#তোমার_অপেক্ষায়
#পর্ব ৭
রাত্রে নিধিরা জামাকাপড় গোছাতে ব্যস্ত।
__তুই এতো জামা নিয়েছিস কেন??নিধির প্রশ্নে নিতী বললো_
__বাহরে দুইদিন থাকবো।এখানে সেখানে ঘুরতে যাবো। তাহলে লাগবে না??
__তাই বলে এতগুলো??
__হ্যা তা নয়তো কী??
__নিধি আর কথা বারালো না।
__________________________________
পূর্ণতা শাড়ি একটার পর একটা উল্টে পাল্টে দেখেই যাচ্ছে কিন্তু কাল কোন শাড়িটা পরবে ভেবেই পাচ্ছে না।
ঠিক ওই সময় ঘরে প্রবেশ করলে মাহমুদা।বিছানার উপর শাড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখে পূর্ণতাকে জিজ্ঞেস করলো_
_এত শাড়ি বের করেছিস কেনো?
_কালকে সকালে উনাদের সাথে যাবো না?নিধি আপু শাড়ি পরতে বলেছে।কিন্তু এখন আমি বুঝতেই পারছি না কোন শাড়ি পরলে আমাকে ভালো লাগবে।
_আচ্ছা বুঝলাম।তুই আগে এই শাড়িগুলো আলমারিতে রাখ তারপর আমার রুমে আয়।এই বলে মাহমুদা চলে গেলো।
_পূর্ণতা শাড়িগুলো ভাজ করে আলমাড়িতে রেখে মাহমুদার কাছে গেলে।
_____________________________________
_আসবো মা?পূর্ণতার ডাক শুনে মাহমুদা ভেতর থেকে বললো_
_আয়।
পূর্ণতা ভেতরে আসলে মাহমুদা একটি নীল রংঙের শাড়ি দিয়ে বললো_
_তোকে এই শাড়িতে খুব সুন্দর লাগবে।তুই কালকে এইটাই পড়ে যাস।
পূর্ণতা শাড়িটা দেখে খুশি হয়ে বললো_
_শাড়িটা অনেক সুন্দর মা।মাহমুদা আলতো হেসে বললো_
_শাড়িটা তোর বাবা আমাকে উপহার দিয়েছিল।
মা মেয়েতো ভালোই গল্প করছো।কালাম এসে বিছানায় বসলো।
_এক গ্লাস পানি দাওতো মাহমুদা।
_তুমি বসো মা।আমি দিচ্ছি।
পূর্ণতা পানি এনে কালামকে দিলো।কালাম পানি খেয়ে পূর্ণতাকে বললো_
_শাড়ি দিয়ে কী করবে মা?
_কালকে শাড়ি পরে উনাদের সাথে ঘুরতে যাবো।
_আচ্ছা। বেশি সেজো না কেমন?নাহলে মানুষ আমার মা টাকে নজর লাগিয়ে দেবে।
পূর্ণতা লজ্জা পেয়ে বললো_
_আমি যাই আব্বু।
মেয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন কালাম সাহেব।
_মেয়েটা আমাদের বড় হয়ে গিয়েছে বুঝলে মাহমুদা।
_হ্যাগো।কয়েকদিন পরতো মেয়েকে অন্যের হাতে তুলে দিতে হবে।তখন যে মেয়েটাকে ছারা কিভাবে থাকবো।
কালাম দ্বীর্ঘশ্বাস ছেরে বললেন_
_এইটাই মেয়েদের জীবন।
_____________________________________
সকাল সকাল ছেলেরা তৈরি হয়ে বসে আছে কিন্তু মেয়েদের নিচে নামার নামই নেই।
অনিক বিরক্ত হয়ে বললো_
_আর কতক্ষন বলতো?ওদের রেখেই এখন আমি চলে যাবো।
নিধি ওড়না ঠিক করতে করতে এসে বললো_
_এইতো হয়ে গিয়েছে।
_বাকিরা কোথায়??ফায়াদের প্রশ্নে নিধি বললো_
_নিতি আর ফারিন আসছে।পূর্ণতার আর জান্নাতের একটু সময় লাগবে।কথার মাঝেই নিতি আর ফারিন এসে হাজির।
______________________________________
পূর্ণতা শাড়ি পেচিয়ে মুখ গোমরা করে বসে আছে।জান্নাত তৈরি হয়ে এসে বলে_
_একি আপু তুমিতো এহনো শাড়ি পরো নাই।
_কিভাবে পরবো বারবার তো খুলেই যাচ্ছে।
_দাড়াও। আমি ছোটমা কে ডাক দিয়ে নিয়ে আসি।
_মাহমুদা এসে পূর্ণতাকে শাড়ি পরিয়ে তৈরি করে দিলো।
______________________________________
আর কতক্ষন বলতো অনিক এই কথা বলতে বলতেই ফারিন বললো_
_ওইতো পূর্ণ আাপু আসছে।
ফারিনের কথায় সবাই সিড়ি কৌঠায় নজর দিলো_
নীল রংঙের শাড়ির সাথে ফুল হাতা ব্লাউজ। চুলগুলো হাত খোপা করা।হাত ভরতি চুরি।টানা টানা চোখে কাজল দেওয়া। বেশি সাজগোজ নেই তবুও যেনো অনেক স্নিগ্ধ লাগছে পূর্ণতাকে।
ফায়াদ পূর্ণতাকে দেখে থমকে গেলো।সে যেনে কথা বলতেই ভুলে গেছে।
ওপরদিকে আরাফ বিরবির করে বললো_
_আমাকে মারার ধান্দা করেছে নাকি এই মেয়ে??
চলবে..... 🦋
তোমার_অপেক্ষায় (পর্ব ৭)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
177
Views
2
Likes
1
Comments
5.0
Rating