আমি তাসফিয়া বাবা মার রাজকন্যা এবং ভাইয়াদের আদরের ছোট বোন আমি এখন ক্লাস new ten নে পড়ি আমার পরিচয় পর্ব শেষ ওর টা না ওইদিকে ওকে
তাসফিয়া: একদিন ফেসবুকিং করতেছিলাম হঠাৎ করে একটি ছেলের ছবি সামনে আসে ছবিটি দেখে আমি পুরাই ক্র্যাশ খাইছি।
তারপর ওর প্রোফাইল ঢুকলাম তার ওকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিলাম এই প্রথম আমি কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইছি।
তারপর ওর
প্রোফাইলে একটু ঘাঁটা ঘাঁটি করলাম ঘাটা ঘাটি করে যা বুঝলাম ছেলেটি এখনো সিঙ্গেল।
আমি ও ফেসবুকিং করতেছিলাম হঠাৎ করে একটি মেয়ের আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসলো আমি ফেক আইডি মনে করে সাইডে টান দিলাম
আরে,আশরে,আরে
আমি আমার পরিচয় দিলাম না এখনো
আমি হৃদয়,বাবা মার আদরের ছেলে,আর আমার একটা ছোট বোনও আছে তাহলে মূল গল্পে আসা যাক।
হৃদয়: তাঁর পর এভাবে অনেক দিন কেটে যায়।
হঠাৎ একদিন একসেপ্ট করলাম ঐ আইডিটা
তার পর ঐ পাশ থেকে কিছুক্ষণ পর মেসেজ আসলো।
তাসফিয়া: ফোন টিপছিলো তখনই এক অসম্পূর্ণ রাজা আইডিটা ওর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলো সাথে সাথে ও আইডিতে মেসেজ দিলো তাসফিয়া: মেসেজ টি ছিল এরকম,হাই আসালামইলাইকুম কেমন আছেন এক অসম্পূর্ণ রাজা।
হৃদয়:দেখলো ও একটু আগে যেই মেয়েটার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলো ঐ আইডি থেকে মেসেজ আসলো মানে :এক অচিন*********কন্যা
তারপর হৃদয় রিপ্লাই দিলো হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি
তাসফিয়া: হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
হৃদয়: আপনার নাম কি??
তাসফিয়া: আমি তাসফিয়া আপনি।
হৃদয়:আমি হৃদয়
তাসফিয়া আপনার নামটা অনেক সুন্দর।
হৃদয়: ধন্যবাদ আপনারও নাম অনেক সুন্দর ।
তাসফিয়া:আমরা কি বন্ধু হতে পারি না?
হৃদয়: হুম হতে পারি ।
তারপর এভাবেই অনেক দিন কেটে যায় ওদের বন্ধুত্বের
তারপর।
তাসফিয়া: হৃদয় আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই।
হৃদয়: হুম বলো ।
তাসফিয়া: আমি তোমাকে ভালোবাসি।
হৃদয়:মজা করতেছো ।
তাসফিয়া:না আমি সিরিয়াস ভাবে বলতেছি।
হৃদয়:এটা সম্ভব না।
তাসফিয়া: কেন সম্ভব না ।
হৃদয়: কারণ আমি তোমাকে বন্ধু থেকে তার বেশি কিছু ভাবিনি।আর আমি তোমাকে কখনো সরাসরি দেখিনি। এমনি কি কখনো ভিডিও কল তো দূরের কথা অডিও কলেও কথা বলেনি।
তাসফিয়া : না দেখে কি ভালোবাসা যায় না।
হৃদয়: আমি এতো কিছু জানি না।বাই
এভাবে অনেক দিন কেটে গেলো প্রায় এক মাস এর মতো এই এক মাসে তাসফিয়া অনেক টা রোগা হয়ে গেছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে হৃদয় ও ওকে মিস করতে শুরু করলো হৃদয় ও ওকে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছে। হঠাৎ করে তাসফিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাসফিয়ার এক বন্ধু হদয় কে খবর দিল। বন্ধু : হৃদয় ভাইয়া আমি তাসফিয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড
আফিয়া ।
হৃদয়: হুম বলেন ।
আফিয়া:ভাইয়া তাসফিয়ার বুকে টিউমার হইছে ডাক্তার বলছে অপারেশন এর পর ও বাঁচবে কি না তার কোনো শিওর নাই
হৃদয়:এ কথা শুনার ওর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমি কি ওর সাথে একটু কথা বলতে পারবো ।
আফিয়া: এখন তো ওকে অপারেশন রুমে নিয়ে গেছে ।
হৃদয়: ওকে বাঁচতে হবে আমার জন্য বাঁচতে হবে আমি ওকে অনেক ভালোবাসি।❤️
আফিয়া:ওর জন্য দোয়া করেন ।
হৃদয়: হুম।
অপারেশন এর পরের দিন ।
হৃদয়: তাসফিয়া তুমি কেমন আছো এখন । তোমার শরীরটা এখন কেমন লাগছে। ঔষধ খাইছো খাবার খাইছো
তাসফিয়া: হুম ভালো আছি এখন হ্যা খাইছি ।
হৃদয়: আমি তোমাকে এই কয়েক দিনে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।
তাসলিয়া:আমার সাথে মজা করছো তুমি তাই না আমি যেন এই সময়ে কষ্ট না পাই তার জন্য।
হৃদয়: আমি সত্যি কথা বলতেছি তোমার কসম আমি তোমাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবেসফেলছি
তাসফিয়া: খুশি তে কান্না করে দিছে ।
তার পর এই ভাবে ওদের প্রেম ভালোবাসার দিন গুলো ভালো ভাবে যাচ্ছিলো ঠিক তখনই তাদের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি চলে আসে আর সেই লোকটা হলো তাসফিয়ার বড় ভাইয়ার শালি ইশরাত ও হৃদয় অনেক ভাবে ওর জালে ফাশানোর চেষ্টা করে কিন্তু পারেনি তার ওদের প্রেম ভালোবাসা আবার আগের মত অনেক ভালো ভাবে কেটে গেল। কিন্তু
তার কিছু দিন পর তাসফিয়ার বাবা জেনে যায় । ওদের সম্পর্কে
তাসফিয়া: আমি তোমার সাথে রিলেশন আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো না
হৃদয়: কিন্তু কেন কি হয়েছে
তাসফিয়া:বাবা আমাদের সম্পর্কে জেনে গেছে বলছে যদি আমি তোমার সাথে রিলেশন রাখি তাহলে তোমার ক্ষতি করবে , আমার পড়াশোনা বন্ধ করে দিবে ,আর আমাকে জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিবে ।
হৃদয়: তোমার বাবা আমার কিছু করতে পারবে না
তাসফিয়া: আমার বাবা কে তুমি চিনোনা
হৃদয় তুমি আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না তুমি ওইদিক। টা দেখ আমি আমার দিকে টা দেখতেছি
তাসফিয়া: ওকে।
হৃদয় : ওকে আর তুমি ব্রেকআপ এর কথা ভুলেও মায়া অনবা না ।আর আমি মত দিন না সফল হইতেছি বাবার মুখে হাসি ফুটাবো ততদিন তোমাকে। অপেক্ষা করতে হবে পরবা না ।
তাসফিয়া:পারবো তোমার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করতে রাজি আছি
হৃদয়: ধন্যবাদ।
তাসফিয়া:I Love You jan ❤️🥀💞
হৃদয় Love you too jan ❤️😊. ওকে বাই।
তার পর তাদের এই। মিষ্টি ভালোবাসা অনেক সুন্দর ভাবে কেটে গেল ওরা রিলেশন এ গেছে প্রায় একবছর এর ও বেশী হইছে
তার পর তাসফিয়ার বাবা আবার জেনে গেছে ওদের ব্যাপারে।
তাসফিয়া:এসব কিছুই না বলে হৃদয় এর সাথে ঝামেলা করছে
ঝামেলার। পর হৃদয় আত্মহত্যা করতে গেছিলো কিন্তু ওর বাবার কথা চিন্তা করে আত্মহত্যা করেনি
তার পর এসব কিছুইওর বন্ধু জানে তার পার ওকে অনেক বকাবকি করে হৃদয় ওকে ধরে অনেক ক্ষণ কান্না করছিলো তার পর ওর বন্ধু তাসফিয়ার সাথে কথা খুলে বলে তার পর বন্ধু ওকে মেসেজ দিলো
বন্ধু:কই তুই
হৃদয় বাসায় কেন ।
বন্ধু: কালকে অফিসে আয় তোর সাথে কথা আছে
হৃদয়: মেসেজ বল
বন্ধু:না কালকে অফিসে আয় তুই জরুরি কথা ।
হৃদয়: ওকে
বন্ধুর সাথে কথা বলার পর তখন হৃদয় বাবা হৃদয় এর রুমে আসে হৃদয় এর বাবা হৃদয় এর কাছে হাত জোর করে কান্না করে বলছে যে,,,,,।
বাবা:দেখ বাবা তুই এমন কোনো কাজ করিস না আমার মানসম্মান নষ্ট হোক আর তোর মা যাতে কষ্ট না পায়।
হৃদয়: ওকে আব্বু। তোমার চিন্তা করো আমি এমন কিছুই করবো না যাতে তোমাদের কষ্ট হবে।
বাবা: আমার কসম করে বল
হৃদয়.....!
বাবা:কি হলো বল !
হৃদয়: হুম তোমার কসম আব্বু।
পরদিন হৃদয় ওর বন্ধুর সাথে দেখা করলো তার পর ওর বন্ধু ওকে সব কথা খুলে বললো
বন্ধু:দেখ মামা মেয়েটি ওর বাবার চাপে পড়ে তোকে ওসব কথা বলছে আর ও আমাকে এটাও বলেছে তুই তোর বাবার স্বপ্ন পূরণ করে তার পর বিয়ে করবি যাতে তুই ওর উপর রাগ করে তর স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে পারিস
হৃদয়: ওকে আমি দেখতেছি ।
বন্ধু:তুই যদি পালিয়ে বিয়ে করবি বলোস তাহলে আমি ওকে বলি যে আমরা ওকে এক সপ্তাহর মধ্যে নিয়ে আসবো দরকার পড়লে আমাদের ফোন বিক্রি করে তোদের বিয়ে দিবো
হৃদয়: ওকে বলিস আমাকে রাতে নক করতে
বন্ধু: ওকে ।আর বিয়ের কথা ।
হৃদয়:পরে বলি
বন্ধু: ওকে
তারপর রাতে তাসফিয়া ওকে নক করলো তার পর হৃদয় হৃদয়ের বাবার কথা সব খুলে বললো তার পর তাসফিয়া হৃদয় কে বললো তাহলে তুমি আমাকে পালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না ।পারতাম যদি কাল রাতের আগে তুমি আমাকে নিজে বাবা কাউকে দিয়ে যদি বলাতে আর আমি তোমার কাছে থেকে এক সপ্তাহের সময় দেও ওকে তাসফিয়া ওকে বললো তারপর হৃদয় ওর কাছ থেকে বিদায় নিলো । হৃদয় বাসায় গিয়ে বললে তখনই শুনে ওর বাবা গ্ৰামের বাড়ি গেছে পাঁচ,ছয় দিন পর আসবে ।
ছয় দিন পর এসেও পড়লো কিন্তু হৃদয়ের ঐদিন কসম দেওয়ার পর ও ওর বাবা কিছু বলার সাহস পেল না
এর মধ্যে একসপ্তাহ চলেওগেলো তার তাসফিয়া হৃদয় কে জিজ্ঞেস করলো তুমি কি তোমার বাবাকে বলছিলে হৃদয় চুপ করে আছে তাসফিয়ার আর বুঝার বাকি রইল না তাসফিয়া ওকে নিজের খেয়াল রাখতে বলে বাই বলে অফলাইনে চলে যাবে তখন হৃদয় ওকে বললো যদি পারো তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিও ।
আমার বাবার কাছে আমাদের ভালোবাসা হেড়ে গেছে
হৃদয়:নিজের খেয়াল রাখবা। খাবার সময় খাবা। ঔষধ ও সময় মত খাবা ।
তাসফিয়া:বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে ।
হৃদয়:ওও ভালো থাইকো আর তোমার হবু বর কে বইলো ওনি একজনের শখের নারী কে পাইছে আগলে রাখতে বাইলেন ও জেনো কষ্ট না পায়
বাই আল্লাহ হাফেজ
তাসফিয়া
ফেসবুক থেকে প্রেম
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
1.82K
Views
62
Likes
12
Comments
4.1
Rating