আছিয়া খুব ভয়ে ভয়ে বাড়িতে আসলো ।
জামাল : আছিয়া কই গেয়েছিলি ,,,কই ছিলি এতোখন ,,
আছিয়া : ,,একটা দরকারে গিয়েছিলাম,,জামাল আর কিছু জিগালো না বললো ভাত খেতে দে ,,,,আছিয়া যেনো সস্থির নিঃশ্বাস ফেললো ,,, জামালকে খেতে দিয়ে আবার পোশাক বানাতে বসলো আছিয়া ।
জামাল ভাত খেয়ে জুয়া খেলতে চলে গেলো জুয়ার আসনে আরো 5 জন ছিল তারাও জুয়া খুর ,,,জুয়ার নেশায় পরে থাকে ,,,,
জামালের এক বন্ধু তার নাম রফিক ,,,কিরে জামাল আজকে বউকে মেরে কয় টাকা নিয়ে আসছিস ,,,
জামাল : দেখ সাবধানে কথা বলবি ,,,বউকে মারি নয় চুরি করি তোর তাতে কিরে ,,,খেলতে আসছিস খেল ,,,নয় কিন্তু এখন তোকে মেরে বসবো ,,,।
রফিক : তোর দেখা যায় হাত লম্বা হচ্ছে দিন দিন তোর হাত কি ভাঙবো নাকি ।
এভাবেই কিছুক্ষণ তোক্কা-তক্কি করলো তারা ,,,সবাই বললো ঔ থাম তোরা ,,নয় দুই"জনি ওঠে চলে যা ,,, তোদের খেলতে হবে না ।,
জামাল : না ভাই আমি খেলবো ,,,সেই লোক বললো কতো টাকা আনছিস ,,
জামাল : 1000 ,, এই বলে জুয়া খেলা শুরু করলো ,,,খেলতে খেলতে ভাগ্যক্রমে আজকে জামাল জিতে গিয়েছে,,,জামাল তো মহা খুশি ,,, তাদের মধ্যে একটা লোক সামান্য একটু ভালো,,।
সেই লোক : আজকে তো জিতে গেলি ,,,তো আর খেলবি না আজকে ।
জামাল : না ,,,এক জায়গায় যাবো,,
সেই লোক : কই যাবি ?,,
জামাল : তোমাকে বলবো কেনো ? ,,,
সেই লোক : দেখ ভাই ফুলের মতন বউ তোর ,,তাকে রেখে ঔ খারাপ মেয়ে চুমকির পিছনে কিসের জন্য পরে আছিস ,,,,টাকা কেনো ঔ খারাপ মেয়ের পিছনে নষ্ট করিস বলতো ভাই ,,।
জামাল : দেখো ভাই আমার চুমকিকে খারাপ মেয়ে বলবে না ,,তাহলে কিন্তু ভালো হবে না ভাই ,,,তুমি তোমার চর্কে তেল দেও ,,আমাকে কিছু বুজাতে এসো না ,,,আমি যতেষ্ট বুঝি ।
এই বলে জামাল চুমকির বাড়িতে চলে গেলো ,,,রফিক ওরা সবাই বলাবলি করছে ,,এই জামাল আর কোনদিন ভালো হবে না ,,,
আর ঔ দিকে আছিয়া দুই মেয়েকে নিয়ে গল্প করছে
জারা : মা বাবা আমাদের সাথে কতো দিন ধরে ,, ঘুম আসে না মা, । বাবা আবার কবে আমাদের সাথে ঘুমাবে ,গল্প করবে ,,,,।
আছিয়া : খুব তারাতারি ,,, আল্লাহর কাছে বেশি বেশি বলবে তোমার বাবাকে যেনো ভালো মানুষ বানিয়ে দেন আল্লাহ ,,,তাই দেখবা তোমাদের বাবা আবার ভালো মানুষ হয়ে যাবে ,,তোমাদেরকে নিয়ে বেড়াতে যাবে ,খেলবে ,,।
,ছোট মেয়ে সারা এই কথা শুনে বললো মা আমাকেও কি বাবা কোলে নিবে,,, সবার বাবার মতো ।
আছিয়া : হ্যা মা তোমাকে কোলে নিবে মজা কিনে দিবে ,,আরো কতো কিছু করবে ,,সারা ,,এগুলো শুনে অনেক খুশি ,,
আবার যারা জিজ্ঞাসা করলো মা ,বাবা রাতে কোথাই থাকে,,কোথাই ঘুমায় ,,,কোথায়ি বা খায় ,,,আছিয়া কি বলবে খুজে পাচ্ছে না ।
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে আছিয়া বললো এগুলো নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না ,,হয়তো কোন বন্ধুর বাড়িতে থাকে,,,
জারা, : মা আমাদের তো ঘর আছে, বিছানা আছে তাহলে বন্ধুর বাড়িতে কেনো ঘুম আসে বাবা??
আছিয়া মেয়ের এমন প্রশ্নে রাগ করে জুরে দমক দিয়ে বললো ,এতো কথা ভালো লাগে না ,, ঘুম আসো ,
জারা চুপ করে সুয়ে রইলো আর মায়ের সাথে কোন কথা বললো না ।
আছিয়া কিছুক্ষণ নিরব থেকে ভাবলো,,, মেয়েরা তো প্রশ্ন করবেই ওরাই বা কি বুঝে ,,
আছিয়া মেয়েকে জড়িয়ে দরে আদর করলো ,,,এখন মেয়ে খুশি ,,এভাবেই মা মেয়ে মিলে ঘুমিয়ে পড়লো ,,,রোজ দিনের মতন আছিয়া মেয়েদেরকে ডেকে তুলে ফজরের নামাজ পড়ে নিলো ।
আজকে জারার পরীক্ষা জারাও মায়ের সাথে নামাজ পড়ে বই পড়তে বসলো। কিছুক্ষণ পর জামাল বাড়িতে আসলো সকাল তখন পাঁচটা বাজে ,, জামাল এসে বিছানায় সুইলো ছোট মেয়ে সারা তার বাবার কাছে এসে বসলো ,,
সারা : বাবা আমাকে কোলে নেও একটু ,,
পাষাণ জামাল : এখান থেকে সর পড়ে কোলে নিবোনি । ছোট মেয়ে সারা কান্না করা শুরু করল । কান্না করছে আর বলছে মা-বাবা আমাকে কোলে নেয় না ,,
আছিয়া : ,, সারা একটু কোলে উঠতে চাচ্ছে একটু কোলে নিলে কি বা হয় বলেন আপনার ।
জামাল : তোদের -গ্যান গ্যান প্যান প্যান আর ভালো লাগে না ,,, ভাবছি একটু আরাম করবো ,, আসার সাথে সাথে তোরা পাগল বানিয়ে ফেললি ,,,
জামাল : সারা আয় কোলে নিবো ,,।
সারা দৌড়ে তার বাবার কাছে আসলো ,,, জামাল কোলে নিলো সারাকে এতে সারা যেনো মহা খুশি বাবার কোলে এসে ।
( "আচ্ছা এই বাবা গুলো এতো পাষাণ হয় কেনো ,,, আমার গল্প বলে কথা না ,,এর থেকে আরো খারাপ হয় অনেক জুয়া খুররা,, আমাদের আশেপাশের জামালরাও আছে এমন বহু ভয়ংকর । না বউয়ের সাথে ভালো আচরণ করে ,,না ছেলে মেয়েদের সাথে ,,, নেশায় যুক্ত থাকে ,,, খারাপ মেয়েদের পিছনে পরে থাকে ,,, মায়া দয়য়া বলতে তো কিছুই থাকেই না তাদের।
আছিয়ার মতো বহু বহু নারী আছে যারা অন্যায় অত্তাচার মুখ মুজে মেনে নেয় ,,সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ,,,,নেশাখুর ,,জুয়াখুরকে ভালোবেসে ,,,আর বিশেষ করে এমন মেয়েরা যে মেয়ে বাবা মায়ের অবাদ্যে বিয়ে করেছেন তারা ,,,,।
না পারে বাবার বাড়ি যেয়ে ওঠতে না পারে অত্যাচারী স্বামীর ঘর করতে ,,,। হয়তো কারো স্বামী কম অত্তাচার করে বা কারো স্বামী বেশি অত্যাচার করে ,,,আছিয়ার মতো ভালো মেয়েরা বসে থাকে বুক ভরা অনেক আসা নিয়ে তার স্বামী কবে ভালো হবে, কবেইবা ভালোবাসবে । আল্লাহ কাছে একটি জিনিস চাওয়া আর কারো স্বামী যেনো এমন না হয় ,,,আর হলেও যেনো তারাতারি ভালো হয়ে যায় " )
জামাল : আছিয়া ভাত খেতে দে ,,,আছিয়া যা রান্না করছিলো তাই খেতে দিলো । কিছুক্ষণ পর জারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রেডি হলো ।
এমনিতেই বাবার ভয়ে ভয়ে এতক্ষণ জারা পরীক্ষার জন্য রেডি হয়ে বের হয় নি ,,, কিন্তু এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে এর জন্য জারা রেডি হয়ে চুপি চুপি বের হতে লাগলো,,তখনই জামাল দেখে বললো কিরে কই যাস ,,,
জারা : স্কুলে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাবা,,,
জামাল : কিরে তুই না পরীক্ষার ফিস দেস নি,, তাহলে পরীক্ষা দিবি কেমনে ? তোরা কি মা মেয়ে মিলে আমার সাথে গেম গেলিস ,,,লুকিয়ে কোন ব্যাংকে টাকা রাখিস আমাকে তাড়াতাড়ি বল তোরা ,,,।
আর ঐদিকে পরীক্ষার দেরি হয়ে যাচ্ছে, জারার এটা বার্ষিক পরীক্ষা আজকে পরীক্ষা না দিতে পারলে আবার এক বছর একই ক্লাসে থাকতে হবে জারার ,,,
আছিয়া : জারাকে তুই দাঁড়িয়ে আছিস কেনো যা পরীক্ষার দেরি হয়ে যাচ্ছে । জারা কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না যদি মাকে মারে এই ভেবে দাঁড়িয়েই আছে ,,, এইবার আছিয়া ধমক দিয়ে বলল যেতে বলছি না তোকে ,,,
জামাল : যাবি না ,, ।
জারা কি করবে ভেবে না পেয়ে মায়ের কথা মেনে নিয়ে,,, স্কুলের পথে রওনা দিয়ে দিলো,,,
কিন্তু মেয়ের মনে তো একটাই টেনশন আজকে তো আবার মাকে মেরে ফেলবে না আমার জন্য,, এত ছোট বয়সে এত টেনশন করে,,, জারাকি পরীক্ষা ভালো ভাবে দিতে পারবে,,,,???
,,যারা,, চলে যাওয়ার পর,,, জামাল আছিয়াকে বললো ,,,তোর অনেক দেমাক হয়েছে তাইনা ,,,লাঠি টা কই আজকে তোর মজা দেখাবো ,,,,,
এবার আছিয়াকে মেরে ফেলবে নাতো জামাল???
আর জারা কি মায়ের টেনশনে পরীক্ষা দিতে পারবে???
চলবে ,,,,,
জুয়া পর্ব ( 3 )
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
183
Views
2
Likes
1
Comments
0.0
Rating