দূরের রোদ্দুর (পর্ব ৩)

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
রোদ্দুর নীলিমার দিকে এক চোখে তাকিয়ে আছে। নীলিমা,"ছাড় আমাকে, আমাকে ধরার জন্য ধন্যবাদ । নিয়ে যাবেন আগেই নেমে গেছে, এবার কথা শুনে সবাই হু হু করে চিৎকার দিয়ে উঠে আর বলে জীবনে প্রথমবার এদের এত ভালোভাবে কথা বলতে দেখলাম ঝগড়া ছাড়া। এ কথা বলার মতই রোদ্দুর নীলিমাকে ছেড়ে দেয়।
একটু হেঁটে সবাই সামনে থেকে একটা গাড়ি নিয়ে আবার রওনা দিলো, তাদের রিসোর্টে আগে থেকেই ওদের রিসেট বুক করা ছিল। ওরা যাবে মেঘের ভেলা রিসোর্ট এ। আর ১৫ মিনিট হলে ওরা পৌঁছে যাবে মেঘের বেলায়। এর মধ্যে ওদের একটু পরিচয় দিয়ে দিই, রোদ্দুর নীলিমা সবসময় ঝগড়া করে। কিন্তু নীলিমাকে পছন্দ করে রোদ্দুর, এটা নীলিমা জানে না কিন্তু ওদের টিমের সবাই জানে । রোদ্দুর নিজেও জানে না যে নীলিমা ওকে পছন্দ করে কিনা। কথা বলতে বলতে পৌঁছে গেছে।
পৌঁছেই ওদের প্রথমে ওয়েলকাম ড্রিংকস দেওয়া হয় ।
গ্রিনশে ছিল কোকোকোলা আর লেবুর শরবত যার যা ভালো লাগে সেটা নিয়েছে সেই। ওরা পনেরো ঘন্টা জার্নি করছে। কিন্তু কেউ ক্লান্ত না প্রথমে যেমন ছিল এখনো ঠিক তেমন এনার্জি আছে। রুম নিয়ে ছিল দুইটা মেয়েদের একটা ছেলে একটা মেয়েদের রুম তিন হাজার ছয় আর ছেলেদের রুম তিন হাজার সাত।
ওরা যার যার রুমে ফ্রেশ হতে চলে যায় । অনিশা মেহজাবিন আর শ্রেয়া ফ্রেশ হয়ে যাই কিন্তু নীলিমা তখনও ওয়াশরুমে ছিল। এরকম অবস্থায় ডাকছে আসে রোদ্দুর যে চল সবাই আমাদের রিসোর্টের পিছনে একটা পার্ক আছে ওখানে লেখ ও আছে। আমি গেলাম তোরা আই । শ্রেয়া,"দাঁড়া দাঁড়া রোদ্দুর দ্বারা তুই নিলেমাকে বলে যা আমরা বললে বিশ্বাস করবে না ।"রোদ্দুর,"আমি কেন বলতে যাব তোরা বলিস "অনিশা,"তাইতো, ও কেন বলব ওর কেউ হয় নাকি" । মেহেজাবিন,"ঠিকই বলেছিস ওর তো কেউ না" । রোদ্দুর,"ধুর আমি গেলাম" এই বলে রোদ্দুর চলে গেল।
নীলিমা ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে,, মেহজাবিন, চল চল তাড়াতাড়ি চল। নীলিমা, কোথায়? আরে আমাদের রিসোর্ট এর পিছনে একটা পার্ক আছে ওখানে। ও চল ও চল।

সবাই পার্কে গেল অনিশা ,মেহেজাবিন আর শ্রেয়া লেক এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে , রোদ্দুর নীলিমা সব সময় মতো ঝগড়া করছে কি নিয়ে তাও আবার নীলিমার পা লেগেছে রোদ্দুরের জুতায় । নিহান ওদের ঝগড়া দেখে মজা নিচ্ছে। আর রাতুল মেহজাবিনকে ডাকছে।

রাতুল: মেহজাবিন শোনো ,

মেহজাবিন: কি হয়েছে?

রাতুল: তুমি কি রাগ করেছো?

মেহজাবিন: কেন কেন ?

রাতুল: ওই যে তখনকার ওই বিষয়টা নিয়ে মা নীলিমাকে...

মেহজাবিন: আমি তখনকার বিষয়টা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না আমি সব ভুলে গেছি।

হঠাৎ করে একটা শব্দ হয়। মাইকে অ্যানাউন্সমেন্ট শোনা যাচ্ছে আজকে রাতে একটু দুর্ঘটনার জন্য ৩০০০১ থেকে ৩০০৬ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবেনা।

ওরা সবাই এক হয়েছে ভাবছি এই বিষয়টা নিয়ে তখনও রোদ্দুরে নীলিমা ঝগড়া করছে। নিহান বলছে আমাদের ছেলেদেরকে সমস্যা নেই মেয়েরা কি করবে কারেন্ট ছাড়া। রাতুল বলছে তাইতো। শ্রেয়া, এখন ডিসেম্বর একটা কম্বল হয়েই যাবে এখন আর ঘুমানোর জন্য ফ্যানের প্রয়োজন হয় না। ওহে ভুলে গেছিলাম, রাতুল। অনিশা, রোদ্দুর নীলিমা তোরা ঝগড়া বন্ধ কর।

মেহজাবিন, শোন আমরা সবাই খেয়ে নি। অনেক রাতে তো হলো প্রায় এগারোটা বেজে গেছে। চল চল, সবাই খাচ্ছে। খাওয়া শেষ প্রায় । ওদের খাওয়া-দাওয়া শেষ। সবাই এখন যার যার রুমে যাচ্ছি। ঘুমাতে। সবাই শুয়েও পড়েছে, তবে সবার হাতে ফোন। মেহজাবিন মেসেজে রাতুলের সাথে প্রেম কড়ছে , অনিসা ইউটিউবে দেখছে। গল্প করছে শ্রেয়া আর নীলিমা। তবে এরকম ভাবে প্রায় রাত দুটো বেজে গেছে । মেহজাবিন আর শ্রেয়া, ঘুমিয়ে গেছে। অনিসাও প্রায় ঘুম ঘুম । নীলিমার ঘুম আসছে না।
নীলিমা ওদের রুমের বারান্দায় গেল। গিয়ে দেখি রোদ্দুরো ছেলেদের রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে। নীলিমা বলে, রোদ্দুর তুই এখনো ঘুমাসনি। না , ঘুম আসছে না না। ও আচ্ছা। রোদ্দুর,"তাহলে চল এক কাজ করি নিচে থেকে হেঁটে আসি । চল-

নীলিমা আর রোদ্দুর হাঁটতে চলে যায় । ওরা হাঁটছে আর কথা বলছে ওদের মধ্যে এখন কোন ঝগড়া নেই ঝগড়া হচ্ছেও না। রোদ্দুর হঠাৎ করে নীলিমাকে বলে, “শোন নিলু” । নীলিমা, “হ্যাঁ বল শুনছি আমি।” রোদ্দুর, “তুই আমাকে......

চলবে.....
Part 4 coming soon


238 Views
2 Likes
3 Comments
5.0 Rating
Rate this: