ভয়ানক জম্বি‌র‌ আক্রমণ

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
ইলান শহর ,, সেই শহরটি ছিল একদম শান্ত শিষ্ট । প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিকভাবে দিন কাটছিল ইলান শহরের মানুষজনের । হঠাৎ করে কালো ছায়া নেমে আসলো ইলান শহরের মানুষজনের উপর ।  সাধারণ মানুষ জম্বির আক্রমণে পড়ে‌ অনেক মানুষ জম্বিতে‌ পরিনত হয়ে যায়,, জম্বির কামড় খাওয়ার ফলে ইলান শহরের অধিক পরিমাণ মানুষ জম্বিতে পরিণত হয় ।

ঔ‌ জম্বি‌  কোন মানুষকে কামড়ে দেওয়ার ১০ মিনিট পরেই সে মানুষটিও একটি ভয়ানক জম্বি হয়ে যায় । 


" আপনাদের জন্য আমি অন্যরকম একটি ধারাবাহিক নিয়ে এসেছি , জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে । কিন্তু কথা দিতে পারি আপনারা একটি অন্য স্বাদের গল্প পড়তে পারবেন । ৫ দিনের ব্যবধানে একটি শহর কিভাবে পাল্টে যেতে পারে ,, জম্বিতে পরিণত হওয়া মানুষগুলো কি আদো সুস্থ হতে পেরেছিল ?,, নাকি তাদের সাথে ভয়ানক কিছু হয়েছিল ? এই সব প্রশ্নের উত্তর আপনারা পেয়ে যাবেন আমার ধারাবাহিকটি পড়তে পড়তে ,, আর এটাও জানতে পারবেন হঠাৎ করে শান্তশিষ্ট শহরে জম্বি কোথা থেকে এসেছিল ? আর এই জম্বি ভাইরাসটার‌ জন্য কোটি কোটি মানুষ তাদের আপন জনদেরকে কিভাবে হারিয়েছিল ?


আমার লেখা এই‌ ধারাবাহিকটি একদম কাল্পনিক , বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই ,,, শুধু আমার ধারণা চিন্তা ভাবনা থেকে এ ধারাবাহিকটি লেখা । আমি সব সময় কষ্ট ভরা ধারাবাহিক আপনাদের জন্য লিখি ,,, কিন্তু এই ধারাবাহিকটি একদম উল্টো ,, আপনাদের মনে ভয় জিনিসটা অটোমেটিক সাড়া দিয়ে উঠবে । আর অনেক গুলো পর্ব টানটান উত্তেজনার সাথে চলবে ,, কিছু জম্বি গুলোর প্রতি অনেক মায়াও বাড়তে পারে আপনাদের ।

আর এই ধারাবাহিকটি আমি তখনই নিয়মিত লেখবো যখন আপনাদের কাছ থেকে অনেক রিভিউ পাবো ।  কারণ বন্ধুরা আমি অনেক কাল্পনিকভাবে চিন্তাভাবনা করার পর এই ধারাবাহিকটি লেখবো । আপনাদের ভালো লাগলেই তো আমার পর্ব‌ বাড়াতে ভালো লাগবে ।আর আপনারা বাস্তবের সাথে কোনভাবে মিলাতে যাবেন না । ")


ইলান শহরে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিশাল বড় একটি বই মেলা বসে ,,, সেখানে নানা প্রকারের বই বিক্রি করা হয়।

পুরো একমাস ব‌ই‌ মেলা হয়  ,, প্রথম মাস থেকে শেষ মাস পর্যন্ত সেখানে অনেক মানুষ যাওয়া আসা করে ওই মেলাতে । বইয়ের পাশাপাশি নানা রঙের বেরঙ্গের জিনিস বিক্রি হয় । খাওয়া দাওয়া হ‌ইহুল্লার তো আছেই । অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ যাওয়া আসা করে ,, তেমনি পিপাসা ,,এলিনা,, সাবরিনা,, মিনা ,,পাপিয়া তারা পাঁচ বান্ধবী রওনা দিয়েছে ওই বইমেলাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে । তারা আজকে অনেক খুশি ,, পাপিয়াদের নিজেদের গাড়ি আছে ,, পাপিয়ার বাবা বারবার না করলো তাদেরকে একা যাওয়ার জন্য ।

কিন্তু পাপিয়া একদম অবাধ্য মেয়ে ,,,

পাপিয়ার বাবা ‌ : পাপিয়া একদম তোকে একা বই মেলাতে যেতে দেব না । তোরা কিভাবে না কিভাবে  গাড়ি চালাবি আমার অনেক ভয় লাগে । ওই মেলাতে প্রচুর মানুষ থাকে যদি কাউকে এক্সিডেন্ট করে বসিস তাহলে কেমন হবে ভেবে দেখেছিস । তুই ডাইভারকে নিয়ে যা তাহলে কোন সমস্যা নেই আমার ।

পাপিয়া : বাবা  তুমি না শুধু শুধু টেনশন করো আমাকে নিয়ে ,, আমি আমার বান্ধবীদেরকে নিয়ে যাব , এখানে কেন তোমার ড্রাইভারকে নেব তুমি বলো । আমি নিতে পারবো না।‌ বাবা এত টেনশন করো না তো আমার ভালো লাগেনা । বাবা তোমার মেয়ে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে এখন আর ছোট নেই ,, আমার বয়স এখন ২২ হয়ে গিয়েছে । দেখবে আমি ঠিকঠাক যাব আবার ঠিকঠাক বাড়ি ফিরে আসব । আর বাবা তোমার জন্য তোমার প্রিয় প্রিয় লেখকের  বইগুলো কিনে নিয়ে আসবো ।

পাপিয়ার বাবা ‌ ; তোর সাথে পারবো না মা আমি ,, তোর মা মারা যাওয়ার পরে আমি তোকে অনেক আদর যত্নে মানুষ করেছি ,, আমি তোকে রায় দিতে দিতে মাথায় তুলে ফেলেছি এখন তো তার দোষ না দোষ হলো আমার ।  একদম সাবধানে যাবি আর কোনো বিপদ হলে আমাকে জানাবি ,, আর সবাই একসাথে যাবি মেলায় একসাথে থাকবি কেউ আবার হারিয়ে যাস না ।

পাপিয়া ‌ : বাবা তোমার কথা শুনে আমার অনেক হাসি পাচ্ছে , আমরা কি এখন ছোট বাচ্চা নাকি মেলায় হারিয়ে যাব । আর কথা বাড়তে হবে নাতো নিজের যত্ন ঠিকমতো নিও ,, আর আমরা আজকে বাড়ি ফিরব না বইমেলার কাছেই সাবরিনার মামার বাড়ি ওখানে রাত থেকে কাল সকালে এসে পড়বো ।

সাবরিনার মামার সাথে তোমাকে কথা বলিয়ে দেব তুমি কথা বলে টেনশন মুক্ত থাকবে এখন তো হলো ।

পাপিয়ার বাবা ‌: আচ্ছা রে বাবা হয়েছে ,, আমার মায়ের মত করে কথা বলিস । যা তাড়াতাড়ি রওনা দে পৌঁছানোর সাথে সাথে আমাকে জানাবি  ,, আমি কিন্তু অনেক টেনশনে থাকবো ।

পাপিয়া তার বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা পাঁচ বান্ধবী রওনা হয়ে গেল বইমেলার উদ্দেশ্যে । গাড়িতে বসে তারা অনেক মজা মাস্তি করতে লাগলো । তারা যেন অনেক খুশি আজকে । তারা সবাই স‌বার পরিবারকে ছেড়ে অনেক দূরে যাচ্ছে বেড়াতে । আর কারো গার্জিয়ান নেই শাসন করার জন্য বা কোন কিছু করাতে বাধা দেওয়ার জন্য । সবাই নিজ স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবে আজকে ।

আর সাবরিনার মামার বাড়ি ওখানে না, পাপিয়া মিথ্যা বলেছে যাতে করে তার বাবা টেনশন না করে । কাউকে টাকা দিয়ে বলবে ফোনে কথা বলার জন্য তার বাবার সাথে এই প্ল্যান তারা আগে থেকেই করে রেখেছিল ।


কিন্তু তাদের সাথে কি ঘটবে সেটা তারা এখনো জানে না ,,, সেই ভয়ানক ভয়াবহ ঘটনা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ।

প্রথম পর্ব আর‌ একদমই বাড়াবো না,, আপনাদের মতামত পাওয়ার পর ইনশাআল্লাহ পর্ব গুলো বড় করার চেষ্টা করবো । দ্বিতীয় পর্ব থেকে কোন কথা হবে না শুধু টানটান উত্তেজনা থাকবে । যারা আমার পাশে আছেন তাদেরকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনাদের উৎসাহ্ পেয়ে আমি নতুন ধারাবাহিক টি শুরু করলাম ।

চলবে ♥️ ♥️ ♥️ ♥️

735 Views
25 Likes
11 Comments
4.5 Rating
Rate this: