ফায়াদ এখানো ভাবনায় বিভোর এত সুন্দর টানা টানা চোখ ঘন কালো পাপরি সবই যেনো মন মাতানো।ওই চোখের দিকে তাকালে ফায়াদের যেনো সব দিন দুনিয়া ভুলে যাওয়া উপক্রম হয়।কই পূর্ণতাকে তো এর আগেও দেখেছে এমন অনুভূতি তো হয়নাই কখনো। তাহলে এখন কেনো এমন মনে হচ্ছে। পরক্ষনেই মাথা ঝারা মেরে বললো...এসব কী ভাবছি আমি??এটা কখনোই সম্ভব নয়। এটুকু পিচ্চির পাল্লায় ভুলেও পড়া যাবে না।ফায়াদ লম্বা একটা দম নিয়ে নিজেকে শান্ত করলো।
নিস্তব্ধ রাত চারোদিকে কুকুর শেয়ালের ডাক ভেসে আসছে।বাড়ির সবাই গভীর ঘুমে বিভোর।পূর্ণতার পাশেই জান্নাত ঘুমিয়ে আছে। ঘুম নেই শুধু পূর্ণতার চোখে। সে এই গভীর রাতে জানালার গ্রিল ধরে বাহিরে রাতের পরিবেশ দেখছে।জীবনের হিসাব মিলাতে ব্যাস্ত সে। তার ও তো আর দশটা মেয়ের মতো স্বাভাবিক জীবন হতে পারতো।তার এই সৌন্দর্য যেন তার জীবনের সবচেয়ে বড় অভীশাপ।পেছনে ফেলে আসা ভয়ংকর অতিত বার বার চোখের সামনে ভেসে আসছে।পূর্ণ তার চোখ দিয়ে দুই ফোটা অশ্র গড়িয়ে পরলো।এখন নামাজই একমাএ পূর্ণতার মনকে শান্ত করতে পারে। পূর্ণতা দ্রুত অজু করে নামাজে এ দাড়িয়ে গেলো তার অশান্ত মন কে শান্ত করতে।
**********************************
রাতের অন্ধকার ছাড়িয়ে সূর্য উকি দিয়েছে অন্ধকার কেটে দিনের আলো উঠেছে। চারিদিকে প্রশান্ত বাতাস পাখির কিচিরমিচির ডাক পরিবেশ কে যেনো আরো মুখরিত করে তুলছে।
সকাল সকাল আরিফ শেখ এর রুমে উপস্থিত হয়েছে আরাফ। কালকে আরিফ শেখ অসুস্থ থাকায় ভালো করে কথা বলতে না পারায় দাদা কে দেখতে সকাল সকালই চলে আসলো।
_আসবো দাদু??
আরিফ শেখ জেগেইছিলেন আরাফ এর ডাকে সে উঠে বসলো চশমা পরতে পরতে বললো_
_আসো।
_এখন শরীরটা কেমন লাগছে দাদু??
_ভালো।তোমার কী খবর??
আরিফ শেখ এত বছর পর নিজের নাতিকে কাছে পেয়ে গল্প জুড়ে দিলেন।
*****************************
আজকে নাস্তার টেবিলে একএে সবাই নাস্তা করছে।খাবার পরিবেশন করছেন মাহমুদা কামেনী আর তাদের গৃহকর্মী কমলা।
_নানাভাই আপনার কাছে একটি আবদার আছে।অনুমতি দিলে বলতে পারি।
আরিফ শেখ অনুমতি দেওয়ায় ফায়াদ বললো_
_আমরা সবাই মিলে ঘুরতে যেতে চাচ্ছি। এইখানে এসেছি এখন পযন্ত কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি।তাই আমরা ভাবছি আপনাদের গ্রামে একটা রেসোট আছে না ওইখানে আমরা দুই দিনের জন্য ঘুরতে যাবো।আরাফ ও সাথে যাবে আপনি অনুমতি দিলে পূর্ণতা আর জান্নাত কেও নিতে চাচ্ছি।
ফায়াদ এর কথা শুনে আরিফ শেখ খানিকক্ষণ চুপ করে তারপর বললেন_
_আমিতো এর আগে ওদের কোথাও যেতে দেই নাই।তারউপর আবার দুইদিনের জন্য...... ওদের কোনো ক্ষতি হলে??
ফায়াদ আসস্থ করে বললে_
_ওদের কোনো ক্ষতি হবে না আমি কথা দিচ্ছি।
আরিফ শেখ বললো_
_ওদের আগে জিজ্ঞেস করে নেই।ওরা যেতে চাইলে না করবো না।আবার যেহুতো আরাফ যাচ্ছে যাক।
পূর্ণতা আর জান্নাত আরিফ শেখ এর সামনে দাড়িয়ে আছে।
_ওদের সাথে তোমরা দুই দিনের জন্য ঘুরতে যেতে চাচ্ছো??
আরিফ শেখ এর কথায় জান্নাত খুশিতে গদগদ হয়ে বললো_
_হু দাদু জামু।অনেক দিন ধইরা ঘুরতে যাই না।তুমি অনুমতি দিয়া দেও না দাদু।
আরিফ শেখ এবার পূর্ণতার দিকে চাইলো
_তুমি যাবে??
পূর্ণতা ছোট্ট করে জবাব দিলো
_হ্যা।(যদিও পূর্ণতা প্রথমে যেতে চায় নাই নিধি ফারিন আর নিতীর জোরাজুরিতে রাজি হয়েছে)
আরিফ শেখ এবার ফায়াদ এর উদ্দেশ্য বললেন_
_ওরা যেহুতো যেতে চাচ্ছে তাই যেতে দিচ্ছি। তোমার দায়িত্বে ওদের দিলাম।
আরাফ শেখ এর অনুমতি পেয়ে সবাই হৈহৈ করে ওঠলো।পরবর্তীতে আবার ফায়াদের রাগী মুখ দেখে সবাই চুপসে গেলো।
ফায়াদ আরিফ শেখ কে বললো _
_আপনি চিন্তা করবেন না নানাভাই ওদের দেখে শুনে রাখার দায়িত্ব আমার।
তারপর এক এক করে সবাই যে যার রুমে চলে গেলো।
চলবে..... 🦋
তোমার অপেক্ষায় (পর্ব ৪)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
220
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating