ভূমিকা:
একটি দূরবর্তী, পরিত্যক্ত দ্বীপের এক প্রাচীন বাড়ি গ্রামবাসীদের মধ্যে দুঃস্বপ্নের মতো। দ্বীপটির উপর জঙ্গলের ভিতরে এই বাড়ি রয়েছে, যেখানে কোনো লোকই রাত কাটাতে সাহস করে না। স্থানীয়দের মধ্যে এই বাড়ি সম্পর্কে গুজব রয়েছে যে, এখানে এক ভয়ঙ্কর প্রেতের রাজত্ব রয়েছে, যা কেবল রাতের অন্ধকারেই সক্রিয় হয়।
প্রথম অধ্যায়:
একদিন, সাহসী তরুণ গবেষক জ্যাকসন তার দুই বন্ধু, অ্যালিস এবং ব্র্যাড, কে নিয়ে বাড়ির রহস্য উন্মোচনের জন্য দ্বীপে যায়। তারা স্বল্প প্রস্তুতির সঙ্গে রাতের অন্ধকারে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। প্রাচীন বাড়ির প্রাচীর এবং ভাঙা জানালা দেখে তাদের মনে অদ্ভুত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় প্রাচীন এবং ধুলোমাখা জিনিসপত্র, ভাঙা আসবাবপত্র, এবং কিছু অদ্ভুত চিহ্ন যা প্রেতাত্মার অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। অ্যালিস একটি পুরনো বেসমেন্টের দরজা খুঁজে পায়, যা অদ্ভুতভাবে শক্তিশালী এবং স্ক্র্যাচ করা দেখা যায়।
দ্বিতীয় অধ্যায়:
বেসমেন্টে প্রবেশ করার পর, তারা একটি অদ্ভুত কক্ষ খুঁজে পায়। কক্ষে একটি পুরনো, ভাঙা খুঁটি এবং কিছু প্রাচীন পাণ্ডুলিপি রয়েছে। পাণ্ডুলিপিগুলিতে লেখা রয়েছে যে, বাড়ির মালিক এক ভয়ঙ্কর অভিশাপের শিকার হয়েছিল, যার ফলে তার আত্মা এখানে চিরকাল আটকে রয়েছে। তারা একটি বিশেষ মন্ত্রের উল্লেখও পায় যা প্রেতের শক্তিকে নাশ করতে পারে।
রাত বাড়তে থাকলে, বাড়ির ভিতরে এক অদ্ভুত ঠাণ্ডা অনুভূত হয় এবং একটি অদ্ভুত চাপ সৃষ্টি হতে শুরু করে। ব্র্যাড দেখতে পায় একটি ছায়া যা দ্রুত তার দিকে এগিয়ে আসছে। তারা শোনে ভয়ঙ্কর চিৎকার এবং অদৃশ্য শক্তির উপস্থিতি অনুভব করে।
তৃতীয় অধ্যায়:
যতই রাত বাড়তে থাকে, প্রেতের শক্তি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। বাড়ির চারপাশে অদ্ভুত আওয়াজ এবং শীতল বাতাস ছড়িয়ে পড়ে। জ্যাকসন এবং তার বন্ধুরা একটি প্যান্ডুলিপি থেকে প্রাপ্ত মন্ত্রটি উচ্চারণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু তারা বুঝতে পারে যে, প্রেতের শক্তি এতটাই তীব্র যে এটি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
বাড়ির ভেতরের ভাঙা আসবাবপত্র ও প্রাচীন চিহ্নদের মধ্যে তারা দেখতে পায় যে, এক ভয়ঙ্কর প্রেত তাদের মধ্যে ঘুরছে। প্রেতের উপস্থিতি তাদের মানসিক অবস্থাকে চরম বিপদে ফেলে। তারা দেখতে পায় যে, প্রেতের শ্বাস নেয়ার মতো অদ্ভুত কণ্ঠস্বর এবং গাঢ় চোখের অবয়ব তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
চতুর্থ অধ্যায়:
বাড়ির অন্ধকার কোণ থেকে এক ভয়ঙ্কর প্রেত উদিত হয়। তার চোখের লাল আলো এবং ঘৃণা ভরা মুখ দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। প্রেতের শক্তি বাড়ির মধ্যে এক ভয়ঙ্কর ঝড়ের সৃষ্টি করে এবং তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
জ্যাকসন এবং তার বন্ধুরা বুঝতে পারে যে, তারা কেল্লার অভ্যন্তরে আটকা পড়ে গেছে। তারা শেষ চেষ্টা হিসেবে প্রেতের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী মন্ত্র পাঠ করে, কিন্তু প্রেতের শক্তি এতটাই বিপর্যস্ত যে, মন্ত্রটি কোন কাজেই আসে না। তারা ভয়ঙ্কর দৃশ্য এবং অদ্ভুত প্রতিক্রিয়া দেখতে থাকে।
পঞ্চম অধ্যায়:
জ্যাকসন এবং তার দলের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সম্মুখীন হয়। বাড়ির অন্ধকারে, প্রেত তাদের জীবনের ওপর এক ভয়ঙ্কর আক্রমণ চালায়। তারা দেখতে পায় যে, প্রেতের আক্রমণ এতটাই তীব্র যে, তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার চরম অবনতি হয়।
অ্যালিস, ব্র্যাড, এবং জ্যাকসন এক ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এবং তারা কেল্লার অভ্যন্তরীণ অন্ধকারে ডুবে যায়। তাদের চিৎকার এবং প্রেতের আওয়াজ এক ভয়ঙ্কর কোলাহল সৃষ্টি করে, যা পুরো দ্বীপের ভিতরে শুনা যায়।
শেষ অধ্যায়:
ড. সায়েদ, অ্যালিস, এবং ব্র্যাডের মৃতদেহ পরে দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মৃতদেহের অবস্থা দেখে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দ্বীপের কেল্লাটি এখন এক ভয়ঙ্কর স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে কেউ প্রবেশ করতে সাহস পায় না।
দ্বীপের আশেপাশে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, প্রেতের শক্তি এখনও দ্বীপে বিরাজ করছে এবং রাতের অন্ধকারে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এটি একটি অন্ধকার স্থান হিসেবে পরিচিত, যেখানে কেউ প্রবেশ করতে সাহস পায় না এবং প্রেতের রাজত্ব অব্যাহত থাকে।
শেষ কথা:
একটি গভীর ও ভয়াবহ গল্প যা প্রমাণ করে যে, কিছু প্রেতাত্মা এবং অভিশাপ এতটাই ভয়ঙ্কর যে, মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণভাবে বিপন্ন করতে পারে। এটি আমাদের শেখায় যে, কিছু অন্ধকার শক্তি এবং প্রেতের উপস্থিতি অপ্রতিরোধ্য হতে পারে এবং তাদের রহস্যের মোকাবিলা করা সর্বদা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
বিচ্ছিন্ন দ্য ভুতের পালা
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
133
Views
2
Likes
0
Comments
5.0
Rating