প্রথম দেখা (২য় পর্ব)

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
___ভোর পাচঁটার মধ্যে পুলিশ এসে বাড়িটাকে সিল করে দিয়ে ভেতরে চারিদিক ইনভেস্টিগেটিট করতে শুরু করে। একজন পুলিশ অফিসার মেহেদীর থেকে পৃথার বলা সমস্ত ঘটনার বিবরণ নিতে থাকে।

পৃথা চুপচাপ মেহেদীর পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে, ওর নড়াচড়া করার ক্ষমতা টুকও যেন লোপ পেয়েছে। 😓মেহেদী ওকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। বুকের মধ্যে শত হাহাকার সত্বেও কোথাও যেন একটা ভরসার হাত খুঁজে পাচ্ছিল পৃথা। কিন্তু যেই মূহুর্তে ফরেনসিক দলের বিশেষজ্ঞরা মালা বেগমকে (পৃথার দাদিমা) ট্রেচারে করে কাপড় চাপা দিয়ে ওর সামনে দিয়ে নিয়ে গেল,বাঁধ ভাঙ্গা কান্নায় ভেঙ্গে পরলো পৃথা। নিজের অজান্তেই মেহেদীকে আকড়ে ধরে ওর বুকে মাথা রেখে অঝুরে কাঁদতে থাকে পৃথা। গতরাতে হওয়া রক্তক্ষরণের কারণে পৃথার শরীর যথেষ্ট দুর্বল ছিল তারউপর অত্যাদিক কান্নাকাটি করার ফলে আবারো অজ্ঞান হয়ে মেহেদীর বুকেই ঢলে পরে যায় সে। মেহেদী কোলে করে পৃথাকে গাড়ির পিছনের সিটে শুইয়ে দিয়ে খানিক জল ছিটাতেই জ্ঞান ফিরে পৃথার। মেহেদীকে জরিয়ে ধরে আবাও কাঁদতে থাকে পৃথা। 😢
আবেগতাড়িত হয়ে পৃথা এটাই ভুলে যায় যে যাতকে সে জরিয়ে আছে সেই ছেলেটি তার সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষ। কিন্তু এই বুকে কাঁদতে পেরে বেশ শান্তি অনুভূতি পাচ্ছে ও প্রত্যেকবার, বিশ্বাসের ভরা দুই হাত বারবার ওকে শান্তনা জোগাতে ক্রমাগত ওর নোনো জল মুছিয়ে দিচ্ছে।

মেহেদী পৃথার কপালে এক স্নেহের চুম্বন এঁকে দেয়। " 😚তুমি একটু অপেক্ষা করো আমি আসছি।" কথাটুকু বলে মেহেদী পিছন ফিরতে গেলেই পৃথা মেহেদীর হাত টেনে ধরে, আচমকা এই টানের ভার সামলাতে না পেরে মেহেদী পৃথার উপরে পরে,আর তাতেই দুজনে গাড়ির সিটে একে অপরের উপর এসে পরে। দুজনেই কেঁপে ওঠে ঠোঁটের স্পর্শে। 🙈 ঘটনার আকস্মিকতায় কিছুটা হতভম্ব হয়ে যায় মেহেদী। ঘোর কাটতেই পৃথার উপর থেকে তাড়াতাড়ি উঠে পরে বলে," ভয় নেই আমি গাড়ি লক্ করে যাচ্ছি , পুলিশের সাথে কথা বলেই চলে আসবো, বেশি দেরি করবো না। 😊

গাড়ির কাচের ভেতর থেকে মেহেদীর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে কিছুক্ষণ আগের ঘটনার কথা ভেবেই লজ্জায় লাল হয়ে যায় পৃথা। ও লক্ষ করেছিল মেহেদী
যাওয়ার আগে ওর সাথে কথা বলার সময় ওর দিকে একবারও তাকায়নি। লজ্জায় মুখ ডাকে পৃথা। 🙈

" আসতে পারি?"

"ও, আসুন মিঃ.হাসান, পৃথা এখন কেমন আছে?
জ্ঞান ফিরেছে তো?"

"হ্যাঁ অফিসার, খুব উইক আছে, আসলে আপনাকে তো বললাম ওর কালকে অনেকটা রক্ত বেরিয়েছিল, তার উপর ওর আর নিজের বলতে কেউই রইলো না,
সবমিলিয়ে বুঝতেই পারছেন.....!!

" হুঁ, ওর মা বাবা কবে মারা গিয়েছিল আপনি জানেন কি?"

"এই মাস তিনেক আগে....ও তো আমাকে তেমনটাই বলল।"

"হুঁ, আচ্ছা মিঃ হাসান আপনি এক কাজ করুন যতদিন না এই কেস টা salve হচ্ছে আপনি পৃথাকে নিয়ে অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্তা করুন,ও কিন্তু মার্ডারটার একমাত্র eyewitness, খুব স্বাভাবিক খুনিরা কিন্তু ওকেও মেরে ফেলতে চাইবে, এই জায়গাটা আপনাদের দুজনের পক্ষে খুব একটা সেইফ নয়। সো আমি কি কোনও ব্যবস্থা করে দিব? নাকি আপনি কিছু করতে পারবেন?"

"না অফিসার রাসবিহারীতে আমার নিজস্ব পৈত্রিক বাড়ি আছে, এখানে নতুন এই বাংলো বাড়িটা কিনেছিলাম বলে এখানেই থাকতাম। এখন না হয় ওর জন্য ওখানেই থাকবো আপনার ইনভেস্টিগেশনের স্বার্থে যখনই দরকার পরবে আপনি আমাকে জানাবেন আমি চলে আসবো। "

"আচ্ছা, নিশ্চয়ই। আপনি তাহলে এখন আসুন পরে দরকার পরলে আপনাকে ডাকবো। আর পৃথাকে একটু দেখে রাখবেন, আর কিছু জানতে পারলে আমাকে জানাবেন"।

" নিশ্চয়ই অফিসার, তাহলে আমি এখন আসছি।"


[""next part""পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ💖 ]
394 Views
22 Likes
3 Comments
5.0 Rating
Rate this: