ছায়া
রাত তখন প্রায় তিনটা। শহরের বাতাসে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা, আর সেই নীরবতায় এ...
“আমার আয়াত মারা যায়নি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি জানি কারা করেছে। আমি ফিরে আসব।” লিজেন কোনো সাংবাদিক নয়, কোনো গোয়েন্দা বা হ্যাকারও নয়। সে একজন সাধারণ ছাপোষা যুবক—ব্যাংকে চাকরি করে, মেসে থাকে, ভাত খেতে ভালোবাসে, কখনো প্রেম করেনি। কিন্তু আয়াতের মৃত্যু তার ভেতরের সোজা মানুষটাকে বাঁকিয়ে দিয়েছে। সে রাতগুলোতে ঘুমাত না। বিভিন্ন রিপোর্ট, সংবাদ বিশ্লেষণ, ভিডিও রেকর্ডিং, ব্লগ পড়ত—যেখানে আয়াতের নাম এসেছিল একবার হলেও। এভাবেই একদিন, সে খুঁজে পেল কিছু নাম। কিছু মুখ। কিছু অদ্ভুত শব্দ, যেমন: "Project Silence" "উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবেষণা তহবিল" "G-9 ফাউন্ডেশন" "Tyrant Protocol" এই নামগুলো কোন পত্রিকায় ছিল না, শুধু কিছু ফাঁস হওয়া নথিপত্রে, যা Dark Web এ ঘুরছিল। লিজেন জানত না Dark Web কী, কিন্তু এক প্রবাসী বন্ধুর সহায়তায় সে কিছু অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল। আর তখনই সে বুঝল—আয়াতের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যা। --- স্টেশনটা—‘ছায়ার স্টেশন’—যেখানে আয়াত শেষবার গিয়েছিল তার গবেষণার সারাংশ পাঠাতে, সেটিও রহস্যে মোড়ানো। বলা হয়, সেই স্টেশনে প্রতি রাত ৩টা ১৫ মিনিটে একটা ট্রেন আসে, যার কোনো রুট নেই, কোনো যাত্রী নেই। ট্রেনটা শুধু দাঁড়ায় পাঁচ মিনিট, তারপর আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই রাতেই লিজেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—সে সেই ট্রেন ধরবে। যে ট্রেনে আয়াত উঠেছিল কিনা কেউ জানে না, কিন্তু যেদিন তার মৃত্যু হয়, সেদিন রাতেই ট্রেনটি স্টেশনে এসেছিল। আর সেই রাতেই ট্রেন থেকে নেমেছিল একটি মুখোশ পরা মানুষ, যার পোশাকে ছিল ‘G-9’ লেখা। --- (চলবে…)" /> “আমার আয়াত মারা যায়নি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি জানি কারা করেছে। আমি ফিরে আসব।” লিজেন কোনো সাংবাদিক নয়, কোনো গোয়েন্দা বা হ্যাকারও নয়। সে একজন সাধারণ ছাপোষা যুবক—ব্যাংকে চাকরি করে, মেসে থাকে, ভাত খেতে ভালোবাসে, কখনো প্রেম করেনি। কিন্তু আয়াতের মৃত্যু তার ভেতরের সোজা মানুষটাকে বাঁকিয়ে দিয়েছে। সে রাতগুলোতে ঘুমাত না। বিভিন্ন রিপোর্ট, সংবাদ বিশ্লেষণ, ভিডিও রেকর্ডিং, ব্লগ পড়ত—যেখানে আয়াতের নাম এসেছিল একবার হলেও। এভাবেই একদিন, সে খুঁজে পেল কিছু নাম। কিছু মুখ। কিছু অদ্ভুত শব্দ, যেমন: "Project Silence" "উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবেষণা তহবিল" "G-9 ফাউন্ডেশন" "Tyrant Protocol" এই নামগুলো কোন পত্রিকায় ছিল না, শুধু কিছু ফাঁস হওয়া নথিপত্রে, যা Dark Web এ ঘুরছিল। লিজেন জানত না Dark Web কী, কিন্তু এক প্রবাসী বন্ধুর সহায়তায় সে কিছু অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল। আর তখনই সে বুঝল—আয়াতের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যা। --- স্টেশনটা—‘ছায়ার স্টেশন’—যেখানে আয়াত শেষবার গিয়েছিল তার গবেষণার সারাংশ পাঠাতে, সেটিও রহস্যে মোড়ানো। বলা হয়, সেই স্টেশনে প্রতি রাত ৩টা ১৫ মিনিটে একটা ট্রেন আসে, যার কোনো রুট নেই, কোনো যাত্রী নেই। ট্রেনটা শুধু দাঁড়ায় পাঁচ মিনিট, তারপর আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই রাতেই লিজেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—সে সেই ট্রেন ধরবে। যে ট্রেনে আয়াত উঠেছিল কিনা কেউ জানে না, কিন্তু যেদিন তার মৃত্যু হয়, সেদিন রাতেই ট্রেনটি স্টেশনে এসেছিল। আর সেই রাতেই ট্রেন থেকে নেমেছিল একটি মুখোশ পরা মানুষ, যার পোশাকে ছিল ‘G-9’ লেখা। --- (চলবে…)" /> “আমার আয়াত মারা যায়নি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি জানি কারা করেছে। আমি ফিরে আসব।” লিজেন কোনো সাংবাদিক নয়, কোনো গোয়েন্দা বা হ্যাকারও নয়। সে একজন সাধারণ ছাপোষা যুবক—ব্যাংকে চাকরি করে, মেসে থাকে, ভাত খেতে ভালোবাসে, কখনো প্রেম করেনি। কিন্তু আয়াতের মৃত্যু তার ভেতরের সোজা মানুষটাকে বাঁকিয়ে দিয়েছে। সে রাতগুলোতে ঘুমাত না। বিভিন্ন রিপোর্ট, সংবাদ বিশ্লেষণ, ভিডিও রেকর্ডিং, ব্লগ পড়ত—যেখানে আয়াতের নাম এসেছিল একবার হলেও। এভাবেই একদিন, সে খুঁজে পেল কিছু নাম। কিছু মুখ। কিছু অদ্ভুত শব্দ, যেমন: "Project Silence" "উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবেষণা তহবিল" "G-9 ফাউন্ডেশন" "Tyrant Protocol" এই নামগুলো কোন পত্রিকায় ছিল না, শুধু কিছু ফাঁস হওয়া নথিপত্রে, যা Dark Web এ ঘুরছিল। লিজেন জানত না Dark Web কী, কিন্তু এক প্রবাসী বন্ধুর সহায়তায় সে কিছু অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল। আর তখনই সে বুঝল—আয়াতের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যা। --- স্টেশনটা—‘ছায়ার স্টেশন’—যেখানে আয়াত শেষবার গিয়েছিল তার গবেষণার সারাংশ পাঠাতে, সেটিও রহস্যে মোড়ানো। বলা হয়, সেই স্টেশনে প্রতি রাত ৩টা ১৫ মিনিটে একটা ট্রেন আসে, যার কোনো রুট নেই, কোনো যাত্রী নেই। ট্রেনটা শুধু দাঁড়ায় পাঁচ মিনিট, তারপর আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই রাতেই লিজেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—সে সেই ট্রেন ধরবে। যে ট্রেনে আয়াত উঠেছিল কিনা কেউ জানে না, কিন্তু যেদিন তার মৃত্যু হয়, সেদিন রাতেই ট্রেনটি স্টেশনে এসেছিল। আর সেই রাতেই ট্রেন থেকে নেমেছিল একটি মুখোশ পরা মানুষ, যার পোশাকে ছিল ‘G-9’ লেখা। --- (চলবে…)" /> “আমার আয়াত মারা যায়নি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি জানি কারা করেছে। আমি ফিরে আসব।” লিজেন কোনো সাংবাদিক নয়, কোনো গোয়েন্দা বা হ্যাকারও নয়। সে একজন সাধারণ ছাপোষা যুবক—ব্যাংকে চাকরি করে, মেসে থাকে, ভাত খেতে ভালোবাসে, কখনো প্রেম করেনি। কিন্তু আয়াতের মৃত্যু তার ভেতরের সোজা মানুষটাকে বাঁকিয়ে দিয়েছে। সে রাতগুলোতে ঘুমাত না। বিভিন্ন রিপোর্ট, সংবাদ বিশ্লেষণ, ভিডিও রেকর্ডিং, ব্লগ পড়ত—যেখানে আয়াতের নাম এসেছিল একবার হলেও। এভাবেই একদিন, সে খুঁজে পেল কিছু নাম। কিছু মুখ। কিছু অদ্ভুত শব্দ, যেমন: "Project Silence" "উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গবেষণা তহবিল" "G-9 ফাউন্ডেশন" "Tyrant Protocol" এই নামগুলো কোন পত্রিকায় ছিল না, শুধু কিছু ফাঁস হওয়া নথিপত্রে, যা Dark Web এ ঘুরছিল। লিজেন জানত না Dark Web কী, কিন্তু এক প্রবাসী বন্ধুর সহায়তায় সে কিছু অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল। আর তখনই সে বুঝল—আয়াতের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যা। --- স্টেশনটা—‘ছায়ার স্টেশন’—যেখানে আয়াত শেষবার গিয়েছিল তার গবেষণার সারাংশ পাঠাতে, সেটিও রহস্যে মোড়ানো। বলা হয়, সেই স্টেশনে প্রতি রাত ৩টা ১৫ মিনিটে একটা ট্রেন আসে, যার কোনো রুট নেই, কোনো যাত্রী নেই। ট্রেনটা শুধু দাঁড়ায় পাঁচ মিনিট, তারপর আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। সেই রাতেই লিজেন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—সে সেই ট্রেন ধরবে। যে ট্রেনে আয়াত উঠেছিল কিনা কেউ জানে না, কিন্তু যেদিন তার মৃত্যু হয়, সেদিন রাতেই ট্রেনটি স্টেশনে এসেছিল। আর সেই রাতেই ট্রেন থেকে নেমেছিল একটি মুখোশ পরা মানুষ, যার পোশাকে ছিল ‘G-9’ লেখা। --- (চলবে…)">
রাত তখন প্রায় তিনটা। শহরের বাতাসে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা, আর সেই নীরবতায় এ...