ইমানদারগণের কিছু বৈশিষ্ট্য কুরআনের আলোকেঃ
★অবশ্যই সফলকাম হইয়াছে মু'মিনগণ।
(সফল মুমিন হতে চাইলে বেশি বেশি ইমানের চর্চা করা,হারাম থেকে দূরে থাকা,হালালের কাছে থাকা,আল্লাহকে বেশি বেশি স্বরণ করা ও ভয় করা,প্রিয় নবী(সাঃ) এর পরিপূর্ণ অনুসারী হওয়া,সৎ কাজের আদেশ দেওয়া ও অসৎ কাজে নিষেধ করা,অন্যায়-জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলা,ব্যক্তিগত ইবাদতের পাশাপাশি আল্লাহর জমিনে আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা)
★যাহারা বিনয়-নম্র নিজেদের সালাতে।
(পরিপূর্ণ ভাবে সালাত আদায় করা,শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সালাত আদায় করা,মনোযোগের সাথে সালাত আদায় করা,এমনভাবে সালাত আদায় করা যাতে মনে হয় আল্লাহ তায়ালা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন,পাঁচ ওয়াক্ত সালাত জামাতের সাথে আদায় করা)
★যাহারা অসার ক্রিয়াকলাপ হইতে বিরত থাকে।
(অর্থাৎ অযথা কাজ-কর্মে লিপ্ত থাকা যাতে না আছে আখিরাতের ফায়দা, না দুনিয়ার যেমন নাটক-সিনেমা,খেলাধুলা,গান-বাজনা ইত্যাদি,মনে রাখতে হবে এগুলো ইহুদিদের ষড়যন্ত্র যার মাধ্যমে আমরা আমাদের আসল পরিচয় ভুলে যাই,আল্লাহ বিমুখী হই এবং স্বাধীন চিন্তাশক্তির মানসিকতা হারিয়ে ফেলি)
★যাহারা যাকাতদানে সক্রিয়।
(যাকাত দানে উৎসাহিত করা আর সুদ দেওয়া-নেওয়াকে নিরুৎসাহিত করা,সুদ সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে যেমন আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রসূল(সঃ) বলেছেন,সুদের গুনাহের সত্তরটি স্তর রয়েছে তারমধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মায়ের সাথে যিনা করা [সুনানে ইবনে মাজাহ,২২৭৪])
★যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে।
(সাহ্ল ইব্নু সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত রসূল (সঃ) বলেছেন,যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু [জিহ্বা] এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু [লজ্জাস্থান] এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তাঁর জান্নাতের যিম্মাদার [সহিহ বুখারী,৬৪৭৪] অর্থাৎ বিবাহবহির্ভূত সকল ধরণের হারাম ভালোবাসা থেকে বিরত থাকতে হবে)
******************(আল-মু'মিনূন,১-৫)*****************
মু'মিন
অডিও মোড
00:00
00:00
গতি:
ভলিউম:
129
Views
1
Likes
0
Comments
5.0
Rating