তিথীঃ রাকিব,,
আমিঃ হুমম বলেন ? কিছু লাগবে ?
তিথীঃ জান্নাতের রুম টা সাজাতে হবে । ফুল গুলো কোথায় রাখছো ।
আমিঃ ওই যে আমার বুক সেলফের উপরে রাখছি । নিয়ে নেন ।
তিথী ওখানে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ফুলের নাগাল পেলো না ।
তারপর তিথী আমাকে বললো,,,,,,,
তিথীঃ দেখছো না পারছি না । একটু হেল্প করো না প্লিজ ।
আমিঃ আমি কেমনে হেল্প করবো ?
তিথী একটু ভেবে বললো,,,,,,,
তিথীঃ আমায় কোলে তুলে নাও (বলেই হাসতে লাগলো) ।
আমি অবাক হয়ে চোখ বড় বড় করে বললাম,,,,,,,,,
আমিঃ আপনি কি পা*গ*ল হইছেন ।
তিথীঃ সরি ।
তারপর আমি তিথীকে একটা টুল এগিয়ে দিয়ে বললাম,,,,,,
আমিঃ এটার উপরে উঠে ফুল গুলো নিয়ে এখান থেকে বিদায় হোন ।
তিথীঃ আরে এভাবে বলছো কেন ?
আমিঃ আমি এভাবেই বলি ।
তারপর তিথী টুলের উপর উঠে হাত বাড়িয়ে ফুল গুলো এগিয়ে নিতে গেল । আমি ওর দিকেই তাকিয়ে আছি ।
হঠাৎ খেয়াল করলাম হাত উপরে তোলায় তিথীর পেটের শাড়ী সরে গেছে আর সুন্দর নাভি টা দেখা যাচ্ছে । 🙈
ওটা দেখলে যেকোনো ছেলে তিথীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে । আমিও ওইটা দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না ।
পরক্ষণেই ভাবলাম নাহহ আমি আয়েশাকে ঠকাতে পারবো না । এজন্য সাথেই সাথেই চোখটা সরিয়ে নিলাম ।
তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না । তাই রুম থেকে উঠে বাহিরে যেতে লাগলাম । হঠাৎ টুল থেকে পা পিছলে তিথী পড়ে যাচ্ছে ।
আমি সাথে সাথেই তাকে ধরে ফেললাম । কিন্তু পুরোটা না ধরতে পারায় তিথীর কোমড় টা জড়িয়ে ধরে আমি আগে পড়লাম আর আমার উপর তিথীও পড়লো ।
পড়ার সাথে সাথে তিথীর ঠোঁট আমার ঠোটের সাথে স্পর্শ করলো । সাথে সাথে শরীরে যেন ক্যারেন্ট বয়ে গেল ।
আর অন্য রকম এক অদ্ভুত ফিলিংস হচ্ছে । ওই অবস্থায় তিথী আমার দিকে তাকিয়ে আছে । তার শরীর আমার শরীরের সাথে পুরো লেপ্টে আছে ।
এভাবে কিছুক্ষণ থাকার পর আমি তিথীকে বললাম,,,,,
আমিঃ আমাকে দেখা হলে বলে দিবেন । আমি এভাবে বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না ।
তিথী আমার কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে আমার উপর থেকে উঠে বললো,,,,,,,
তিথীঃ সরি । ওই আসলে...........
আমি পুরো কথাটা বলতে না দিয়ে বললাম,,,,,,,,
আমিঃ থাক আর বলতে হবে না । কিন্তু এই ব্যাপার টা যেন আর কেউ না জানে ।
তিথীঃ হুমম ঠিক আছে ।
তারপর আমি আমার রুম থেকে চলে গেলাম । আর তিথী ফুল গুলো নিয়ে আপুর রুমটা সুন্দর করে সাজিয়ে দিল ।
রাতে আপুকে দেখতে পাত্র পক্ষ এলো । তারা আপুকে দেখে অনেক পছন্দ করেছে । আংটি ও পড়ে রেখে গেছে । বিয়ের দিন তারিখ ও ঠিক করে গেছে । দশ দিন পর আপুর বিয়ে ।
আপু আর তিথী আপুর রুমে,,,,,,
তিথীঃ কনগ্রাচুলেশন ।
আপুঃ ধন্যবাদ ভাবি ।
তিথী অবাক হয়ে বললো,,,,,,
তিথীঃ ভাবি,,,
আপুঃ কেন ভাবি হবে না,,?
তিথীঃ আমি তো হতেই চাই ।
আপুঃ তাহলে বলছো না কেন ভাইয়াকে তুমিই আয়শা ।
তিথীঃ ওর সামনে গেলেই কেমন যেন হয়ে যাই । তাই আর সাহস করে বলতে পারি না ।
আপুঃ হুমম এরকমই করো ।
তারপর আমি রাতে আয়েশার সাথে টুকটাক কথা বলতে লাগলাম,,,,,,,,
আয়শাঃ হাই আমার কিউট পিচ্চি টা ।
আমিঃ আপনই শুধু অনলাইনেই প্রেম দেখান । জানি কখনো আপনি বাস্তবে আসবেন না ।
আয়শাঃ খুব তাড়াতাড়িই তোমার সামনে আসবো কথা দিলাম ।
কিছুক্ষণ পর,,,
আয়শাঃ কি হলো পিচ্চি টার মন খারাপ নাকি ।
আমিঃ আমার মন খারাপ হলে আপনার কি ?
আয়শাঃ আচ্ছা কি চাই তোমার বলো ?
আমিঃ আপনি আমার সামনে না আসলে আমি আর কথা বলবো না আপনার সাথে ।
আয়শাঃ এইটা কেমন কথা ।
আমিঃ এইটাই কথা । রাজি ?
আয়শাঃ হুমম । তোমার জন্য সব করতে রাজি ।
আমিঃ তাহলে কবে দেখা করবেন ?
আয়শাঃ আমি তোমাকে জানাবো ।
আমিঃ হুমম ওকে ।
এভাবে আয়শার সাথে আরো কিছুক্ষণ মেসেজ করে ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে বুকে ভারি কিছুর অনুভব করাতে ঘুমটা ভেঙে গেল ।
চোখ খুলে দেখি,,,,,,,,,,,,,,,,,
""
""
""
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আজকে জ্বর নিয়ে আপনাদের জন্য এতটুকু লিখতে পারছি ।
ছোট্ট লেখকের প্রেমে
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
281
Views
14
Likes
2
Comments
5.0
Rating