স্টেশনে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
সন্ধ্যে সাতটা বাজে । বসে আছি বদরপুর রেলস্টেশনে। গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হয়েছি । তাই তল্পিতল্পা নিয়ে চলে যাচ্ছি । হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে । পরিবার , আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধবদের ছেড়ে ওখানে একা কিভাবে থাকবো , বসে বসে এসব ভাবছি , হঠাৎ ঘোষণা হলো " গুয়াহাটি গামী ট্রেন নং... কিছুক্ষনের মধ্যেই স্টেশনে আসছে ।" ল্যাগেজ গুলো নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম । ট্রেন আসতেই নিজের সীটে চড়ে বসলাম । । কিছুক্ষন পর ট্রেন ছাড়তে শুরু করলো । চাচা , এবং দুজন বন্ধু এসেছিল আমাকে ছাড়তে।তাদের সালাম দিয়ে বিদায় নিলাম । দ্বিতীয় বার যাচ্ছি গুয়াহাটি, বলতে গেলে কিছুই চিনি না । তবে আজকাল এই আধুনিকতার যুগে এত সমস্যা হয় না , সবার হাতে হাতে মোবাইল আছে । একবার টিপলেই পুরো বিশ্বের ম্যাপ সামনে এসে যায় । যায় হোক , ভোর ৪.৫০ মিনিটে গুয়াহাটি পৌঁছার কথা ; তাই ৪ টা তে এলার্ম দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেলাম ।

ব্যাগ, ল্যাগেজ নিয়ে একা হাতে অনেক কষ্ট করে নামলাম। কিন্তু একি! কোনো মানুষ নেই কেন? ঠিক স্টেশনে নেমেছি তো? হে, এইতো লেখা আছে গুয়াহাটি । তাহলে মানুষ কই ? এত বড় স্টেশন,৭ টি প্লাটফর্ম , সবসময় লোক লোকারণ্য থাকে ...! দোকান-পাট সবই খোলা , অথচ মানুষ নেই , আশ্চর্য। শুধু আমার ট্রেনটিতেই যা মানুষ দেখা যাচ্ছে ।
আরে আরে একি , আমার ট্রেনটি এত তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিলো কেন? ১৫ মিনিট স্টপেজ দেওয়ার কথা ছিল। ধীরে ধীরে ট্রেনের শেষ বগিটিও দূরে মিলিয়ে গেলো । এখন এই এত বড় স্টেশনে আমি সম্পূর্ণ একা মানুষ দাড়িয়ে আছি । ভুতের ভয় না পেলেও মনের ভিতর কেমন যেনো একটা অস্বস্তি অনুভব করতে লাগলাম । হঠাৎ করে কোথা থেকে এক ভয়ঙ্কর বাদুড় সদৃশ্য পাখি এসে মাথার উপর চক্কর কাটতে লাগলো । সদৃশ্য বলার কারণ এটা ঠিক বাদুড় না , মুখ অনেকটা মানুষের মতো। খুবই ভয়ঙ্কর লাগছিল দেখতে । পাখিটি হঠাৎ আমার ঘাড়ে এসে কামড় বসালো । অবর্ণনীয় ব্যথা অনুভব করলাম। মনে হলো ধীরে ধীরে শরীর অবশ হয়ে আসছে । ঠিক সেই সময়ে এলার্ম বেজে উঠলো। ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় বুঝতে পারলাম এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম।
204 Views
8 Likes
4 Comments
4.8 Rating
Rate this: