দুজন মিলে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলাম।
রুবেল - কি খাবে
আমি - না আপনি যা খাবেন অর্ডার দেন
রুবেল - না বলো না কি খাবা
আমি - বললাম তো যা খাবেন তাই অর্ডার দেন
রুবেল - আচ্ছা । এক্সকিউজ মী অর্ডার টা নেন প্লিজ
জি স্যার বলেন কি খাবেন আপনারা
রুবেল _ দুইটা কোল্ড কফি । দুইটা বার্গার।আর দুইটা মিটবক্স
ওকে স্যার আমি এক্ষুনি নিয়ে আসছি
আমি বললাম একটা কথা বলি আপনাকে রুবেল
রুবেল - হুম বলো
আমি কি অনার্স এ পড়ালেখা করতে পারব না
রুবেল _ আসলে আমার মা তো সেদিন ই বলল আমার মা চায় আমার বউ যাতে সংসার মন দিয়ে করে । আমার পারতাম তোমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিয়ে করতে । কিন্তু আমি কোনো মিথ্যার জায়গা নিয়ে চাইনি। আমি চাই এমন রিলেশনশিপ হোক যেটাতে কোনো মিথ্যা থাকবে না।
আমি আসলে রুবেলের কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
তারপর দুজন মিলে অনকে গল্প করলাম। ভাবি ফোন দিচ্ছিল
আমি বললাম এবার চলে যেতে হবে
রুবেল _ আজকের দিনটা আমি সারাজীবন মনে রাখবো। আমাদের যখন ছেলেমেয়ে হবে তখন ওদের এই গল্পগুলো বলব
আমি বললাম আচ্ছা আসি আল্লাহ হাফেজ ।
ভাবি _ কি অবস্থা রুবেল । ভালোবাসা হলো নাকি
আমি বললাম ভাবি যাও তো তুমি না
রুবেল _ ভাবি পরিচয় তো কেবল শুরু
ভাবি বলল আমি রিক্সা নিচ্ছি তুমি আসো
আমি লজ্জা পেয়ে চলে আসছিলাম তখন রুবেলকে বললাম সাবধানে জাইয়েন
রুবেল _ ফোন করবো কিন্তু
আমি বললাম আচ্ছা । আসি ।
(এ যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি যেটা রুবেলের দিকে আমায় আকৃষ্ট করে ফেলছে আসলে কখন কাউকে ভালবাসিনি ।কোনো পরপুরুষের সাথে ঘুরতেও যায়নি । তাই আজ বোধহয় আমার মনের ভিতর এরকম অনুভূতি কাজ করছে )
ভাবির সাথে চলে আসলাম বাসায়
মা _ শোন একটু পর আমরা সবাই মিলে কেনাকাটা করতে বের হবো। ফিরতে দেরি হতে পারে খবর রাকা আছে খেয়ে ঘুমিয়ে পরিস আমার কাছে যে এক্সট্রা চাবি আছে ঐটা দিয়ে দরজা খুলবো নে । তুই এখন বেশি রাত জাগবী না
আচ্ছা মা ঠিক আছে।
মায়েরা সবাই কেনাকাটা করতে চলে গেছে। প্রায় রাত ৯ টা আমি খেয়ে বেডে এসে বসলাম । একটা রোমান্টিক গল্পের বই পড়ছিলাম। তখন রুবেল ফোন দিসে। আমি ফোন টা রিসিভ করলাম ।
আমি _হ্যালো আসসালামু আলাইকুম
রুবেল _ ওয়ালাইকুম আসসালাম ম্যাডাম। কি করেন। কেমন আছেন
আমি _ এইতো আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আপনি কেমন আছেন । বসে আছি
রুবেল _ এইতো তোমার কথা ভাবছি । আমি তোমাকে এতটা আপন করে নিলেও তুমি আমার পর করেই রাখলা সিনথিয়া
আমি_ কেন কি করেছি আমি??
রুবেল _ আপনি আপনি কি হ্যাঁ তুমি করে বলো
আমি _ না আমার লজ্জা করছে
রুবেল _ দুই সপ্তাহ পর আমাদের বিয়ে অলরেডি ৩ দিন চলে গেছে এই কয়দিনে তুমি আমাকে কি করলা বলো তো যে ছেলেটার মেয়েদের প্রতি কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না তোমাকে প্রথম দেখায় আমি পাগল হয়ে গেছি শুধু তোমাকে পাবার জন্যে।
আমি _ সত্যি রুবেল আচ্ছা তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করি
রুবেল _ হুম বলেন ম্যাডাম
আমি _ তুমি কি আগে কোনো রিলেশন এ ছিল বা কয়টা প্রেম করেছো নির্দ্ধিধায় বলতে পার
রুবেল _ আমি বললে তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানি না তুমি আমার প্রথম তুমি আমার শেষ
আমি _ আমারও তুমিই প্রথম আর তুমিই (শেষ বলার আগে দরজার লক খোলার আওয়াজ) এই আমি ফোন টা রাখছি বুঝসো আম্মু চলে আসছে
রুবেল _ আচ্ছা যাও টাটা
মা বাবা ভাইয়া ভাবি সবাই সব কেনাকাটা করে এনেছে
মা _ করে এখনও ঘুমাস নাই
আমি _ না মা ঘুম আসে নাই তাই ঘুমাই নাই ।
মা_ আচ্ছা দেখ তো তোর পছন্দ হয় কিনা রুবেলের জন্য এই জিনিসগুলো আর অ্যান্টি টা পছন্দ হবে তো
আমি _কেন পছন্দ হবে না সুন্দর হইসে ।
সব একে একে দেখা হলো । এবার যাই গিয়ে ঘুমাই
এভাবে যে দুইটা সপ্তাহ কিভাবে কেটে গেল রুবেলের সাথে মিশতে মিশতে ওকে ভালোবেসে ফেলেছি
কাল আমাদের বিয়ে।
সকাল থেকে তোড়জোড় শুরু বাড়ি ভর্তি মেহমান। সকল আয়োজনের আমাকে বসিয়ে সকলে গায়ে হলুদ মাখিয়ে দিচ্ছে আর কান্না করছে । আমি কান্না করে দিলাম কারন আমি সবার আদরের মেয়ে তার আজ বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। তারপর ও আম্মু আব্বুকে সান্তনা দিলাম যে আমি তো এই বাড়িতেই থাকবো তাই না
সবাই আমাকে হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে দিল যেটাকে বলে বিয়ের গোসল (যেমন_ভাবি,ছোট বোন,ফুফু,মামী,চাচী,ফুপাতো,মামাতো, চাচাতো বোন)
গোসল করার পর ফুফু আমাকে খাইয়ে দিচ্ছিল আর আমার বোনেরা আমাকে মেহেদী পরিয়ে দিচ্ছিল হাতে আবার রুবেলের নাম লিখে দিয়েছে। ফুফু চলে যাওয়ার পর আমার বোনেরা রুবেল ভিডিও কল দেয় দেখায় আমার হাতের মেহেদী দেখে মুচকি মুচকি হাসতে থেকে আর তার শালীরা তার সাথে দুষ্টামি করতে থাকে ।
প্রায় দুপুর ৪.৪০ বাজে
আমাকে সাজাতে পার্লার থেকে লোক আসছে। সুন্দর করে তারা আমাকে সাজিয়ে দিল । নিজে যেন বউ সাজে অপরূপ লাগছিল। কারণ বউ সাজা প্রতিটা মেয়ের জীবনে একটা স্বপ্ন ই ধরা যায় ।আমি আমার দিয়ে বললাম............
তোমায় ভালোবাসবো কি করে (পর্ব ২)
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
325
Views
13
Likes
3
Comments
4.4
Rating