❣একটি শিক্ষনীয় ছোট গল্প ❣
🙆♀️বেশি চালাকের গলায় দড়ি।
যধু মধু দুই ভাই উত্তরবঙ্গে বাড়ি।
খুব গরিব দিনমজুরি কাজ করেন।
বছরে একবার বাড়িতে যান তাদের সম্ভব হয়না ট্রেন ছাড়া অন্য বাহনে যেতে।
তার কারন অতিরিক্ত ভাড়ার কারনে।ঈদের মুহূর্তে যদি ভাগ্যে থাকে কোনোভাবেই ট্রেনে উঠতে পারে ঝুলতে ঝুলতে না হয় চলে যায় বাড়িতে।
আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে আর যাওয়া হয় না থেকে যায় ঢাকায়।
গতবছরের যধু-মধু দেশে যাওয়া হয়নি ট্রেন না উঠতে পারার কারণে। হঠাৎ করে চলে আসলো মহামারী করোনা যধু মধু কে বললো গতবছর ট্রেন যেতে পারেনি মনের দুঃখে যদু আর মধু বলল ভাই এবারের ঈদ আর মিস করা যাবে না শুধু একটু করোনাকে ব্যবহার করবো
কৌশলের মাধ্যমে তুমি আমার সঙ্গে থেকো। আমরা সুন্দর ভাবে এবার ইনশাআল্লাহ দেশে পৌঁছাব ।
কমলাপুর রেলস্টেশনে উদ্দেশে রওনা হল অনেক কষ্ট করে তারা একটি বগিতে উঠলো। কিন্তু সে কৌশল এখন তারা বাস্তবায়ন করবে ।যধু হঠাৎ করে হাছি, কাশি ,শুরু করলো মধু বলা শুরু করলো ভাই আপনারা একটু আমার ভাইটাকে বসার জাগা দেন ও করোনা পেশেন্ট অনেক অসুস্থ ওকে একটু সুযোগ দেন অসুস্থ রোগী কিভাবে আমি ওকে বাড়িতে নিবো ।যখনই মধু বললো ও করোনা রোগী বলার শুরু না করতে করতেই পুরা বগির প্যাসেঞ্জার
সবাই করোনা করোনা বলে যার যার মতন লাফিয়ে পড়লো।
পুরো বগী খালি দুজনে খুব আনন্দিত ।
খুশিমনে তারা বলতেছে এবার তো দেশে যাবো এবং ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে খুব আরাম করে যাব।
দুভাই এতো ক্লান্তি ঘুম ঘুম চোখ দুজনের টানটান হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
পরেরদিন ক্লিনার এসে বগি পরিষ্কার করতে এসে এই তোমরা ওঠো আমরা এখন পরিষ্কার করবো।
যাও বের হও এখন বগি থেকে।
অনেক ঘুমিয়েছো যধু মধু উঠে খুব আনন্দ আমরা পৌঁছে গেছি তাহলে বাড়িতে ঈদ হবে।
মধু বলে দেখ কি আরাম আমারা টেরই পাইনা কখন পৌঁছে গেলাম।
তখন ক্লিনার বলতেছে কোথায় পৌঁছেছো তোমরা ।
কেন ঈশ্বরদী আসেনি এখনো। আরে বোকার দল এই বগীতে করণা পেশেন্ট ছিল ।
তাইতো ট্রেনের কর্তৃপক্ষ এই বগীটি বাদ দিয়ে তারা অন্য বগিগুলো নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। অবশেষে যধুর আর মধুর দেশের বাড়িতে যাওয়া হলো না।
আমরা এই ছোটগল্পটি দিয়ে এটুকু বুঝতে পারি বেশি চালাকের গলায় দড়ি। অতিরিক্ত কোন কিছু করতে হয় না করলে অবশেষে এরকমই তার ফল।
বেশি চালাকের গলায় দড়ি।
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
335
Views
6
Likes
3
Comments
4.0
Rating