন্তু।
রাফি:-সুন্দর মানুষের জন্য তো সুন্দর জায়গাই মানায়।
লামিঃ- দেখলে মনে হয় একটা পাহাড়।
সবাই এক জায়গায় বসে গল্প করছে।
রাজু একটু দূরে গিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে বসে আছে।
সবাই ডাকলো কিন্তু বলল-
একটু পরে আসছি।
রাজু তাকিয়ে দেখলো, লামিয়া কে সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে।
দুধে-আলতা শরীর, সাদা রঙের পোশাক।
মনে হচ্ছে বেহেশতের হুর।
ইমা রাজুর কাছে গিয়ে বসলো।
ইমা - বেয়াই এখানে বসে কি ভাবছেন!
রাজু: ভাবি তোমার কথা।
ইমা -কি ভাবলেন?
রাজু -কেমনে মানুষ এতো সুন্দর হয় বলতে পারেন?
ইমা: - হাসি দিয়ে বলল -
আমি সুন্দরী না?
রাজু :-চাদের চেয়ে বেশি সুন্দরী তুমি।
ইমা - রাজুর মাথার চুলে টান দিয়ে বলল- আপনার মাথা।
হঠাৎ লামিয়া উঠে আসলো বলল- ইমা আপু ওই খানে যাও?
ইমা: তোর সমস্যা কি? এরকম করো কেন?
লামিঃ চিৎকার দিয়ে বলল-
তুমি এখন এই মুহুর্তে রাজু কাছ থেকে উঠো।
মিম রাফি সবাই বললো শান্ত হও
রাজু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
ইমা: বেয়াদবের মতো চিল্লাস কেন? রাজু তোর কে?
লামিঃ চিৎকার দিয়ে রাজু আমার সব কিছু।
আমার জীবন আমার মরণ।
রাজু - তোমারা কি চুপ করবে নাকি?
মিম লামিয়া কে হাত ধরে বললো শান্ত হও।
লামিয়া কান্না করছে।
সবাই চুপ হয়ে বসে পড়ল কি হলো এটা।
রাজু মনে মনে অনেক খুশি হলো।
সবাই চলে আসলো। লামিয়া কারো সাথে কথা বললো না।
মিম সেও ঘরে চলে গেল। কিছু ভালো লাগে না।
কেন জানি তার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিছু বুঝতে পারছে না। ভাইয়া তার প্রেমিকা কে পেলো এটা তো আনন্দের বিষয়। কিন্তু তাহলে কেন এতো খারাপ লাগছে।
প্রতি দিন রাতে চাচার বাসায় যায় আজকে কোথাও না গিয়ে রাতে না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
ইমা বিষয় টা তার অনামিকা ভাবির কাছে বলল-
আনিকা গোপনে রাজু কে ডেকে বললো - ভাই তুই এমন কোন কাজ করিস না। যাতে আমার উপরে সবাই আঙ্গুল তোলে।
আমার মান-সম্মান তোর হাতে
আমাকে ছোট করে দিস না কখনো।
রাজু:আপু তুমি চিন্তা করো না আমি কোন কাজ করবো না
জাতে তুমি শ্বশুর বাড়িতে ছোট হয়ে যাও
**00**
রাজুর খুব টেনশন হচ্ছে,
কি করবে?
যদি শুরুতেই সব নষ্ট হয়ে যায়? হয়তো রাফির কাছে সমাধান আছে।
রাজু রাতে খেয়ে রাফির কাছে শুইতে গেল।
রাজু -
ভাই ইমা সব আপুকে বলে দিছে।
এখন কি করবো?
রাফি - ওশালীর বলার কি দরকার ছিল?
রাজু -জানি না
রাফি - আপু কি বলছে?
রাজু -সে সতার্ক করে দিসে যাতে ওই পথে না যই।
রাফি:-তাহলে বাদ দে?
রাজু - না,তা হবে না।
অনেক রাত পর্যন্ত দুই ভাই কথা বলে,কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে।
কি কবরে কিছু বুঝতে পারছে না।
মাথা ভর্তি টেনশনে,সিগারেট একটার পর একটা করে চলছে ।
হঠাৎ রাজুর ফোন বেজে উঠল।
জান হ্যালো! ওপাশ থেকে কান্নাভেজা কন্ঠ লামিয়া বলল-
রাজু আমি তোমাকে ছাড়া একটা মূহুর্ত বাঁচতে পারবো না।
প্লিজ তুমি কিছু করো?
রাজু:-
।মাথায় কোন কাজ করছে না কেন এমন হলো? আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
অস্থির কলায় বলল-তুমি চিন্তা করো না ,একদমই না। আমি আছি তো।
নিশ্চয়ই কোন উপায় বের করবো?
লামিঃ সময় নেই যা করার রাতে করতে হবে। না হলে
ভোরে তুমি আমার লাশ পাবে।
রাজু মাথা ভোঁ ভোঁ করছে কি করবে? কিছু বুঝতে পারছে না। হাতে একটা চাকু নিয়ে ফোন করল -
লামিয়া শিমুল তলীর রাস্তায় চলে আসো?
লামিয়া: ঠিক আছে।
দুজনে রাতেই পালিয়ে বিয়ে করলো। লামিয়া কে নিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই বাবা বলল- তুমি আমার ছেলে না।
রাজু চিৎকার দিয়ে বলল-না বাবা!..
রাফির লাথি খেয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেল। রাজু এটা কি তাহলে স্বপ্ন ছিল। যাক বাবা এবারের মতো বাঁচা গেল।
ভোরে ব্রাশ করে রাজু পুকুর পাড়ে বসে আছে। লামিয়া খুঁজে না পেয়ে পুকুর পাড়ে আসলো
বেয়াই! কেমন আছেন?
। পিছন ফিরে দেখালো লামিয়া।
একটুখানি হাসি দিয়ে বলল আলহামদুলিল্লাহ!
তুমি কেমন আছো -
লামিয়া: এখানে কি করেন?
রাজু - আপনার জন্য অপেক্ষা করি।
লামিঃ -ভালো।
।রাতে কারো ভালো ঘুম হয় নি।
রাজু চলো ওই দিকে হেঁটে আসি
দুজনে হাঁটছে -
রাজু: লামিয়া তুমি চলে গেলে আমার খুব কষ্ট হবে।
লামিঃ আমারো
রাজু: তুমি জানো না, তোমাকে প্রথম যখন দেখেছি তখন থেকেই আমি তোমাকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছিনা।
লামিঃ তোমার চোখ দুটো খুব খারাপ আমার ঘুম কেড়ে নেয়।
রাজু:আর তোমার চোখ? আমার হৃদয়কে পুড়ে ছাই করে দেয়।
লামিয়া! আমি কালকে ভুল করেছি তাই না?
রাজু: আপু আমাকে অনেক কিছু বলছে।
লামিঃ তোমার সাথে কেউ হাসি তামাশা করলে আমি সইতে পারি না।
তুমি কারো দিকে তাকালে আমার খুব কষ্ট হয়।
তাই রাগে মাথা ঠিক ছিল না।
রাজু: ঠিক আছে,আর কখনো কারো সাথে হাসি তামাশা করবো না।
লামিঃ মোবাইল নাম্বার দিও
রাজু: হুম, অনেক হাঁটলে একটু বসো।
দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে বসে আছে।
লামিয়ার লম্বা- চুল,ডগর ডগর চোখ, চাঁদের মতো মুখ। রাজু পাগল হয়ে তাকিয়ে আছে।
লামিয়া: এভাবে তাকিয়ে থেকো না। আমার লজ্জা করে।
রাজু: তোমার ওই লজ্জা রাঙ্গা মুখটা দেখে আমি সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারি।
লামি: এভাবে বুঝি মেয়েদের দেখতে হয়?
রাজু: আমি তো কোন মেয়েকে দেখছি না?
লামি: ওহ্ তাহলে আমি কে?
রাজু: তুমি তো বউ !
লামি: ইস! সখ কত?
রাজু:- সখ করলে আবার কম করে কে?
লামি: ঠিক
রাজু দেখলো দূরে ঘাসের উপর একটা ফুল ওটা ছিঁড়ে লামিঃ কে দিকে এগিয়ে দিল।
লামিয়া ফুলটি নিবে তখন রাজু না থাক বলে ফুলটি ফিরিয়ে নিল।
লামিয়া একটু রেগে বলল-
এটা কি হলো ?
রাজু - যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল! তাকে কি করে ঘাস ফুল দিই বল?
লামিঃ তোমার কাছে ওটা ঘাস ফুল হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে ওটার মূল্য আমার জীবনের থেকে বেশি।
রাজুর আবেগে আপ্লুত হয়ে কি বলবে কিছু বুঝতে পারছে না।
আনন্দে চোখ থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো আর হাঁটু গেড়ে বসে ফুলটি সামনে ধরলো।
লামিয়া ফুলটি নিয়ে চুম্মান করে
বুকের সাথে মিলিয়ে মাথায় রাগল।
রাজু: বলল-বড় সাধ জাগে তোমার খোঁপার ফুল হতে
লামিঃ কেন?
রাজু: তাহলে আমাকেও তো আদর করে রেখে দিতা।
লামিঃ তোমাকে চুলে না আমার বুকে রাখবো।
রাজু: ওহ্! উপরে নাকি ভিতরে?
