অবহেলা (পর্ব-২)

অমি
অমি
লেখক

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:


হঠাৎ করে
হাতের কলম টা ছুটে গেলো,আর এক ফোটা
পানি চিঠির টার উপর পড়লো,
সাথে একটি নিষ্পাপ মুখ, সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে আজ পাড়ি জমিয়েছে ,,,,,
সে আর কখনো ফিরে আসবেনা এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে।
।।

২দিন পর নাদিয়া বলো:-
।।

»নাদিয়া: আম্মু ভাইয়া কোথায় ভাইয়াকে তো দেখছি না আজ ২দিন ।
»আম্মু: তোর ভাইয়া কি এমন মহা পুরুষ যে তোর ভাইয়ার খবর রাখতে হবে আমার,,,,,
কোনো কাজ কাম নাই শুধু শুয়ে শুয়ে খাওয়া আর ঘুমানো,দেখ ঘরে শুয়ে শুয়ে কোন সয়তানি বৃদ্ধি বের করছে, আমাদের কে কি ভাবে মানুষের কাছে ছোট করা যাই।(একটানে কথা গুলো বললো)
।।

»নাদিয়া: আম্মু তুমি ভাইয়ার সাথে সব সময় এমন করে কথা বলো কেনো,,,ভাইয়া ওতো তোমাদের সন্তান,তাহলে তোমার এমন কেনো করো ।(নরম সুরে কথা গুলো বললো)
।।

»আম্মু: হা আমি ওই রকম একটা খুনিকে জম্ম দিয়েছে বলে, আজ আমার মেয়েটা আমার কাছে নেই ,শুধু ওই খুনিটার জন্য,, আগে যদি জানতাম আমি এমন একটা খুনিকে জম্ম
দিবো, তাহলে ছোট কালে লবণ গালে দিয়ে ওই খুনিটাকে মেরে ফেলতাম,,,,ওর মুখ দেখলে ও পাপ লাগে,( অনেক রেগে গিয়ে কথা গুলো বললো)
।।

»নাদিয়া: আম্মু ভাইয়া তখন ছোট ছিলো তখন হয়তো একটা ভুল করছিলো,
তাই বলে কি ভাইয়া সাথে সব সময় এমন করবে।(ভয়ে ভয়ে কথা গুলো বললো)
।।

»আম্মু: কোনো তোর কি ওই খুনিটার জন্য দরদ উতলে উঠছে নাকি,,, তুই কি ভুলে যাচ্ছিস,,,তোর ফুপাত বোনের সাথে ওই খুনিটা কি করতে চেয়েছিলো তোর কি মনে পরছে না, আর তুই খুনিটার হয়ে এতো কথা বলছিস কেনো ।।
।।
নাদিয়া খালি চুপ করে দাড়িয়ে কথা গুলো শুনছে [তার পর আবার আম্মু বলা শুরো করলো]
।।

আম্মু:তোকে যদি আর দেখি ও খুনিটার সাথে কথা বলতে,তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না মনে রাখিস ।ওই খুনিটা নুসাইবাকে খেয়েছে, কি জানি তোকে আবার কবে খেয়ে ফেলবে ।।(রাগী মুড নিয়ে কথা বললো)
»নাদিয়া: ভাইয়া তো অনেক শাস্তিতো পেলো, আম্মু ভাইয়া ওতো মানুষ, প্লিজ আম্মু ভাইয়া সাথে আর এমন করো না ভাইয়া অনেক কষ্ট পাই কিন্তু তোমাদের বলতে পারে না।।।।
।।

»আম্মু: তুই ওই খুনিটার কথা বন্ধ করবি, ধরেক তোর বোনকে ও খুন করেনি,কিন্তু তোর ফুপাত বোনের সাথে কি করতে চেয়েছিলো,,,,যদি তোর ফুপাতো বোন সেই দিন চিৎকার না করতো, তাহলে সেইদিন তোর ফুপাত বোনকে ওই খুনিটা কি করতো । সেই দিন ওই খুনিটার জন্য আমরা কতো অপমান হয়েছি জানিস। তুই কি এখান থেকে যাবি।।।(কিছুটা চিৎকার করে কথা গুলো বললো)
।।

»নাদিয়া: আম্মু আমি জানি ভাইয়া এমন করতে পারে না, দেখো আম্মু আমার ভাইয়া এমন না, হয়তো তুমি জম্ম দিয়েছো ভাইয়াকে কিন্তু তুমি ভাইয়াকে একটু ও চিনলে না আম্মু, ভাইয়া তো কিছু চাই না শুধু চাই, তোমরা তার সাথে ভালো করে কথা বলো, সে তো তোমাদের কাছে টাকা পয়সা কিছু চাই না শুধু চাই তোমরা ভাইয়াকে একটু ভালবাসো।
আম্মু একটা কথা মনে রেখো, হয়তো তোমরা এখন ভাইয়াকে বুজছো না,next part পড়তে চাইলে এই গ্রুপটিতে জয়েন্ট করুন,,,,,,,, ওখানে পোস্ট করা হবে
কিন্তু এমন একদিন আসবে সেই দিন হয়তো তোমরা ভাইয়াকে বুজবে কিন্তু আর ভাইয়াকে পরে না,,আম্মু একটা মানুষ আর কতো অবহেলা সহ্য করবে, সে ওতো মানুষ, কোনো মানুষ যদি ভুল করে থাকে তাহলে আল্লাহতালা ও তাকে মাপ করে দেই,,,আর তোমরা জানো ও না,, ভাইয়া খুন করছে কি না । তাই তোমরা এতো শাস্তি দিসছো ভাইয়াকে, সেই ছোট কাল থেকে সহ্য করে আসছে, তারপর ও কি তোমাদের একটু ও মায়া হয় না,আমার তো মনে হয় ভাইয়া তোমাদের সন্তানই না যদি তোমাদের সন্তান হতো তাহলে তোমরা এমন করে অবহেলা করতে পারতে না,,তোমরা কেনো বুজো না, আজ যদি তোমরা ভাইয়াকে পুলিশ কাছে দিয়ে দিতে,তাহলে এতো দিন তার সাজা শেষ হয়ে যেতো ।কিন্তু তোমাদের সাজা শেষ হাচ্ছে না ।(এক নাগারে কথা গুলো বললো,)
।।।
।।

[তারপর নাদিয়া কান্না করতে করতে চলে গেলো,, আর তার আম্মু চুপ করে দাড়িয়ে আছে, কোনো কথা বলতে পারছে না ,কারণ নাদিয়ার কথা গুলো একদম ঠিক,,।।

এক মাত্র নাদিয়া তার ভাইয়াকে
বুঝে আর কেও বুজে না,,,,তাই মাঝে মাঝে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলতো নাদিয়া,,তার ভাইয়ার সাথে ,,,,তাই তার ভাইয়ার কষ্ট গুলি একটু হলে বুঝে ]
।।

"রাকিবের কথাই সত্যি হলো,কারণ রাকিব বলেছিলো ,আমি যদি আমার রুমে মারা ও
যাই,তাহলে তারা তখন জানতে পারবে যখন
লাশ পচে গন্ধ বের হবে...

কারণ রাকিবের লাশ যখন পাই, তখন তার শরীর থেকে গন্ধ বের হচ্ছিলো ।
।।

সেই দিন নাদিয়া তার আম্মুর ওপরে রাগ করে,তার রাকিব ভাইয়াকে আর ডাকল না,,সেই দিনটা এমন করে চলে গেলো।।

কিন্তু নাদিয়া রাতে আবার গেলো তার ভাইয়াকে ডাকতে ।
(যখন তার আম্মুরা ঘুমিয়ে পরে তখন),

ভাইয়া ভাইয়া বলে অনেক ডাকল কিন্তু তার কোনো সারা সবদো পেলো না।তাই নাদিয়া মনে করলো হয়তো ভাইয়া ঘুমিয়ে পরছে,,তাই আর তার ভাইয়াকে ডাকা
ঠিক হবে না, তাই সে আর বেশী ডাকলো না। কিন্তু নাদিয়ার কেমন যেনো লাগছে, তার মন শুধু বলছে তার ভাইয়ার কিছু একটা হয়ে যাই নাই তো । কারণ রাকিব যখন তার আম্মুকে বলছিল তার অনেক মাথা বেথা করছে তখন নাদিয়া শুনেছিলো,,,,কিন্তু কিছু করতে পারে না,,, তার আম্মুর ভয়ে।
।।

(নাদিয়া ছারা এই বাসাতে আর কেউ রাকিবের খুঁজ খবর নেই না,,,কেউ একবার মনে ও করে না,রাকিব সারা দিন কেনো ঘর থেকে বের হচ্ছে না)

এভাবে ৪দিন চলে গেলো কিন্তু এখন ও কেউ জানে না তাদের বাসাতে কেউ একজা মারা গিয়েছে।(কি ভাবে জানবে,,,কারণ রাকিবকে নিয়েতো কেউ ভাবে না,,,আর রাকিব তো ঘর থেকে কম বের হতো, তাই বাসার সবাই বেপারটা স্বাভাবিক ভাবে নিলো,)
।।

আজ ৫ দিন রাকিবের মৃত্যু হয়েছে,
সকালে সবাই এক সাথে নাস্তা করতে গেল,কিন্তু আজকে লাশ থেকে গন্ধ বের হচ্ছে,,তাই কেউ নাস্তা করতে পারলো না।।
।।

»আব্বু:দেখো তো বাসাতে কোথায় থেকে
কেমন একটা গন্ধ বের হচ্ছে,, মন হচ্ছে কিছু একটা মরা গিয়েছে তাই এমন গন্ধ বের হচ্ছে।।
আম্মু: ওকে দেখছি ।
( কোথায় থেকে গন্ধ বের হচ্ছে আম্মু বলতে পারলো না)

তারপর সাবাই মিলে কোথায় থেকে গন্ধবের হচ্ছে খুঁজতে লাগলো । সবাই দেখার পর খুঁজে পেল,যে রাকিবের ঘর থেকে গন্ধবের হচ্ছে । তারপর তার আব্বু রাকিবকে ডাকতে লাগলো।( রাকিব দরজা সব সময় বন্ধ করে রাখে রাকিব)
।।

»আব্বু: এই হারামি দরজা খোল,তোর রুম থেকে এমন একটা গন্ধবের হচ্ছে কেনো,বাসাতে থাকা যাচ্ছে না,,দরজা খোল তারাতারি।।( কিন্তু তার আব্বু তো আর জানে না তার ছেলের শরীল থেকে এমন একটা গন্ধবের হচ্ছে)

তারপর সবাই অনেক ডাকল,,, কিন্তু কোনো সারা সবদো পেলো না,,,আর নাদিয়া খালি কাঁদছে,,,নাদিয় মনে হচ্ছে তার ভাইয়া কিচ্ছু একটা হয়েছে।

.
,,,,,,,.............. চলবে,,,,,,,,,,
311 Views
4 Likes
1 Comments
4.5 Rating
Rate this: