বধূ বেশে বসে আছি পার্লারে । আমার ভাবির ও প্রায় সাজগোজ শেষ
তারপর ভাবি আমাকে নিয়ে চলে এল বাসায় বাসায় গিয়ে দেখি যে রুবেলের বাড়ির সবাই চলে এসেছে ওরা প্রায় ১৫-১৬ জনের মতো এসেছি আমাকে মা তাড়াতাড়ি নিয়ে রুমে বসালো কাজে চলে এসেছে কাজের একটু তারা ছিল কারণ আমাদের বিয়ে পড়ানোর পর আরো তিনটি বিয়ে পড়ানো ছিল কাজী প্রথমে আমার কাছে আস আমার বাবা এবং বাড়ির সকল গুরুজনেরা আমার পাশে বসলো তারপর আমার সকল মতামতে আমি কবুল বললাম তিনবার যখন আমি সই করব তখন মনের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করছিল কারণ আমি এখন অন্য একটি পরিবারের বউ হয়ে যাব সেই পরিবারের দায়িত্ব ও কর্তব্য পরিবারে সকলকে ভালো রাখা তবে মনে মনে আনন্দ হচ্ছিল কারণ আমি আমার মনের মত মানুষ পেয়েছি। এরপর রুবেলের কাছে গিয়ে রুবেলের সম্মতিতেও কবুল আর সই করায় আমাদের কাবিন সম্পন্ন হল ।
সকলে মিষ্টি মুখ করছে আমাকে আর রুবেলকে একসাথে এক ঘরে বসানো হলো। আমাদের দুজনের সামনে খাবার দেওয়া হল কিন্তু আমি খেতে পারছিলাম না কারণ আমি এতটাই নার্ভাস ছিলাম । খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ আমাদের সুন্দর করে ছবি তুলে দিচ্ছে আমাদের ভাই বোনেরা।
একেক জন করে এখন ছবি তোলার পর্ব শুরু মা বাবা থেকে শুরু করে প্রত্যেকে আমাদের সাথে ছবি তুলল। অনুষ্ঠান প্রায় শেষের দিকে রুবেলের চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে আমার দাদি নানি সকলে মিলে রুবেল কে রেখে দিল। রুবেল প্রথমে রাজি হয়নি । কিন্তু আমার বাড়ির লোকেরা বললো সমস্যা কি বিয়ে তো হয়েই গেছে জামাই আসবে যাবে ছয় মাস পড়তে উঠিয়ে নিয়ে যাবে তাই না।
আমার ভাই আর বোনেরে মিলে আমার ঘরে বাসর ঘরের আয়োজন আমার জন্য খুব লজ্জা লাগছিল।
আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম আমার বোন আমাকে সুন্দর একটি শাড়ি পরিয়ে ঘরে বসিয়ে দিয়ে আসলো
রুবেল রুমে ঢুকলো। আমার এক প্রকারের অসুস্থী কাজ করছিল। যতই উনি আমার স্বামী হোক আগে তো কোনো পুরুষের সাথে এক ঘরে থাকি নাই।
রুবেল এসে খাটে বসল। তাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সেও ভীষণ লজ্জা পাচ্ছে।
রুবেল _ আসলে আমি থাকতে চাই নি। আমরা না হয় ছ মাস পরি বাসর ঘর করতাম
আমি _ হ্যাঁ কিন্তু যখন থেকেই গেলেন তো আর কি করার। আমি রুবেলের হাত ধরে জানালার সামনে নিয়ে গেলাম । দেখা রুবেল আজকে আকাশের চাঁদটা কত সুন্দর আমাদের এই সুন্দর রাতটা আরও সুন্দর করার জন্য
রুবেল আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল হুম সিনথিয়া আজকের চাঁদটা খুব সুন্দর। ঠিক তোমার মত
হইছে আর ঢং করা লাগবে না
রুবেল _আমি তোমাকে একটা কথা বলি সিনথিয়া
আমি _ হুম বল
রুবেল _ আই লাভ ইউ
আমি _ আই লাভ ইউ টু রুবেল। আমি তোমাকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবে পেয়েছি এতে আমি অনেক খুশি আমি তোমাকে নিয়ে আমার সারাটা জীবন এভাবেই চলতে চাই
রুবেল _ আমি চাই আমাদের ভালোবাসা যেন পুরো জেনারেশন মনে রাখে। আমাদের মধ্যে মিষ্টি সম্পর্ক ভালোবাসা তৈরি হবে। আর কখনো কোনদিন আমার জন্য আমাদের মধ্যে কোন ফাটল ধরবেনা এই আমি তোমাকে কথা দিলাম
আমি মুগ্ধ হয়ে রুবেলের দিকে তাকিয়ে রইলাম
আমি _ তুমি আমাকে এতটা ভালোবাসো রুবেল। আমিও তোমাকে কথা দিলাম আমাদের মধ্যে কোন চির ধরবে না। আমাদের সম্পর্কটা খুব মজবুত হবে।
রুবেল _ আজ থেকে আমাদের মধ্যে কোনো দূরত্ব থাকবে না সিনথী।(ভালোবেসে মাঝেমধ্যে আমার বর আমাকে ডাকে)
আমি রুবেল কে জড়িয়ে ধরে বললাম হ্যাঁ আজ থেকে আমাদের মধ্যে কোন দূরত্ব কোন অস্বস্তি কিছু থাকবে না।
[এর পরের কাহিনী গল্পের নায়ক আর নায়িকার পার্সোনাল মুহূর্তগুলো নাই বললাম আপনারা বুঝে নিয়েন]
ভোর পাঁচটা বাজে সিনথিয়ার ঘুমিয়ে গেছে ঘুম থেকে উঠে দেখে সে রুবেলের বুকে মাথা দিয়ে শুয়েছিল মাথাটা সরিয়ে তার মনের মধ্যে কেন একটা প্রশান্তির হাওয়া হয়েছে সে রুবেলের ঘুমের চেহারার দিকে তাকিয়ে রয়েছে কিভাবে বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে চেহারায় কত মায়া আমি রুবেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি
ফ্রেশ হওয়ার জন্য উঠে গেলাম আয়নার সামনে গিয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে মুখে হাত দিয়ে লজ্জা পেলাম যে কখনও আমারও জামাই হবে আমিও বিয়ে করবো আমারও এরকম দিন আসবে লজ্জা লাগছে
একদম ফ্রেশ হয়ে পাট ভাঙ্গা শাড়ি পড়ে নিলাম
উঠে দেখি বাসার সবাই উঠে রান্নাবান্নার তোর জল করছে কারণ জামাই উঠে খাবে। আমাকে দেখাতে আমার ভাই বোনেরা সবাই মিলে আমাকে চেপে ধরলো কালকে রাতের কাহিনী শুনবে বলে। আমি বললাম কালকে আমরা চাঁদ দেখেই সময় কাটি য়ে দিই শুনেছিস
আমার বোনেরা বলল দুর তুমি না একটু রোমান্টিক না কেউ চাঁদ দেখে বরং দুজন হাতে হাত ধরে
আমি তখন একদম চুপে খুব পেকে গেছিস তোরা তাই না।
বাসার সবাই কত খুশি সবাই সবার সাথে হাসাহাসি কেউ কারো সাথে মজা করছে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে একটা বিয়ে বাড়ি হলে সকলে একসাথে কত মজা করে।
সাতটা বেজে গেছে যাই গিয়ে আমি আমার মিস্টার কে ডাক দিয়ে ঘুম থেকে তুলি। নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে জামাইকে ঘুম থেকে তোলার মজাটাই আলাদা যাই এক কাপ চা নিয়ে যাই।
তোমায় ভালোবাসবো কি করে (পর্ব ৩)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
285
Views
9
Likes
5
Comments
4.0
Rating