লামিঃঅসভ্য, ভিতরে।
আচ্ছা চল যাই, দুজনে হাঁটছে..
রাজু হঠাৎ করে বলল- লামু? লামিঃ -আবার কি হলো?
রাজু:একটা কথা বলবো? লামিঃবলো?
রাজু:হাতটা একটু ধরতে দিবা।
লামিঃ ইস!সখ কত? আমারে দুই টাকার মাইয়া পাইছো?
রাজু: না, তুমি কোঠি টাকার মাইয়া। এটু ধরি না প্লিজ! বলে একটা আঙ্গুল ধরলো।
লামিঃ অসভ্য!
আমি কি তোমাকে হাত ধরতে বলছি? হাত ছাড়ো?
রাজু: কি করবো বলো?
তুমি কাছে থাকলে সভ্যতা ভুলে যাই।একটু ধরি না?
লামুঃ ছাড়ো বলছি?
রাজু: রাজু ঠিক আছে,বলে হাত ছেড়ে দিয়ে বলল বাবা! এটা আবার কেমন মেয়ে?
লামিয়া: আমার সামনে হাটো। আবার কি মনে চাইবে তার ঠিক নেই
রাজু: ঠিক আছে বলে বাধ্যগত সন্তানের মতো হাঁটতে শুরু করলো।
লামিয়া পিছনে মুচকি মুচকি হাসছে আর হাঁটছে ।
একটু যেতেই রাজু বলল-
লামু?
লামিঃ কি
রাজু: পাশে হাঁটি?
লামিয়া:কোন দুষ্টুমি করবে না তো
রাজু: না,একদম পাক্কা?
লামিয়া: ঠিক আছে।
একটু পরে রাজু একটা চিমটি দিলে। লামিয়া কি হলো?
রাজু কোথায়? কিছু না তো?
**00**00**
ভোরে নাস্তা করতে বসলো,লামি, ইমা,অনু আপু, আবির,রাজু
রাজু লামিয়ার সোজা পাশে ইমা আবির অনুর সোজা বসলো।
রাজু খাওয়া ফাঁকে ফাঁকে লামুর দিকে তাকায় অনু খেয়াল করলো।
রাজু পা লামুর পায়ের উপরে রাখে লামিয়া ফেলে দেয়। ইমা দেখেও না দেখার ভান করল।
খাবার শেষ করে রাজু উঠানের চেয়ারে বসে মোবাইল টিপে।
লামিঃ- কি করেন?
রাজু: একটা বকুল ফুলের মালা দিল।
লামিঃওহও ! কি সুন্দর ঘ্রাণ!
রাজু: তুমি কি জানো? তোমার সুবাস এর চেয়ে বেশি সুন্দর।
লামিঃ
।কোন উত্তর না দিয়ে।
পাইছেন কোথায় ?
রাজু -পাইছি কোথাও।
ইমা : কি পাইলেন?
রাজু: মোবাইল হারিয়ে গেছিল তো।
লামিঃ - ইমা আপু সরি! আমার ভুল হয়ে গেছে।
ইমা -ঠিক আছে। চলো আমরা লুডু খেলি।
রাজু - না, আমি ভালো পারি না।
ইমা -কোন না হবে না,
লামিঃ ঠিক ঠিক চলেন.
আচ্ছা মিম কে ডাকি চার জনে জোর জোর খেলবো বলে
মিম কে রাজু কল দিল।
মিমের বাবা নতুন বাড়িতে থাকে। রাজু আর মিমের বাড়ি পাশাপাশি।
মিম আসলো, সবাই লুডু খেলতে শুরু করলো,মিম বলল-
আমি আর ভাইয়া, ঠিক আছে।
মিম আর লামিয়ার খুব ভালো খেলছে রাজু আর ইমা তেমন পারছে না। রাজু উপায় না দেখে
বানিয়ে ছয় এবং কাঁচা ঘুঁটি গোপনে পাকা করে জিতলো।
খেলার ভিতরে রাজু লামিয়া কে চার টা চিমটি দিল। শেষে ভুল করে ইমার হাতে দিল।
ইমা - কিছুটা জোরে চিৎকার দিল।
সবাই কি হলো -
ইমা -একটা শয়তানে চিমটি দিসে।
লামিঃ রাগি চোখে তাকাল শুধু।
। রাজু মনে মনে বলছে-
হায় আল্লাহ! সর্বনাশ হয়ে গেছে। কেন যে ভুল হয়ে বুঝি না?।
হার্টবিট (পর্ব ২)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
1.03K
Views
21
Likes
3
Comments
4.9
Rating