অহংকারী কাজিন

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
,,,,,,৷৷ ,,সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম তখন আমাকে কেউ ডাক দিল আমি চোখ খুলে দেখলাম।

আমার পিচ্চি চাচাতো বোন ডাকতেছে।

আমি :: কিরে আদিবা ডাকতেছিস কেন। (পিচ্চি চাচাতো বোন এর নাম আদিবা)


আদিবা:: উঠ আম্মু আর আব্বু ডাকতেছে৷


আমি:: আসতেছি যা।

আদিবা :* তারাতাড়ি আসো।

এই বলে আদিবা চলে গেল, আমিও ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের পরিচয় দিয়ে নেই।

(আমি নিরব, বাবা, মা কেউ নেই, চাচার বাসায় থাকি,
আপাতত এটুকু জানলেই চলবে গল্প পরতে থাকুন সব জানতে পারবেন)

আমি ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িং রুমে গেলাম যেয়ে দেখি চাচা, চাচি, আর আদিবা বসে আছে।


আমি:- চাচা আমায় ডেকেছেন।

চাচা: : হুম ডেকেছি, এখানে বস আয়,।


আমি-: জি বলেন,।


চাচি:: আজকে আমার বোনের মেয়ে আসবে।


আমি -: তো আমি কি করব।

চাচি : আমার বোনের মেয়ে এখানে 1 মাস থাকবে।


আমি:: তো আমাকে বলতেছ কেন।

চাচা! /: আসলে তোর চাচি চাইছিল তুই এই 1 মাস ড্রয়িং রুমে ঘুমাবি, আর তোর রুমে ফারজানা ঘুমাবে।


আমি:। : আমি কেন ড্রয়িং রুমে ঘুমাব সে আসছে তাকে ঘুমাতে বল।


চাচা:: আমি যা বলেছি তাই হবে।
এই একটা মাস তুমাকে কষ্ট করে ড্রয়িং রুমেই ঘুমাতে হবে, এটাই ফাইনাল,।
যাও তুমার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ড্রয়িং রুমে আনো।

আর কি করার, আমি জানি এখন এই একমাস আমার ড্রয়িং রুমে থাকতে হবে, কারন চাচা যা বলে তাই করে।

তাই দেরি না করে আমি আর আদিবা আমার রুম থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ড্রয়িং রুমে আনতে লাগলাম আর বকবক করতে লাগলাম।

আমি :: এতোদিন আমি এই রুমে থেকে ছি আর আজকে কোথাকার কোন মহা রানির জন্য আমার রুম ছেড়ে দিতে হচ্ছে।

আমার সব কিছু গোছানো শেষ। তাই সবাই মিলে নাস্তা করতে লাগলাম।

একসময় চাচি বলল।


চাচি :: নিরব তুমি তারাতাড়ি খেয়ে ফারজানা কে আনতে যাও।


আমি:: আমি কেন যাব সে কি বাচ্চা নাকি একা একা আসতে পারেনা।

চাচি :: বাচ্চা না তবে মেয়ে মানুষ একা একা কি আসতে পারে।


আমি :: ওকে যাব।

এই বলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে চাচির কাছে গিয়ে বললাম,


আমি :: আচ্ছা চাচি ওই মেয়ের কোনো ছবি আছে।


চাচি : না নেই, কেন।


আমি:: আমি কি কখনো দেখেছি নাকি চিনব কি করে।


চাচি : ও ও ছবি তো নেই কিন্তু নাম্বার আছে এই নাও।

আমি চাচির কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে রেল স্টেশন এর দিকে রওনা দিলাম।

স্টেশন এ ঢুকতেই কার সাথে যেন ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম।
আমি চেয়ে দেখি একটা মেয়ে।

মেয়েটা আমার উপর থেকে উঠেই আমার কলার ধরে৷ বলল।

মেয়েটা :- আপনার জন্য আমার ব্যাগ ছিন্তাইকারি কে ধরতে পারলামনা আমার ব্যাগ নিয়ে চলে গেল। 😭😭😭।



আমি :: আমি কি করলাম কোথা থেকে এসে আমার উপর পরে গেল।
আমার যে হাড্ডি ভেঙে গেল তার কি হবে ।


মেয়েটা :: তো আমি কি করব।
আপনার জন্য আমার ব্যাগ নিয়ে চলে গেছে এখন আপনি এখন এর জরিমানা দিবেন।


আমি ': এহ আমার ঠেকা পরছে।


মেয়েটা :: জরিমানা না দিলে আমি চিৎকার করব।


আমি : করেন চিৎকার।


মেয়েটা :: ছিন্তাই কারি ছিন্তাই কারি

এইবলে
চিল্লা তে লাগল।

আমি মেয়ে টার মুখ ধরে বললাম।


আমি :: এই নিন 5 হাজার টাকা তাও চিল্লাই এন না।


আমি :: সকাল বেলা যে কার মুখ দেখে উঠেছিলাম।


মেয়েটা :: আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হয় আয়না দেখেছিলেন।

আমি:: আমার চেহারা এতো খারাপ না।
আর আপনি এখনো এখানে কি করছেন।


মেয়েটা :: একজনের জন্য অপেক্ষা করছি।



আমি :: তো করেন।

এই বলে মোবাইল বের করে চাচির বোনের মেয়ে কে কি যেন নাম।

ও হ্যা ফারজানা কে কল দিলাম।
কল দিয়ে দেখি আশেপাশে রিংটোন বাজতেছে।
তাই যেদিকে রিংটোন বাজতেছে সেদিকে গেলাম রিংটোন এর কাছে গিয়ে তো।

আমি অবাক কারন,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,



(পরের part এর জন্য অপেক্ষা করুন ধন্যবাদ)

888 Views
24 Likes
5 Comments
4.1 Rating
Rate this: