চৌধুরী বাড়িতে বিয়ের ধুম-ধুম।
সারা গ্রামের মানুষে ঘর ভর্তি।
রহিম মাস্টার এর মেয়ে অনামিকা এর বিয়ে আজ কে। গাজনতলীর নাদিম হাওলাদার এর ছেলের আবিরের সাথে।
রহিম মাস্টার করা মেজাজের মানুষ।
ইস্কুলে মাস্টারি করে আশি শতাংশ জমি কিনে. দোতলায় টিনের ঘর। ঘরের পিছনে পুকুর,সামনে উঠান করেন।
আর সম্পত্তি বলতে আগে অনেক কিছু ছিল এখন কিছু নেই।
সব কিছু মিলিয়ে সুখের সংসার।
রহিম মাস্টার: কৈ গেলা সব কিছু রেডি তো?
বরপক্ষ এসে গেছে কিন্তু।
তার স্ত্রী সাজেদা বাড়ান্দা থেকে বের হয়ে বললো-
স্ত্রী: হ্যা সব কিছু রেডি।
তুমি চিন্তা করো না।
রহিম মাঃ দেখে তার সাজু কে
আজকে খুব বেশি সুন্দর লাগছে। হলুদ শাড়ি মেচিং ব্লাউজ।
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
স্ত্রী: তোমার আবার কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?
রহিম সাহেব স্ত্রী কথায় হুঁশ ফিরে পেলেন। বললেন -
স্বামী:না, না ভাবছি,এমন ভাবে সাজলে মনে হয় মেয়ে কে না. তোমাকে দেখতে আসবে।
স্ত্রী: তুমি ও তো যেভাবে তাকিয়ে থাকো মনে হয়। কন্যা দেখতে আসছো
স্বামী:মনে হয় এবার আমার কপাল টাও পুড়বে ।
স্ত্রী: তোমার এতো ভাবতে হবে না। নিজের কাজে যাও।
(সে যে আনন্দিত তা দেখলেই বোঝা যায়।)
স্বামী: ঠিক আছে।
।বলে চলে গেলেন।
**00**
রাজু: আপু দুলাভাই কিন্তু অনেক সুন্দর তোর সাথে মানাবে।
অনামিকা বউ সেজে বসে আছে আরো অনেক মেয়ে আছে। কিছুটা লাজুক ভাবে বলল-
অনু: দেখতে কেমন আমি জানি,
তোর ফাজলামো করতে হবে না, তুই যা তো.
রাজু: জান লা কিভাবে যে সুন্দর
অনু: ছবি দেখছি।
রাজু: ও ভালোই..,।
অনু: ভালোই মানে কি? যাবি না মাকে ডাকবো?
রাজু: যাচ্ছি তো(ঠোঁটে একটু চাপা হাসি)।
**00**
বরপক্ষ কনে নিয়ে চলে গেছে। সাথে রাজু, চাচাতো বোন মিম,এবং চাচাতো ভাই রাফি গেছে। রাজু আর রাফি দুজনে তো মানিক জোড়।
তালই বাড়ির উঠানের একপাশে একটা মঞ্চ তার উপরে টিভি সিডি এবং সাউন্ড বক্স।
তার সামনে একটা মেয়ে ডান্স করছে। মঞ্চের সামনে সারি সারি চেয়ার সাজানো,আর অনেক মানুষ বসে আছে।
এমন ভাবে তাকিয়ে আছে.
মনে হয়, মেয়েটাকে গিলে খাবে।
একটু বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে, দুই ভাই ডান্স দেখতে গেলো।
রাফি: ভাই! মেয়েটি কিন্তু যেমন দেখতে, তেমন নাচতে পারে।
রাজু: বাহ্ শীত পড়ার আগেই বসন্ত!
রাফি:আমার তো বারো মাসি বসন্ত।
রাজু: পছন্দ হয়েছে বুঝি?
রাফি:আরে না, তবে একটু একটু।
রাফি: তোর কি মনে হয় পছন্দ হলে লাভ হবে?
রাজু: হতেও পারে। তোকে তো দেখতে গাঞ্জাখোরের মতো দেখায়।
রাফি:তাই বুঝি?
রাজু: কেন জানো না? গাঞ্জাখোরের সুন্দরী প্রেমিকা থাকে।
**00**
রাফি দেখতে অনেক সুন্দর। আধুনিক স্টাইলিশ,মেয়ে পটাতে পটু।
রাজু সহজ সরল এবং লাজুক।মেয়েদের সাথে সহজে মিশে না।একটু কবি কবি ভাব।
তবে দুজনে খুব রোমান্টিক মনের মানুষ।
রাজু:তুই থাক আমি একটু ঘুরে আসি।
রাফি: কোথায় সে?
রাজু:কে?
রাফি: দেখ আমাকে বোকা ভাবছো?
আমি কিন্তু তোকে সব কিছু শেয়ার করি।
(কিছুটা রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।)
রাজু: (একটু হাসি মুখে)
দেখ ভাই,সত্যি কেউ নেই।
যদি কাউকে পছন্দ হয় তোকে বলবো 100%
রাফি: তুই একটা শয়তান ভুলে যাবি।
রাজু: না, এবার ভুল হবে না।
বলে উঠানের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালো সব কিছু ভালো ভাবে পরখ করে দেখছে।
তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে উঠানের এক কোনে চেয়ারে বসে আছে।
দেখতে অনেক সুন্দর,চোখ দুটো টানা টানা হরিণীর মতো।
এতো সুন্দর মিষ্টি একটা গোলাপ।
কার না দেখতে ইচ্ছে করে। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।
রাজু কিছুক্ষণ পর দেখলো মেয়েটা এমন ভাবে তাকালো মনে হয় চোখ দিয়ে আগুন নিক্ষেপ করছে।
দ্রুত রাজুর দিকে এগিয়ে আসছে.মনে হয় কোন মেঘ ছাড়াই বন্যা হয়ে যাবে।
সবকিছু ধ্বংস করে দিবে আমার ভিতর এবং বাহির।
ভয়ে রাজুর গলাটা শুকিয়ে যাচ্ছে।
তাকিয়ে দেখলো উঠানে অনেক মানুষ।
তার ভিতরে নতুন মেহমান সে।
আজকে মনে হয়, মান সম্মান নিয়ে টানাটানি করতে হবে।
(মনে মনে ইয়া আল্লাহ! এভারের মতো রক্ষা করো?। বলে নিজেকে অভয় দিয়ে বলছে।
ভয় পেলে চলবে। ভয়কে জয় করতে ই হবে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না)
মেয়েটি এসে বললো আপনি তাকিয়ে আছেন কেন?
রাজু বিচলিত হয়ে গেছে তখন কি বলবে কিছুই বুঝতে পারচ্ছে না ।
তার মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল -
"তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি"
কি হলো বিষয়ে টা বুঝতে পাড়ছে না।
মেয়েটি উল্টা থ্যাংক বলে চলে গেল।
এর মানে আউট বলে ছক্কা হয়ে গেল।
(ওরে বাবা! মেয়ে না এটোম বোমা!.মনে মনে খুশি হলো)
কিন্তু দেখলো উঠানে অনেক গুলো চোখ এমন ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে মন হচ্ছে,চিড়িয়াখানায় বাঘ-ভাল্লুক দেখছে।
কারো মুখে কোন কথা নেই। শুধু চোখ টিপাটিপি করছে।
সবার সামনে এভাবে বলাম- ভেবে লজ্জায় কারো দিকে না তাকিয়ে ওখান থেকে দ্রুত রাজু চলে গেল।
**0**0**
রাজু রাস্তায় দাঁড়িয়ে হঠাৎ আছে।
কানে হাসির শব্দ ভেসে আসছে।
(মনে হয় কোন চঞ্চলা-চপলা কোন দুষ্টু মেয়ের হাসির শব্দ)
তাকিয়ে দেখে দুরে বাগানে মধ্যে. কতগুলো ছেলে মেয়ে এবং একটা বড় মেয়ে কানামাছি খেলছে।
এটা তো সেই মেয়েটি যে থ্যাংস দিছিলো,
(মনে মনে ভাবছে এটাই সুজুক।
চোখ বাঁধা এখন কাছে গিয়ে দেখবো)
মনে হয় তেরো চৌদ্দ বছর হবে।
তার আপেলের মতো গাল দুটো।
গালের মাঝে টোল পড়ে আছে।
গোলাপের পাপড়ি মতো দুটি ঠোঁট।
রাজু কে গালের টোল খুব বেশি পাগল করে দেয়।
এতো সুন্দর মিষ্টি হাসি।
মনে হয় জীবনে প্রথম দেখছে।
নিজের প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।
মনে হয় হৃদয়টা ধরে কে যেন বের করে নিয়ে গেল। কোথায় গেল তা জানি না, নিজেকে শুধু শূন্য মনে হয়। মনে হচ্ছে আমি দাঁড়িনো অথচ পায়ের নিচে জমিন চলছে। শুধু কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
কখন যেন নিজের অজান্তেই সে মেয়েটার কাছে চলে গেলো।মেয়েটি রাজুকে ধরে চোঁখের বাধ খুললো।
ওর বড় বড় ভাসা ভাসা মনোমুগ্ধকর হরিণী চোখের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাজু।
মেয়েটিও হতচকিত হয়ে তাকিয়ে আছে, দুজনে বুঝতে পারছে না এটা কি হচ্ছে।
রাজু শুধু হার্টবিট অনুভব করতে পারছে।
আর কোথায় নিজের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে জানা নাই।
মনে হয় সুখের কোন অমৃতের মাঝে দুজনে হারিয়ে গেছে।
দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
সবার ডাকে হুঁশ ফিরে পেলো।
রাজু তাকে ছেড়ে দিল।
মেয়েটি কিছু না বলেই দৌড়ে পালালো।
(রাজু ভাবছে কি এমন যাদু আছে তার মাঝে?
কেন এমন হলো?
আমি কোথায় হারিয়ে ছিলাম?)
** ** **
(মেয়েটি লজ্জায় লাল হয়ে আছে,
কিন্তু সে ভাবছে কে ছেলেটি?
কেন আমি ওভাবেই তাকিয়ে ছিলাম?
আমার কি হয়েছিল?
হ্যায় আল্লাহ! কি ভাবছে এখন?
যাক ছেলেটি কিন্তু খারাপ না?
আমারি ত দোষ?
আমি কেন ধরবো?
আরো কতো কিছু ভাবছে সে
রাজু ছেলে-মেয়ে কে উদ্দেশ্য করে বলল-
মেয়েটির নাম কি?
পিচ্চি: একটায় বললো চকলেট দাও তাহলে বললো?
(রাজু কিছুটা অবাক হয়ে ভাবছে এরা তো বড় বাটপার।
কিছু করার নাই। আগে চকলেট দিই।)
পিচ্চি দল দোকানে গিয়ে বলে ললিপপ খাবে।
অনেক কষ্টে বুঝিয়ে পালস লজেন্স দিলো।
পিচ্চিদল: তার নাম লামিয়া দিদি।
রাজু: ঠিক আছে ভাইয়া! এখন যাও।
।সবাই চলে গেছে।
রাজু শুধু লামিয়ার কথা ভাবছে।
কিছু বুঝতে পারছে না।
মেয়েটির কথা এতো মনে পড়ে কেন?
ইয়া আল্লাহ! আমি তো পাগল হয়ে যাবো।
হঠাৎ রাফির ডাকে ভাবনার জগত থেকে বাস্তবে আসে।
রাজু: কি হয়েছে এতো চিল্লাস কেন?
রাফি: তোকে সারা বাড়িতে খুঁজে পাইনা।
আর এখানে দাঁড়িয়ে আছো।
রাজু: ওরে ভাই সেই! লাগে
রাফি:কে?
রাজু:আর বলিস না?
চইলা তো গেলি পাখি! হৃদয়টা নিয়া গেলি।
রাফি: ওহ্! মনে রং লাগছে বুঝি?
ভাই দেখতে কেমন?
রাজু:মোটামুটি,নাম লামিয়া। বাচ্চাদের সাথে দুষ্টুমি করে।
রাফি: দেখাবি না?
রাজু: দূর বেটা আমি তো খুঁজে পাই না।
পিছনে থাকে মিম বললো-
ঐ পাখি পালাইয়া যাইবা কোথায়?
তুমি চলো ডালে-ডালে আমি চলি পাতায়-পাতায়।
রাজু আর রাফি কিছু না বোঝার মতো ভান ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
মিম: আমি কিন্তু সব শুনছি। ভাইয়া কে মেয়েটি?
রাজু:কি শুনছো
রাফি: কচু শুনছে, চলতো..।
রাতে খাবার খেয়ে দুজনে উঠানে বসে মুভি দেখে"টাইটানিক" মুভি।
রাজু হঠাৎ পিছনে তাকিয়ে দেখে লামিয়া।
রাজু: ভাই পিছনে সে?
পিছনে তাকিয়ে দেখলো সুন্দরী একটা মেয়ে।
কোন স্টাইল বা আধুনিকতা নাই।
নরমাল পোশাকে বসে মুভি দেখছে।
রাফি: না চলে, তোর সাথে মানাবে।
আলু আলু মিলে পটেটো।
রাজু: সুন্দর না?
রাফি: পাগলের পাগলী যেমন।
টাইটানিক মুভিতে ,নায়ক আর নায়িকা জাহাজের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে।
রাজু লামিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
রাফি:(একটু জোরে) কি পলক পড়ে কেন?
নায়কের মত দাঁড়িইতে মন চায় বুঝি?
লামিয়া তাকিয়ে দেখলো সেই ছেলেটি ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ মিম এসে ডাক দিলো-
মিমঃভাইয়া তোমারা এদিকে এসো?
অনু আপু ডাকে?
রাফি ইশারায় মিম কে ডাক দিল।
কাছে আসতেই লামিয়া কে ইশারায় দেখালো।
কিন্তু লামিয়া বুঝতে পারলো।
লামিয়া চুপচাপ উঠে ঘরে চলে গেল।
রাজু: তোর একটা কাজ করতে হবে?
মিম: কি কাজ?
রাজু:ওর নাম লামিয়া ওর সাথে বন্ধুত্ব করবি এবং সব কিছু জানতে হবে।
মিম: ওহ্ সমস্যা তো আসল জায়গায়।
আমি পারুম না।
রাফি: (একটু অবাক হয়ে) কেন পারবি না?
রাজু: তোর সমস্যা কোথায়?
দেখ বোন আমার! প্লিজ!তুই খুব ভালো, লক্ষ্মী বোন!।
মিমঃ ঠিক আছে যখন এতো করে বলছো।
তবে একটা শর্ত আছে?
রাজু: কি?
সাথে সাথে রেজাও অবাক হয়ে বললো-
রাফি:কি শর্ত?
মিম:ঘুষ দিতে হবে?
রাজু: শয়তান তোকে লাগবে না।
রাফি:রাজু কে উদ্দেশ্য বলল-
ভাই তুই থাম।
তোর কিছু দিতে হবে না। এবং
মিম বলল কি চাই বল?
মিম:নেইলপলিশ,জড়ি,টিপ।
রাফি:বয়ফ্রেন্ড লাগবে না সেটা বাদ দিলে কেন?
মিম: সেটা আমি খুঁজে নিব, তোমার কষ্ট করতে হবে না।
রাজু: বেশি পেকে গেছো না?
**00**00**
রাত বারোটা বাজে অথচ ঘুম নাই চোখে
রাফি: ভাই তোর সমস্যা কি?
রাজু:ঘুম আসে না?
রাফি:মাথা পুরাই নষ্ট হয়ে গেছে?
রাজু: ভাই কি করবো বল?
চোখের পাতা বুঝলেও দেখি, তাকিয়ে থাকলেও দেখি ওর হাসিমাখা মুখ।
রাফি:ইস ভাই রে তুই শেষ?
রাজু: কেন?
রাফি: ভাই তোর পায়ে পড়ি।
দয়া করে কথা বলিস না।
আর মোড়ামোড়ি করিস না।
রাজু: ঠিক আছে।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে হঠাৎ করে বলে উঠলো -
ভাই হাসি টা না সেই লাগে,পাগল করে দেয়।
রাফি: ইয়া আল্লাহ! ভাই ঘুমাতে দিবি?
রাজু: ধুর শালা! এক রাত না ঘুমালে কি মরে যাবি নাকি?
রাফি:চুপচাপ শুয়ে রইলো.
******
তালই বাড়ির পাশেই নদী।
ভোরে রাজু উঠে নদীর পাড়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তার ঘুম হয়নি, শুধু মাথাটা ভো ভো করছে।
আর লামিয়ার কে বার বার মনে পড়ছে।
যদি একটুখানি কথা বলতো শান্তি পেতাম।
রাফি ঘুম থেকে উঠে,অবাক রাজু তাকে না উঠিয়ে চলে গেলো।
হঠাৎ রাজু ডাকে ধ্যান ভেঙ্গে যায়, পিছনে তাকিয়ে দেখে.রাফি মিম দুজনে আসছে।
রাজু: কি রে তোরা এখানে কেন?
রাফি:আসল প্রেমিক দেখতে আসলাম.
মিম: কেন আসা বুঝি নিষেধ?
রাজু: না, তবে..
মিম: তবে কি? আহারে ভাইটা আমার এক রাতেই শুকিয়ে গেছে।
ঘুম হয়নি বুঝি?
রাফি: না ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে এমনি হয়।
রাজু: আমাকে কি পাগল মনে হয় তোদের?
মিম কিছু বলবে তার আগেই রাজু কানটা ধরে একটা মলা দিল।
রাফি: পাগল তো হয়েই গেছে আবার নতুন করে.,
রাজু:দেখ ভাই আমাকে নিয়ে এভাবেই মজা করলে আমি কিন্তু কথা বলবো না।
রাফি ওরে বাবা!ঠিক আছে চল. নদীর তীরে যাই বলে হাটতে শুরু করলো।
কিছুক্ষণ পর নিরবতা ভেঙ্গে মিম বললো-
ভাইয়া মেয়ে টা অনেক ভালো।
কিন্তু কোন ছেলের সাথে কথা বলে না।
রাজু: সত্যি নাকি? (মনে মনে খুশি হয়ে একটু জোরে বললো)
মিম:ওয়েট! ওয়েট! তুমি কিন্তু ছেলে?
রাফি:তোকে ভাবতে হবে না?
রাজু: বাসা কোথায়? পড়ে কোন ক্লাসে?
মিম: বাসা শিমুলতলী পাশের গ্রামে।
পড়ে টেনে। দুলাভাই এর খালাতো বোন হয়।
রাজু:ওয়াও! মেঘ না চাইতেই জল।
রাফি:এভার আর একটা কাজ করতে হবে?
মিম: কি?
রাফি:একটা মেয়ে আছে সব চেয়ে বেশি সুন্দরী, খুব স্টাইল দিয়ে ওড়না ছাড়া পোশাক পড়ে। সাথে চার পাঁচটা ছেলে থাকে খুব স্টাইল দিয়ে, ছেলেগুলো কানে দুল, গলায় মোটা ডগি স্টইলের চেইন , হাতে বালা ডান্স জানে।
মিম: ওয়েট ওয়েট!ওরে বাবা! শহরের মেয়ে.গ্রামের মানুষ কে পছন্দ করে করে। আমি পারবো না।
হার্টবিট
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
1.72K
Views
33
Likes
2
Comments
4.3
Rating