মাছেদের জবান নেয় কেন

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
এক ব্যক্তি হযরত আলী (রা) কে প্রশ্ন করেছিলেন পৃথিবীতে প্রায় সমস্ত প্রাণির জবান থাকলেও মাছেদের জবান নেয় কেন? তখন হযরত আলী (রা) বলেছিলেন আল্লাহ তায়ালা মাছেদের মুখেও জবান দিয়েছিলেন।

তারাও কথা বলতে পারত, এমনকি তারা জমিনে হাটা চলা পর্যন্ত করতে পারত। কিন্তু মাছ নিজেরাই নিজেদের উপরে জুলুম করেছিল, যার কারনে আল্লাহ তায়ালা
মাছেদের থেকে তাদের জবান এবং জমিনে হাটা চলা করার ক্ষমতা কেড়ে নেন।

আর তাদেরকে পুরোপুরি রুপে জলজ প্রাণিতে পরিণত করেন। তখন ঐ ব্যক্তি হযরত আলী ( রা ) কে আবারো জিজ্ঞেস করলেন হুজুর মাছেরা নিজেদের উপর কি এমন জুলুম করেছিল? যার কারনে আল্লাহ তাদের জবান কেড়ে নিল।

তখন হযরত আলী ( রা ) বললেন যে যখন আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করলেন তখন
তখন তিনি সমস্ত ফেরেস্তাদেরকে নির্দেশ দিলেন যে
তোমরা সকলে আদমকে সিজদাহ কর। সমস্ত ফেরেস্তা
হযরত আদম (আ) কে সিজদাহ করলেও

ইবলিশ শয়তান সেজদাহ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ইবলিশ আল্লাহর হুকুম অমান্য করে বলতে লাগল হে খুদা আমি ইবলিশ কে আপনি সৃষ্টি করেছেন আগুন থেকে আর আদমকে তৈরি করলেন মাটি থেকে, তাহলে আমি কেন আদমকে সিজদা করব,

যার ফলে আল্লাহ তায়ালা ইবলিশ শয়তান কে জান্নাত থেকে বেড় করে দিলেন। ইবলিশ শয়তান জান্নাত থেকে বিতারিত হয়ে অবিশপ্ত ও কুচ্ছিত রুপে দুনিয়াতে এসে পড়লো। জমিনে এসেও সম্ত মাখলুকাতকে সে চিৎকার করে ডেকে বলতে লাগল হে মাখলুকাত শোন,

সাবধান হও মানুষ দুনিয়ায়তে এসে জুলুম আর অত্যচার করে বেড়াবে, সেই সময় মাছেরা উভচর প্রাণি ছিল তারা কথাও বলতে পারত। আর ইবলিশ শয়তান সর্বপ্রথম মাছেদের কুমর্ন্তনা দিল, বলল যে মানুষ যখন দিনিয়াতে আসবে তখন তাদের ক্ষুধা মেটানোর জন্য তোমাদেরকে

জিবন্ত অবস্থায় কেটে খাবে, মাছেরা এই কথা শুনে সমস্ত জলজ প্রাণিদের মানুষের ব্যপারে এই কথা বলে মানুষের বিরুদ্ধে সবািকে এই কথা বলে একত্রিত করতে লাগল। যার কারনে আল্লাহ তায়ালা মাছেদের কথা বলার ক্ষমতা কেড়ে নেন আর সেই সংঘে স্থলে হটাচলা করার শক্তিও কেড়ে নেন, মাছ পুরোপুরি জলজ প্রাণি হিসেবে বুনে যায়,

আর তখন আল্লাহ তায়ালা বিধান জারি কটেন যে কোন মানুষ যদি মাছকে খেতে চায় তাহলে তাহলে মাছেদের জবাই করতে হবে না, তাদেরকে জীবিত অথবা মৃত উভয় অবস্থায় খাওয়া যাবে।


সুবহানাল্লাহ।
280 Views
9 Likes
0 Comments
4.5 Rating
Rate this: