#তোমার_অপেক্ষায়
#পর্ব ৯
রাত্রের খাবার এর জন্য ম্যানাজার এসে মেনু নিয়ে গিয়েছে এইতো ঘন্টা খানেক আগে। কিছুখন এর মধ্যে খাবার চলেও আসবে।এর মধ্যেই আরাফ বললো_
_পূর্ণতাকি আজকে খাবে না??ওকে কেও ডেকে নিয়ে আসো।আরাফ এর কথায় নিধি উঠতে চাইলে ফায়াদ বাধা দিয়ে বললো_
_আমিতো ওখানেই যাচ্ছি। আসার সময় পূর্ণতাকে ডেকে নিয়ে আসবো। তুই বস।
এই কথা শুনে নিধি বসে পরলো।ফায়াদ চলে গেলো কটেজের দিকে।
আকাশ দাত কেলিয়ে অনিক কে বললো_
_বুঝতে পারছিস কিছু??
_কি ব্যাপারে??
_এইযে ফায়াদ ব্যাটা যে পূর্ণআপুর প্রেমে পরছে আকাশের কথা শুনে অনিক বললো_
_এই ঘটনা যদি সত্যিই হয়।তাহলে আমি মসজিদে পাঁচ টা টাকা দিয়ে দেবো।অনিকের এমন কথায় আকাশ হোহে করে হেসে উঠলো।
নাইম কথার মধ্যে এসে বলে_
_কী নিয়ে এত হাসছিস? আমাকেও বল আমিও একটু হাসি।
________________________________________
পূর্ণতা হাতের নখ দাঁত দিয়ে কাটছে আর বিকালের কথা মনে করছে।কেমন ব্যাহায়ার মতো তাকিয়ে ছিলো,নিশ্চয়ই ফায়াদ ভাই পূর্ণতাকে খারাপ ভেবেছেন।মনে করতেই নিজের গালে নিজের থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে করলো পূর্ণতার।
পূর্ণতা কিছু একটা ভেবে দরজার ছিটকানি খুলে বের হবে, ঠিক তখনিই ব্যাখেয়ালি ভাবে পূর্ণতার হাত কেটে যায়।বেশ খানিক কেটেছে। যার জন্য র**ক্ত দিয়ে পুরো হাত মাখো মাখো হয়ে যায়।র**ক্ত দেখেি পূর্ণতার মাথা ঘুরিয়ে ওঠে।পূর্ণতা পিছিয়ে গিয়ে বিছানায় ধপ করে বসে পরে।
ঠিক ওই সময় ঘরে প্রবেশ করে ফায়াদ_
_খাবে না??চলো সবাই ডাকছে।এই বলে খেয়াল করলে পূর্ণতা হাত ধরে বসে আছে।ফায়াদ এগিয়ে গেলো পূর্ণতার পাশে।হাতে র**ক্ত দেখে পূর্ণতার হাত টান দিয়ে নিজের হাতে নিয়ে বললো_
_একি হাত কাটলো কিভাবে??বেশ খানিক কেটেছেতো।পূর্ণতার হাত ছেরে ফায়াদ বললো_
_তুমি থাকো। আমি এখুনি আসছি।এই বলে ফায়াদ বেরিয়ে গেলো।কিছুখন পরেই প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ফিরে পূর্ণতার সামনে হাটু মুরে বসে পূর্ণতার হাত নিজের হাতে নিয়ে, ভালো করে র**ক্ত পরিষ্কার করে এন্টিসেফটি আর অন-টাইম বেন্ডেজ লাগিয়ে দিলে।
পূর্ণতার এক অন্যরকম অনুভূতি হলো।ফায়াদের শার্টের দুই তিন বোতাম খোলা থাকায় ফায়াদের উুনমুক্ত পুরুষালী বুকটায় না চাইতেও বার বার দৃষ্টি চলে যাচ্ছে। তাছারা ফায়াদ এত কাছাকাছি আসায় পূর্ণতার শরীর কেমন তিরতির করে কাপছিলো,বুক কেমন ধুকধুক করছিলো,এটা কেমন অনুভূতি?? এই অনুভূতি তো পূর্ণতার কাছে সম্পূর্ণ অচেনা।
_চলো এবার যাওয়া যাক।ফায়াদের কথায় পূর্ণতার হুশ এলো।
_হ্যা চলেন।
__________________________________________
_তোদের আসতে এত দেরি হলো কেন??নাইমের কথায় ফায়াদ বললো_
_পূর্ণতার হাত কেটে গিয়েছিল।পূর্ণতার হাত কেটে গিয়েছে কথাটি শুনে আরাফ দ্রুত নিজের জায়গা থেকে উঠে এসে পূর্ণতার হাত টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে বললো _
_হাত কিভাবে কাটলো??কতক্ষানি কেটেছে??অনেক র**ক্ত বের হয়েছে??
আরাফ এর এমন উওেজনায় পূর্ণতা ছোট করে বললো_
_বেশি কাটে নাই ভাইয়া।অল্প একটু কেটেছে।পূর্ণতার কথায় আরাফ একটু শান্ত হলো।
_খেতে বস।খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছেতো।ফায়াদের কথায় আরাফ আর পূর্ণতা দুজনেই চেয়ার টেনে বসলো।
ফায়াদ খাচ্ছে আর পূর্ণতার দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে। পূর্ণতাও ফায়াদের দিকে তাকাতে দুইজনেরই চোখাচোখি হয়ে গেলো।তৎখনাত পূর্ণতা চোখ সরিয়ে নিলো।
___________________________________________
অন্ধকার কাটিয়ে সূর্যী মাম উকি দিয়েছে। চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির ডাকে আরো একটি সুন্দর দিনের সূচনা হলো।বেলা সাতটা কিংবা আটটা এরি মধ্যে সূর্যের প্রখর আলো ধরনীর চারিদিকে ছড়িয়ে পরেছে।আজকের আবহাওয়া প্রান জুরানের মতোই সুন্দর।
__আজকে কিন্তু পানিতে নামবো।কেও না করতে পারবা না।নাইমের কথায় নিধি বললে_
_হ্যা নাইম ভাই।নাহলে ঘুরতে আসার মজাই হবে না।
_পূর্ণতা তুমিও না করতে পারবে না।
_ঠিক আছে।
_সবাই সাতার পারো না??অনিকের কথায় সবাই বললো হ্যা।
_________________________________________
প্রতি মাসে নিদিষ্ট সময় আসা পেটের ব্যাথায় এপাশ ওপাশ করছে পূর্ণতা।পেটের ব্যাথার জন্য আর বাইরে যাওয়া হয় নাই।বিছানা ছেরে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ব্যাগে হাত দেয় পূর্ণতা।কিন্তু একি ওতো ওগুলো আনেনি।ইতোমধ্যেই জামা সালোয়ার তলিয়ে গিয়েছে।এই অবস্থায় বাহিরে যাওয়াই যাবে না।পূর্ণতা বিছানায় ধপ করে বসে পরলো।পেট ব্যাতাটাও ক্রমশ বেরেই যাচ্ছে। পূর্ণতা না পেরে ফুপিয়ে কান্না করে দিলে।
ফায়াদ পূর্ণতার রুমের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলো।পূর্ণতার রুম থেকে কান্নার শব্দ পপেয়ে পূর্ণতার রুমে পা বাড়ালো।
_পূর্ণতা?ফায়াদের কন্ঠে পূর্ণতা চমকে উঠলো।
_এখানে আসবেন না। দয়া করে চলে যান।ফায়াদ বুঝতে পারছিলো না পূর্ণতা এমন করছে কেনো??
_ফায়াদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফায়াদের চোখে পরে ধব ধবে সাদা বিছানায় ছোপ ছোপ র*ক্তের দাগ।ফায়াদের আর বুঝতে বাকি রইলো না।
ফায়াদ দ্রুত বাহিরে গিয়ে নিধিকে পূর্ণতার কাছে পাঠিয়ে দিলো।
__________________________________________
সবাই পানিতে গোসল করছে আর পূর্ণতা নদীর পাড়ে মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে। ওরও ইচ্ছে ছিলে সবার সাথে পানিতে নামার। কিন্তু এই অবস্থায় কী আর পানিতে নামা যায়??পূর্ণতা মন খারাপ করে ওখানেই মুখ গোমরা করে দাড়িয়ে রইলো।
চলবে..... 🦋
তোমার অপেক্ষায় (পর্ব ৯)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
238
Views
2
Likes
0
Comments
3.0
Rating