বৃষ্টি নাকি সাক্ষী!

অডিও মোড

00:00 00:00
গতি:
ভলিউম:
নতুন বিয়ে করলো সুজন  ভালোই কাটছিলো তাদের সংসার। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ ছিল  তাদের। তুবও দুঃখ কি জিনিস তাদের সংসারে ছিলো না। সুজন ছিলো অনেক বড় ব্যবসায়ী প্রায় তাকে ব্যবসার কাজে বিদেশ যেতে হতো। তার বউ লতা। সুজন লতাকে বাড়িতেই রেখে যেতো। মানুষ বলে না সুখ চিরস্থায়ী   নয় সুখের পরে দুঃখ আছে তেমন নি হলো। সুজন ব্যবসার কাজে লন্ডন গেছে। সব আগের মতো এ লতাকে বাড়িতে রেখে গেলো। সুজন লন্ডন তার কলিগ আলমগীর শেখ এর সাথে ব্যবসায়ী কাজের জন্য মিট করতে গেছে। আলমগীর শেখ সুজন এর কলিগ হলেও বয়সে অনেক বড় সে। আলমগীর শেখ এখন লন্ডন এর এ অধিবাসী তার একটা ছেলে আর একটা মেয়েও আছে। সুজন তাদের  বাসায়এ থাকে। কারণ আলমগীর শেখ সুজন কে বলছে  তাদের বাসায় থাকতে কাজ শেষ হলে চলে যেতে। সুজনও না করলো না কারণ সে এবার ব্যবসার কাজে এই প্রথম লন্ডন গেছে। আলমগীর শেখ সুজন কে তার পরিবারের সদস্যর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। আলমগীর শেখ এর মেয়ে লিনার সাথেও পরিচিত হলো সুজন। লিনা দেখতে অনেক সুন্দর গোছালো সব দিক থেকেএ।  সুজন লিনাকে দেখেই পছন্দ করে পেললো। সুজন যে বিয়ে করলো সে তা ভুলেই গেলো! অনেক দিন ছিলো সেখানে। লিনাও আস্তে আস্তে সুজন কে পছন্দ করা শুরু করলো। লিনা তো জানে না যে বিবাহিত  সুজন । জানবে কি ভাবে সুজন ও তাকে বলে নাই। অনেক দিন কেটে গেলো সুজনও যে কাজে গেছে তা শেষ হয়ে গেলো এখন দেশে চলে আসবে। লিনাও তার সাথে আসতে চাই কিন্তু সুজন বললো কিছু দিন পরে আনবে তাকে। সুজন একাই চলে আসে। আসার পর কেমন জানি লতার সাথে কেমন আচরন করে কথায় কথায় তার দোষ ধরে এমনকি কিছু ভুল করলে তাকে অনেক কথা শুনাই। অনেক রাত করে বাড়ি পিরে। সুজন লিনার সাথে প্রতিদিন কথা বলে। লিনা দেশে আসতে চাই সুজন কে বিয়ে করবে। সুজন বললো আর কিছু দিন পর। লতাকে সে এখন মারধর করে। লতা ভাবলো সে লন্ডন থেকে আসার পর আমার সাথে এমন করে কেনো। সুজন এক দিন বারান্দায় বসে লিনার সাথে কথা বলে হঠাৎ লতা চলে আসে। সুজন লতাকে দেখে কল কেটে দিলো। লতা জিজ্ঞেস করতেই সুজন বললো কই কেই ন তো। লতা আর কিছু বললো না। লিনা সুজন কে প্রতিনিয়ত তাড়া দিচ্ছে সে দেশে আসবে। সুজন বলে আর কিছু দিন পরে আনবো তোমাকে। একদিন লতা কৌতুহল বশত সুজন এর ফোন দরলো আর লিনার ছবি দেখলো তার ফোনে। লতা সুজন কে জিজ্ঞেস করলো এই মেয়েটা কে সুজন বললো আমার আমার! লতা বললো আমার আমার কি?  এই মেয়েটা কে?  তখনি সুজন লতা মারলো একটা থাপ্পড় আর বললো এই মেয়ে যেই হুক তোর সমস্যা কি?  লতা আর কিছু বললো না। এই ভাবে কয়েক দিন কেটে গেলো লতা সুজন এর হাতে প্রতিদিন এ মার খেতো সব মুখ বুঝে সহ্য করতো। একদিন বিকালে আকাশ মেঘলা মেঘলা আকাশ ঝিলিক মারে কিছুখন পর পর। সুজন তাড়াহুড়ো করে বাড়িতে এসে লতাকে বলতে লাগলো তৈরি হয় তোমাকে শপিং করে দিবো আমারা মার্কেট এ যাবো। লতা তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে সুজন এর সাথে বাহির হলো।বাসা থেকে বাহির হতে হতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। রিকশা দিয়ে যাচ্ছে সুজন আর লতা আকাশে ঘন কালো মেঘ। মেঘে ছাড় দিক অন্ধকার কিছুখন পর পর আকাশে ঝিলিক মারে রাস্তাই কোনো গাড়ি নেই। পুরা রাস্তা যেনো পাকা। সুজন আর লতা রিকশা দিয়ে যাচ্ছে। সেই রিকশা যেনো পুরা রাস্তা দখল করে রেখেছে কোনো মানুষ নেই রাস্তায়। তখন নি সুজন রিকশাটা থামালো। লতা বললো এখানে তো কোনো মার্কেট নেই?  সুজন লতার কথার উত্তর না দিয়ে রিকশা থেকে নিমে পড়লো। নিমে সুজন লতা কে বললো রিকশা থেকে নামতে । লতা রিকশা থেকে নামা মাত্রই .....................


চলবে....... 
482 Views
8 Likes
2 Comments
3.8 Rating
Rate this: