সকালে বুকে ভারি কিছুর অনুভব করাতে ঘুমটা ভেঙে গেল ।
চোখ খুলে দেখি তিথী আমার বুকের মধ্যে গুটিসুটি মে*রে শুয়ে আছে । ওকে দেখেই তিথী খাটের দিকে ধাক্কা দিয়ে আমি এক লাফে বিছানা থেকে দাঁড়িয়ে গেলাম ।
আর তিথী কী বললাম,,,,,,,
আমিঃ কি করছিলেন আপনি ? আপনি কি পা*গ*ল । আপনি আমার রুমে কেন ? আর আমার বুকেই বা কেন । কেউ দেখে ফেললে কি ভাবতো ।
তিথীঃ সরি । আসলে আমি তোমাকে ডাকতে এসেছিলাম । এসে দেখি তুমি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছো । তাই তোমার ঘুমানোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে আমিও ঘুমিয়ে গেছি বলতে পারি নি ।
আমিঃ আপনি আমার রুমে এরকম হুট হাট করে ঢুকে পড়বেন না ।
তিথীঃ আচ্ছা ঠিক আছে । এতো রাগ দেখাতে হবে না ।
আমিঃ তো কেন ডাকতে এসেছেন শুনি ?
তিথীঃ নাস্তা করার জন্য ডাকছে । আর নাস্তা করে তোমার আপুর জন্য বিয়ের মার্কেট করতে যেতে হবে তাই ।
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে । আপনি যান আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি ।
তিথীঃ হুমম আচ্ছা ।
তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম নাস্তা করতে । নাস্তা শেষ করে আমি আপু আর তিথী মার্কেটে যাবো কেনা কাটা করতে ।
তারপর আমি পাঁচ মিনিটে রেডি হয়ে নিচে এসে ওদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম । মেয়েরা পারেও বটে । এতো সময় ধরে যে কি করে আল্লাহই জানে ।
অপেক্ষা সহ্য করতে না পেরে আমি আম্মুকে ডাক দিয়ে বললাম,,,,,
আমিঃ আম্মুউউউউউ ।
আম্মুঃ কি হয়েছে । এমন ভাবে চিৎকার করছিস কেন ।
আমিঃ তোমার মেয়ে আর তিথী মার্কেটে যাবে তাই তার জন্য অপেক্ষা করতেছি । একটু গিয়ে দেখো না আর কতক্ষণ লাগবে । এতো সাজে কেন ? মনে হচ্ছে আজকেই বিয়ে ।
আম্মুঃ তুই গিয়ে ডাক দে । আমি পারবো না ।
আমিঃ রুমে গেলে যা দেখায় তা দেখার পর কন্ট্রোল থাকে না । (মনে মনে)
আম্মুঃ কি হলো কি বিরবির করছিস ?
আমিঃ কিছু না ।
আম্মুঃ তাহলে যা ।
আমিঃ হ্যা যাচ্ছি ।
তারপর ওদের রুমে গিয়ে ডাক দিলাম ।
তিথীঃ তুমি ১ মিনিট বসো আমাদের রেডি হওয়া শেষের দিকে ।
আমিঃ ঠিক আছে ।
আবার নিচে এসে বসে আছি । আজকেও তিথী আবার শাড়ি পড়েছে । অনেক সুন্দর লাগছে মনে হচ্ছে ঘাসের বুকে যেমন শিশিরের ফোটা রোদের সোনালী আলোয় মুক্তোর মত রূপালী আলো ছড়ায় ঠিক সেই রকম লাগছে ।
পিছন থেকে আপু বলছে ।
আপুঃ কিরে তুই ওর দিকে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন ।
আমিঃ না দেখছি । আর চিন্তা করছি ।
আপুঃ কি চিন্তা করছিস ?
আমিঃ চিন্তা করছি এই রকম একটা শাড়ি তোমাকেও কিনে দিতে হবে ।
আপুঃ এইটা আমারই শাড়ি । তিথীর নাকি অনেক পছন্দ হয়েছে তাই গিফট করে দিয়েছি
আমিঃ খুব ভালো করেছো । এইটা মহৎ একটা কাজ করেছো ।
তিথীঃ হুমম চলো আমরা রেডি ।
আমিঃ আপনি মনে হয় কোনো বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন ।
তিথীঃ পরে বলি এখন চলো ।
আমিঃ ঠিক আছে চলেন ।
আমি নিচে গিয়ে বাইকে বসে আছি । আপু বললো,,,,,,
আপুঃ আজকে বাইক রাখ । আমরা রিক্সা দিয়ে যাবো।
আমিঃ বাইক রেখে আমি রিক্সা দিয়ে যাবো কেন ?
আপুঃ আমি বলছি তাই যাবি ।
আমিঃ ঠিক আছে চলো ।
তারপর দুইটা রিক্সা ডাক দিলাম । একটাতে আপু আর তিথী । আরেক টাতে আমি একাই । অনেকক্ষণ রিক্সা চলার পর মার্কেটের সামনে রিক্সা থামালো ভাড়া মিটিয়ে ভিতরে গেলাম ।
মার্কেটে এসে দেখি আপুর বয়ফ্রেন্ড মানে আমার হবু দুলাভাই আগেই এসে বসে আছে । আমি তাকে দেখে কাছে গিয়ে বললাম,,,,,,,,
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম দুলাভাই ।
দুলাভাইঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম সা*লা বাবু ।
আমিঃ কেমন আছেন ?
দুলাভাইঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো । তুমি ?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ । তা আপনি এখানে কেন ??
দুলাভাইঃ তোমার আপুই তো আসতে বলছে ।
আমিঃ কিহহ কখন । আপু আমাদের বললে না কেন ?
আপু হেসে উত্তর দিলো,,,,
আপুঃ তোদের বললে তো তোরাই আসতিই না ।
আমিঃ তাই বলে তুমি গোপন করবা ।
আপুঃ সরি ।
আমিঃ থাক আর সরি বলতে হবে না । এখন তাহলে কী করবা ।
আপুঃ আমি আর তোর দুলাভাই শপিং করতে গেলাম । তোরা দুইজন একসাথে যা কেনার কিনে নে । আসছি ।
বলেই আপু দুলাভাই এর সাথে চলে যেতে লাগলো । আমি আর তিথী বোকা বনে গেলাম । আর যাওয়ার সময় দুলাভাই বললো,,,,,,
দুলাভাইঃ আর হ্যাঁ । তোমাকে ধন্যবাদ । তোমার জন্যই আমাদের ভালোবাসা সাকসেসফুল । আর তোমরা চলে যেও । তোমার আপুকে আমি নামিয়ে দিয়ে আসবো ।
আমিঃ ঠিক আছে ।
তারপর তিথী আমাকে বললো,,,,,,
তিথীঃ চলো কি কিনবে,,,,,,,,
আমিঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন । ধন্যবাদ ।
ছোট্ট লেখকের প্রেমে
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
244
Views
13
Likes
1
Comments
5.0
Rating